উৎকোচে মিলে সুবিধা
০৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৮ পিএম | আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৮ পিএম
কারাগার মানেই আতঙ্কের নাম। উন্নত বিশ্বে কারাগার সংশোধনাগারের প্রতীক ও বাস্তবতা হলেও ডিজিটাল তথা বর্তমান স্মার্ট বাংলাদেশে সেই বাস্তবতা কল্পনা। মূলত কারাগারে পাঠানো হয় মানুষকে শায়েস্তার মানসিকতায়। সেখানে তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে মানুষ বের হলেও সংশোধনের বিপরীতে বেপরোয়া হয়ে উঠে আরো।
কারাগারে যাওয়ার ভয়ভীতি দূর হয়ে যায় প্রবেশ করার পর। কারণ শক্তিশালী মানুষ কারগারের পরিবেশ পরিস্থিতি নিজের মতো করে নিতে পারে অবৈধ পন্থায়। প্রবাসী অধ্যূষিত সিলেট কেন্দ্রিয় কারাগারের অপরাধীর চেয়ে নিরপরাধ মানুষের সংখ্যাই বেশি। আইনের ফাঁকে ছোটরা আটকে গেলেও বড় মানুষ ঠিকই নিজকে চালিয়ে রাখে আইনের বাইরে। সেকারণে ক্রমশ ডেমকেয়ার মনোভাবে পথ চলছে তারা। সিলেট কারাগারে সাধারণ মামলার চেয়ে রাজনীতিক বন্দির সংখ্যা বেশি। আন্দোলন কেন্দ্রিক কোন ইস্যুর সৃষ্টি হলে এ সংখ্যা বেড়ে যায়। কারাগারের চার দেয়ালে বন্দি হচ্ছেন রাজনীতিক বিরোধীরাই মূলত। সংশোধনের চেয়ে প্রতিহিংসাই এর নৈপথ্য কারণ। সিলেট কেন্দ্রিয় কারাগারে ধারন ক্ষমতা ২০০০ জন। কিন্তু ধারন ক্ষমতার চেয়ে বন্দি সংখ্যা বেড়ে যায় যে কোন ইস্যুতে। যেমন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিরোধী রাজনীতিক দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও জামিন বাতিলের ঘটনায় সে সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল।
এদিকে, কারাগারের একাদিক শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। তারা পুরো কাগারগারকে নিয়ন্ত্রণ করে ব্যক্তিগত অর্থের মাধ্যমে। কারাগারে নগদ টাকার লেনদেন নেই, তবে এক প্যাকেট বেনসন সিগারেট হলে কারাবন্দিরা নিজেদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করতে পারেন অনায়াসে। কারাগারের মধ্যে মানসিক যন্ত্রনার একটি মাধ্যম হলো টয়লেট। ্ওয়ার্ডগুলোর অভ্যন্তরে টয়লেন। সেই টয়লেটের পাশে যাদের বিছানা দেয়া হয়, তাদের যন্ত্রনার শেষ নেই। সেই অবস্থা থেকে পরিত্রাণে বেনসন সিগারেট অন্যতম উপায়। সিলেট কারাগারে বিশুদ্ধ পানি বা সাধারণ পানি অপ্রতুল। পানির জন্য হাহাকার চলে কারাবন্দিদের মধ্যে। এছাড়া পিসিতে যে অর্থ দেয়া হয় কারাবন্দিদের খরচের উদ্দেশে, সেই টাকা সিংহভাগ খরচ হয় অতিমূল্যে বাজার করতে গিয়ে। কারাগারের নির্ধারিত দোকানে সব কিছুর মূল্য চড়া। প্রথমে একজন কারাবন্দি আমদানীতে পা রাখে। সেখানে অবর্ণনীয় কষ্টে দিনরাত কাটাতে হয় তাদের। তারপর জমাদার বা দায়িত্বরতদের বেনসন বা ডারবি সিগারেট উৎকোচ দিয়ে চাহিদা মতো ওয়ার্ডে স্থানান্তর হতে পারেন তারা। কারাবন্দিদের উপর মশার দাপট না বললেই নয়। মশা নিধনে কার্যকর স্থায়ী কোন পদক্ষেপ নেই। সবকিছু মিলিয়ে ক্ষমতা ও অর্থ যাদের আছে তারা কারাগারের আরাম আয়াশে দিন পার করতে পারেন। কিন্তু তারা নিঃস্ব তাদের জন্য কারাগার একটি নরক যন্ত্রনা।
সর্বশেষ তথ্য অনুয়ায়ী সিলেট কারাগারে বন্দির সংখ্যা ২০০৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ বন্দি ২১৪৪ জন, নারী ৫৯ জন। দেশের রাজনীতিক অস্থিরতা কমতে শুরু হওয়ায় রাজনীতিক বন্দিদের সংখ্যা কমছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
আসাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রস্তুত এরদোগান
পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানার সঙ্গে নোবিপ্রবি ভিসির সৌজন্য সাক্ষাৎ
পুলিশের গুলিতে আহত শিশু রাতুলের মৃত্যু ঢাকায়
কেজরিওয়ালের আসন ফাঁকা রেখেই মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন অতিশী
যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির
ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং, গরমে সর্বত্র ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চলের মানুষের!
পিছিয়ে গেল আর জি কর মামলার শুনানি, নতুন দিন ঘোষণা
ত্রিশঙ্কুর ভয়ে কাশ্মীরে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ওমরের
ইটালিতে বাড়ি ভেঙে মা ও দুই শিশুর মৃত্যু
এনবিসি সমীক্ষায় ট্রাম্পের থেকে এগিয়ে হ্যারিস
বকেয়া বেতনের দাবিতে আশুলিয়ায় সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ, বন্ধ ৫১টি ছুটি ৮টি কারখানা
ব্র্যান্ডেনবুর্গের নির্বাচনে এক নম্বর দল হতে চলেছে এসপিডি
জম্মুর হিন্দুদের দিয়ে অধিকৃত কাশ্মীর জেতা বিজেপির পক্ষে সম্ভব হবে?
রাজবাড়ীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু স্বামী আটক
কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিধি অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিএমপি
কক্সবাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার মিছিলে গুলি বর্ষণকারী চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আটক
মহিপুরে ইটালী পরিবহন রাস্তার বাইরে আহত -১৫
কমবে গরম, বাড়বে বৃষ্টি
কুলাউড়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত করেছিল ইসরাইল