সমাধান কোন পথে?
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০২ এএম
আরাকান আর্মি ও তাদের রাজনৈতিক উত্থানকে বিবেচনার মধ্যে রাখতে হবে -ড. এম সাখাওয়াত হোসেন
সীমান্তে নিরাপত্তা এবং কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবে; যাতে সংঘাত ছড়িয়ে না পড়ে -ড. দেলোয়ার হোসেন
এ ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম, তাদের নিরাপদে দ্রুততার সাথে ফেরত পাঠানো উচিত -তৌহিদ হোসেন
জেনেভা কনভেনশন চুক্তি অনুযায়ী আমাদের নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকতে হবে -প্রফেসর ড. তানজীমউদ্দিন খান
স্টাফ রিপোর্টার
মিয়ানমারের স্বৈরশাসকের সামরিক বাহিনী ও আরাকান আর্মির চলমান যুদ্ধে বাংলাদেশ সীমান্তে গোলাগুলি ও মর্টার সেলের আওয়াজ কমলেও উত্তেজনা কমেনি। বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু সীমান্তের মানুষ এখনো আতঙ্ক, উদ্বেগ-উত্তেজনা, ভীতিকর অবস্থায় রয়েছে। আরাকান আর্মির সামনে টিকতে না পেরে কয়েক দফায় মিয়ানমারের প্রায় তিনশ’ সৈন্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। গণতন্ত্র এবং জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করলে কি পরিণতিতে পড়তে হয় ৬৭৬৫৭৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মিয়ানমারের শাসকরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। যুদ্ধে টিকতে না পেরে পিছু হটে ভারতে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের পরাজিত সৈন্যদের পুরনায় নেপিডোতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। রাখাইন থেকে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিলেও মিয়ানমারের স্বৈরশাসকের সৈন্যদের ফেরত পাঠানো এখন সময়ের দাবি। আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের কেউ বলছেন, মিয়ানমারে যুদ্ধরতদের কারো পক্ষ অবলম্বন না করেই কূটনৈতিক ভাবে এ ব্যাপারে সফলতা দেখিয়ে সৈন্যদের ফেরত পাঠাতে হবে। আবার কেউ বলছেন, পরিস্থিতি যে পর্যায়ে গেছে তাতে মিয়ানমারের স্বৈরশাসকের পতন ঠেকানো যাবে না। ফলে সামরিক শাসকের কূটনৈতিক সঙ্গে সম্পর্কের পাশাপাশি আরাকান আর্মির সঙ্গেও সম্পর্ক গড়তে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে কোন্ পথে সামাধান।
দেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাজ্য রাখাইনের পরিস্থিতি বেশ দ্রুত বদলে যাচ্ছে। ৬৭৬৫৭৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটিতে ৩৬ হাজার ৭৬২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের রাখাইন রাজ্যটির একের পর এক এলাকা দখল করে নিচ্ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে স্বৈরশাসক জান্তা সরকার। জনগণের ভোটের অধিকার কুক্ষিগত করে দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃত্ববাদী স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের পরিণতি কি হতে পারে তার জলজ্যান্ত উদাহরণ মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি। যে সৈন্যরা নিরপরাধ রোহিঙ্গা মুসলিমদের পিটিয়ে নির্যাতন করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছিল; ৬ বছরের ব্যবধানে তারাই এখন বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। ৯২ শতাংশ শিক্ষিত এবং মাথাপিছু আয় ৪৭৫১ ডলারের দেশটি গণতন্ত্র বিসর্জন দেয়ায় এখন সার্বভৌমত্ব হারাতে বসেছে। যুদ্ধে টিকতে না পেরে পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে মিয়ানমার বাহিনীর ২৬৪ সদস্য। যুদ্ধে না জড়িয়ে কিভাবে তাদের ফেরত পাঠানো হয় সেটা নিয়েই চলছে আলোচনা।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে চলমান উত্তেজনার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ও পিএসসির সদস্য প্রফেসর ড. দেলোয়ার হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তের চলমান উত্তেজনার পেছনে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। এটা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলে আসা কয়েক দশকের গৃহযুদ্ধের ফল। এর ফলে সীমান্তবর্তী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ, ভারত ও চীনের উপরও এর একটা প্রভাব পড়ছে। যতদিন মিয়ানমারের ওই অংশে উত্তেজনা থাকবে ততদিন সীমান্তবর্তী দেশ হওয়ায় বাংলাদেশকেও ভুগতে হবে। সীমান্তবর্তী দুই দেশের মধ্যে এরকম উত্তেজনা চলাকালে যদি কেউ অপর কোনো দেশে আশ্রয় চায়, সেক্ষেত্রে পৃথিবীর যেকোনো দেশের উচিত তাদের আশ্রয় দেওয়া। তাই এই ইস্যুতে বাংলাদেশকে একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে, অন্যদিকে মানবিকতার বিষয়টিও বিবেচনা করতে হবে। তবে আশ্রিত এসব সদস্যকে দ্রুত নিজ দেশে পাঠানোর ব্যাপারে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবে। এছাড়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে অবশ্যই আরো বেশি নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে, আরো