কাক্সিক্ষত রাজস্ব আদায়ে শঙ্কা
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম
এবার দেয়া হয়েছিল ঘাটতি বাজেট। এর মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, আমদানি-রফতানিতে ধস, উৎপাদনের শ্লথগতির কারণে শুল্ক-কর আদায় পরিস্থিতি ভাল নয়। বাধ্য হয়েই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে দিয়েছে। সে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মূল কারণ হচ্ছে অর্থনীতির গতি স্বাভাবিক নয়। এর মধ্যে আবার আইএমএফের ঋণের শর্ত পূরণ। আবার ডলার সংকটে অনেক ব্যবসায়ী পথে বসার উপক্রম হয়েছে। স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ী ও ছোট ছোট শিল্প কারখানার মালিকরা পণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানি করতে গিয়ে নানা ঝামেলার মুখোমুখি হচ্ছেন। ফলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে পৌঁছানো চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে।
জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, এনবিআরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা সম্ভব নয়। এমনিতেই অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়। ব্যবসা-বাণিজ্যে শ্লথগতি। এ ছাড়া এনবিআর গত এক-দুই বছরে এমন কোনো সংস্কার করেনি, যা রাজস্ব আদায় বাড়াতে সহায়তা করবে। সার্বিকভাবে আইএমএফের শর্ত পূরণ হবে না।
দীর্ঘদিন ধরে ডলার সংকটে অর্থনীতি নাজুক পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। পরিস্থিতি উত্তরণে বাংলাদেশ ব্যাংক নানামুখী পদক্ষেপ নিলেও কিছুতেই সুফল আসছে না। কিন্তু ডলার সংকট, পণ্যমূল্য বৃদ্ধি, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটসহ নানা কারণে ব্যবসা বাণিজ্যে ধস নেমেছে। ব্যবসায়ীরা কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকারের ব্যয়ও বেড়েছে। ব্যয়ের তুলনায় আয় না বাড়ায় টাকার সংকটে পড়েছে সরকার। রাজস্ব আয়ে ঘাটতি ক্রমেই বাড়তে থাকায় ব্যয় মেটাতে সরকার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ধার করছে। এমনকি শুল্ক-কর আদায় ভালো না হওয়ায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রাও ২০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরও নতুন লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা আয় নিয়েও শঙ্কা বিরাজ করছে। কারণ কিন্তু অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে শুল্ক-কর আদায়ে ইতোমধ্যে ঘাটতি হয়েছে ২৩ হাজার ২২৭ কোটি টাকা। পাশাপাশি দীর্ঘদিন থেকে নতুন শিল্প কারখানা তৈরি হচ্ছে না। আবার দেশে দীর্ঘদিন থেকে বিরাজমান ডলার সংকট, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে বেশ কয়েকটি প্রধান শিল্প ও উৎপাদন খাতের প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। নিয়ন্ত্রিত আমদানির কারণে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধের পথে। রফতানিতেও নেই কোন সুখবর। এছাড়া অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ধার করায় বাড়ছে ঋণের বোঝা। এদিকে ঋণের পরিমাণ বাড়লেও বাড়ছে না সরকারের আয়। এতে ঋণ শোধ করা নিয়ে টানাপড়েনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ওদিকে বিদেশি ঋণ সহায়তা ও সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের বিনিয়োগ আসছে না। ব্যাংকিং সেক্টরে আস্থাহীনতা ও ব্যবসায় বাণিজ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যে শঙ্কা প্রকাশ করেছেনÑ দেশের সার্বিক অর্থনীতি ভালো নয়; সবখাতেই মন্দাবস্থা। ব্যবসা-বাণিজ্যে শ্লথগতি। আর তাই রাজস্ব আয়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা সম্ভব হবে না।
এ নিয়ে এক সেমিনারে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড হলো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। হার্ট ভালো থাকে রক্ত সঞ্চালনের কারণে। বর্তমানে আর্থিক খাতের অবস্থা ভালো নেই। বাংলাদেশের ঋণমানে আন্তর্জাতিকভাবে যে অবনতি হয়েছে তা আর্থিক খাতের কারণেই হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের বাস্তবতায় ঋণের সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা ঠিক করে দেওয়ার বাস্তবতা আছে। কিন্তু এ দেশের বাস্তবতা আইএমএফ-বিশ্বব্যাংক বোঝে না। ব্যবসা বাণিজ্য ভাল না চললে এনবিআরের রাজস্ব আদায় কমে যেতে বাধ্য।