বেশি কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবে; যাতে সংঘাত ছড়িয়ে না পড়ে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক জান্তার সঙ্গে বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির লড়াই তীব্রতর হয়ে উঠেছে। একের পর এক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সামরিক বাহিনী। লড়াইয়ের আঁচ লাগছে সীমান্তের এপার বাংলাদেশেও। বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ির ঘুমধুমের তমব্রু সীমান্তের গ্রামে মর্টার শেলের আঘাতে দু’জন নিহত হয়েছে। অতঃপর উখিয়ায় আহত হয়েছেন সাতজন। এর পর থেকে সীমান্ত এলাকার মানুষ সরে যাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ের আশায়। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসছেন মিয়ানমার বাহিনীর সদস্যরা। এ অবস্থায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে সতর্ক করে দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে সরকার। পরিস্থিতি সহসাই স্বাভাবিক হবে এমন পরিস্থিতি নেই।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি এবং কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়াসংলগ্ন এলাকায় মিয়ানমারের ভেতরে দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মি ও রোহিঙ্গা স্যালভেশন অর্গানাইজেশনের (আরএসও) ত্রিমুখী সংঘর্ষ চলছে।
মিয়ানমার সীমান্তের অস্থির পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিয়ানমারের সঙ্গে যারা জড়িত, বিশেষ করে চীন ও ভারতের সঙ্গে কথা হচ্ছে। চীনের সঙ্গে কথা বলা হবে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সফরে আছেন, সেখানেও কথা উঠেছে। এর আগে অজিত দোভাল ঢাকায় এসে এ ব্যাপারে কথা বলে গেছেন। মিয়ানমারের সংকটের কারণে তাদের বর্ডার গার্ড পুলিশের সদস্যসহ ৩ শতাধিক সেনা সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। ঢাকায় নিয়োজিত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানোর পর কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, অজিত দোভালের ঢাকা সফর নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে যেসব ভারতীয় রয়েছেন, তারা যেন এখনই সেখান থেকে অন্যত্র চলে যান। যেসব ভারতীয় নাগরিক রাখাইন যাওয়ার কথা ভাবছেন, তারা যেন কেউ সেখানে না যান। ওখানকার পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশ, ভারত ও চীন সীমান্তবর্তী মিয়ানমার এলাকায় সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই করছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। সামরিক শাসকের দখলে থাকা অনেক এলাকার নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীদের দখলে চলে গেছে।
সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা প্রসঙ্গে গতকাল বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেনো সীমান্ত দিয়ে একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি আরো বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ধৈর্য্য ধারণ করে, মানবিক থেকে আন্তর্জাতিক সু-সম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করেই সীমান্ত উত্তেজনা বাস্তবতা সামাল দেওয়া জরুরি বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর ড. তানজীমউদ্দিন খান। তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত মিয়ানমারে কী পরিস্থিতি হয় তা এখনো আমরা নিশ্চিত না। আমরা জানি না শেষ অবধি দেশটির অখণ্ডতা টিকে থাকবে কি না, বিদ্রোহী গোষ্ঠী দেশটিকে কোথায় নিয়ে যায়। সেজন্য আমাদের অবশ্যই জেনেভা কনভেনশন চুক্তি অনুযায়ী একটা নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকতে হবে। থার্ড এবং ফোর্থ জেনেভা কনভেনশনে স্পষ্ট করে বলা আছে এই ধরনের পরিস্থিতিতে কী করতে হবে। যেহেতু মিয়ানমারের রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙে যাচ্ছে, এই অবস্থায় কাদের উপর আমাদের ভরসা করা উচিত এটা একটা বিশ্লেষণের দাবি রাখে।
সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন গতকাল এক নিবন্ধে লিখেছেন, মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি ও ভূরাজনীতির ঝড়ের মধ্যে আমাদের অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে। রাখাইন ঘিরে ভূরাজনীতি, রাখাইন পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ সবই সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিমাত্রিক হিসাব-নিকাশে বাংলাদেশের অবস্থান, বিশেষ করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন ও আমাদের সীমান্ত এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পথ খোঁজা। কোনো পক্ষ না নিয়ে রাখাইন অঞ্চলে আরাকান আর্মি ও তাদের রাজনৈতিক অংশের উত্থানকে বাংলাদেশের বিবেচনার মধ্যে রাখতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ও রোহিঙ্গা প্রশ্নে শুধু দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার চেষ্টা ও চীনের ওপর নির্ভরতা যেহেতু কাজে দিচ্ছে না, তাই কেন্দ্রের দাবিদার এনইউজি (ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট) ও আরাকান আর্মি তথা তাদের রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ ও সম্পর্ক তৈরির বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।