ডলার সংকটের কারণে গত বছরের মাঝামাঝি আমদানির ওপরে বেশ কিছু কড়াকড়ি আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত ডলার না থাকার কারণে অনেক বাণিজ্যিক ব্যাংকও আমদানিতে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) বা ঋণপত্র খুলতে পারছে না। এরফলে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন আমদানিকারকরা। কারণ আমদানি নির্ভর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে যন্ত্রপাতি- বেশিরভাগ পণ্যই আমদানি করা হয়। এসব শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করতে গিয়েও জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছেন কারখানা মালিকরা। এছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বেড়েছে পরিবহন ও অন্যান্য খরচ। সম্প্রতি শিল্পে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পর বেড়েছে কারখানায় উৎপাদন খরচ। এ কারণে সংকটে পড়েছেন দেশীয় অনেক উৎপাদক প্রতিষ্ঠান। দেশীয় বাজারে একদিকে এসব পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে, সেই সঙ্গে কাঁচামাল আমদানি নিয়ে জটিলতায় উৎপাদন অব্যাহত রাখাও তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই শুধু রাজস্ব আয়ই কমছে তা নয়; আগামী দিনের আয়ের পথও ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
সূত্র মতে, কয়েক অর্থবছর থেকে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হলেও শুল্ক-কর আদায় ভালো নয়। তাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংস্থাটির রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ২০ হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছে। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়াচ্ছে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরকে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হয়। কিন্তু অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে শুল্ক-কর আদায়ে ঘাটতি হয়েছে ২৩ হাজার ২২৭ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে বাড়তি রাজস্ব আদায়ের চাপ আছে। একদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত অনুসারে মোট দেশজ উৎপাদনের দশমিক ৫ শতাংশ বাড়তি রাজস্ব আদায়ের চাপ। অন্যদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বাড়ছে, তাই অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সম্পদ আহরণ বৃদ্ধির চাপ আছে। এ ছাড়া সরকারের বাজেটের আকার প্রতিবছর বাড়ছে। সেটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে অর্থের জোগান দেয়ার পুরোনো চাপ তো আছেই।
এমন অবস্থায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটি এনবিআরের মাধ্যমে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে। এখন আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং শুল্ক খাতে কি পরিমাণ লক্ষ্য কমানো হবে তা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
আমদানি নিয়ন্ত্রণের প্রভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি শ্লথ হওয়ায় রাজস্ব আয়ে ভাটা পড়েছে। আয়ে টান পড়লেও ব্যয় কিন্তু থেমে নেই। এতে টান পড়েছে কোষাগারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন মতে, গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। আদায় হয়েছিল ৩ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা। প্রতি বছরই রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হয়। রাজস্ব আয়ে ঘাটতি হলে ওই টাকা সরকার ঋণ করে মিটিয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে সরকারের ঋণের দরজা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। যে কারণে আগের মতো এবার আর ঋণ পাচ্ছে না। ফলে সরকারের টাকার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। সরকার সবচেয়ে বেশি ঋণ নেয় বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে ঋণ নেয়াও সরকারের অন্যতম একটি উৎস। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে ঋণ নিলে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যায়। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণের কারণে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। এ হার নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া বন্ধ।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, রাজস্ব আয়ের যে লক্ষ্য, সেটা অর্জন হচ্ছে না। ঘাটতি বরাবরই আছে। সামনে সরকারের তহবিলে চাপ বাড়বে।