মূলত ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জনগণের ভোটে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখলে নেয়। কিন্তু ওই সরকারকে হঠাতে এখন তীব্র লড়াই চলছে। গত অক্টোবরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো একযোগে আক্রমণ শুরু করে। যতই দিন যাচ্ছে, ততই তাদের আক্রমণ তীব্রতর হচ্ছে। এতে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে জান্তা সরকার। জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে সামরিক টহল চৌকি, অস্ত্রাগার ও বেশ কিছু শহরের নিয়ন্ত্রণ ইতিমধ্যেই বিদ্রোহীদের হাতে চলে গেছে বলে জানা যাচ্ছে। এ অবস্থায় প্রাণে বাঁচতে মিয়ানমারের সৈন্য ও সীমান্তরক্ষীরা প্রায়ই প্রতিবেশী চীন, ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে ঢুকে পড়ছেন।
এরপর ভারত সরকারের তৎপরতায় চার দিনের মাথায় তাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় মিয়ানমার। ভারত-মিয়ানমারের উন্মুক্ত সীমান্তে পাহারায় ভারতীয় বাহিনী। তবে এই সীমান্তে শিগগিরই কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ভারত।
ভারত ফেরত পাঠালেও বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সদস্যদের কিভাবে ফেরত পাঠানো হবে? এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের সাথে আলোচনা চলছে। এবং নৌপথে নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মিয়ানমার নৌপথে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব করেছে। সরকার প্রস্তাবটি ভেবে দেখছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রাণে বাঁচতেই যেহেতু তারা (মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্য) আশ্রয় চেয়েছেন, সেহেতু ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রেও আশ্রয়গ্রহীতার নিরাপত্তার বিষয়টিকে বিশেষভাবে প্রাধান্য দেয়া হয়। আসলে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আশ্রয় নিলেও ও সরকারি কর্মকর্তাদের আশ্রয় নেওয়ার এমন ঘটনা বাংলাদেশে আগে কখনো দেখা যায়নি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম। কাজেই সরকার কীভাবে এবং কত দ্রুততার সাথে নিরাপদে তাদেরকে ফেরত পাঠাতে পারে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
সর্বশেষ খবরে জানা যায়, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের উত্তরাঞ্চলের এক শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত আরাকান আর্মি। রাখাইনের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রাজ্যের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মিনবিয়ায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর শেষ দুটি ব্যাটালিয়নের ঘাঁটি মঙ্গলবার দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শ্রমবাজার সম্প্রসারণে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে
বাগেরহাটে যুবলীগ নেতাকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন আওয়ামী লীগ নেতা
ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা আনলো ভিভো ভি৩০ লাইট
সোনালী ব্যাংকের মুনাফা ৮৩ শতাংশ বেড়েছে
টেকসই রাজস্ব নিশ্চিতে করতে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে প্রয়োজন নীতিনির্ধারণে ধারাবাহিকতা
শপআপ-এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগদান করলেন মামুন রশীদ
১ বছরে আদানি গ্রিনের ২৫ শতাংশ মুনাফা বৃদ্ধি
উপজেলা নির্বাচনে ইভিএমে প্রথমবারের মতো ভোট দিচ্ছে মতলব উত্তরবাসী
গোদাগাড়ীতে ৩ কেজি ৪শ’ গ্রাম হেরোইনসহ ২ জন গ্রেফতার
বজ্রপাতে নগরকান্দায় ২১ মাদ্রাসা ছাত্র আহতের ১১ জন এখনও হাসপাতালে
মেসিদের লিগকে যে পরামর্শ দিলেন ফিফা সভাপতি
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে একজন কেএনএফ সদস্য নিহত, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার
স্কটল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলে হুইল ও জোন্স
আগামীকাল হরিরামপুর উপজেলা ভোটগ্রহণ : ত্রিমুখী লড়াইেয়র সম্ভাবনা
সিরি-এ বর্ষসেরা মিডফিল্ডার ফার্গুসন
সোনার দাম এবার ভরিতে বাড়লো ৪৫০২ টাকা
বিএনপির সমাবেশ: সবকিছু বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত দেবে ডিএমপি
রাত পোহালেই ফরিদপুর ৩ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ পুতিনের, ছয় বছর ভোগ করবেন একচ্ছত্র ক্ষমতা
যোগীরাজ্যে মুসলিমদের ভোটদানে বাধা! ‘পিটিয়ে মারা হচ্ছে’, বিস্ফোরক মমতা