আইএমএফ’র অনুমোদিত ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণের অন্যতম শর্ত হলো চলতি অর্থবছর থেকেই মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দশমিক ৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক-কর আদায়ের যে শর্ত আছে, তা দেখাতে হবে তৃতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের আগেই। সেই হিসাবে আইএমএফ’র তরফ থেকে এনবিআরকে অন্তত ৪ লাখ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য দেয়া হয়।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই-ডিসেম্বর ছয় মাসে সব মিলিয়ে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩০ কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায় হয়েছে। এ সময়ে আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারিত ছিল ১ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা। গত ছয় মাসে গড়ে সাড়ে ২৭ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। কিন্তু সংশোধিত লক্ষ্য অর্জনে প্রতি মাসে গড়ে ৪০ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা আদায় করতে হবে। এনবিআর ইতিপূর্বে কখনোই এভাবে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এত শুল্ক-কর আদায় করতে পারেনি।
এ ছাড়া আগামী জুন মাসের মধ্যে এনবিআরের বেশ কিছু সংস্কারও করার বাধ্যবাধকতা আছে। রাজস্ব খাতের সংস্কারে আইএমএফ’র অন্যতম শর্ত হলো আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং শুল্ক খাতে বছরের পর বছর যেসব কর ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা কমাতে হবে। এর দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে আগামী জুনের আগেই কাজটি শুরু করতে হবে। এ লক্ষ্যে এনবিআরের সদস্য সামস উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্ব একটি দল কাজ করছে।
সম্প্রতি এনবিআর আয়কর খাতে কত ছাড় দেয়া হয়েছে, সেটির হিসাব করেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে বছরে ১ লাখ ২৫ হাজার ৮১৩ কোটি টাকার আয়কর ছাড় দেয়া হয়। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ৮৫ হাজার ৩১৫ কোটি টাকার করপোরেট কর ছাড় দেয়া হয়। বাকি ৪০ হাজার কোটি টাকা ছাড় দেয়া হয় ব্যক্তিপর্যায়ের করদাতাদের ক্ষেত্রে। এনবিআরের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ৯৭টি খাতে করছাড় দেয়া হয়।
এনবিআরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, জাতীয় নির্বাচনের কারণেও রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। এসব কারণে এবার কাক্সিক্ষত হারে রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। তারা আরও জানান, ধীরে ধীরে শুল্ক-কর ছাড় কমিয়ে আনা হচ্ছে। আগামী বাজেটেও এর প্রতিফলন থাকবে। ভবিষ্যতে রাজস্ব আদায়ের গতি আরও বাড়বে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানগ্লোবাল ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যাওর্য়াডস পেল ইসলামী ব্যংক
কোন শ্রমিক তার কারখানার ক্ষতি করবে না: শ্রম সচিব
নাঙ্গলকোটে প্রাথমিক শিক্ষা পদকে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন যারা
সিলেটে বজ্রপাতে পৃথক স্থানে নিহত ২
আ'লীগের চিহ্নিত সুবিধাভোগী সিলেট করিমউল্লাহ মার্কেট মালিকপক্ষের প্রতারণার শিকার এক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর আর্তনাদ !
জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবে শহিদ ছাত্র-জনতা চোখে আঙুল দিয়ে অনেক কিছু দেখিয়ে গেছেন-বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি
লৌহজংয়ে বিএনপির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত
শান্তর ফিফটির পর দিনের খেলার ইতি
নিউইয়র্কে বৈঠকে বসছেন তৌহিদ-জয়শঙ্কর
ছক্কা হাঁকানোর পরের বলেই আউট মুশফিক
ঝাড়খন্ডে কথিত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য অমিত শাহের
মুমিনুলকেও হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ
রাবির মাদার বখ্শ হলের পানির ট্যাংক থেকে উদ্ধার হলো দেশীয় অস্ত্র
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ড. ইউনূসের ভাষণ ২৭ সেপ্টেম্বর
ঢাবির হত্যার ঘটনায় প্রভোস্টকে অব্যাহতি
আইন-শৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: রাঙামাটিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মেক্সিকোতে মাদক কারবারিদের মধ্যে সংঘর্ষে দুই সপ্তাহে নিহত ৫৩
বিদ্যুৎ সাত-আট ঘণ্টা পর্যন্ত গ্রামে থাকে না
দুর্গাপূজায় ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত
জাকিরের পর ফিরলেন সাদমানও