বাজারে সজনের কেজি ২শ’, চাষের প্রসারে নেই উদ্যোগ
০৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম
গাছে গাছে সজনে ফুলের সমারোহ। ধবধবে সাদা রঙের সজনে ফুলের সমারোহ দেখে কার না মন উতলা হয়ে ওঠে। তবে কবিতা ,সাহিত্যে, গানে কিন্তু সজনে ফুলের তেমন স্থান চোখে পড়েনা। যেভাবে স্থান পেয়েছে সাদা গন্ধরাজ, রজনীগন্ধা শে^ত পদ্ম ইত্যাদী। অথচ ইংরেজিতে সজনে গাছকে চিহ্নিত করা হয়েছে মিরাকল ট্রি হিসেবে। ইদানিং অবশ্য একটি বাণিজ্য সিন্ডিকেট মরিঙ্গা’ নাম দিয়ে সজনে পাতার গুঁড়ো বানিয়ে সর্বরোগের ওষুধ হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে মানুষের পকেট কাটছে।
মরিঙ্গা বা সজনে পাতার কেজি এখন ৬০০-৭০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত এবং সজলে ফল সবজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ২শ’ টাকা দরে। বসন্তকাল সজনের ফুল আসে। ফলে এটা অফসিজন হওয়ায় চোরাপথে ভারত থেকে আসছে বারোমাসি সজনে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও ঈশ^রদী অঞ্চলের কিছু এলাকায় ভারতীয় বারোমাসি জাতের সজনের বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়েছে। তবে দেশে এবং প্রবাসি বাঙালীদের মধ্যে ইদানিং স্বাস্থ্য চেতনা বৃদ্ধি পাওয়ায় সবজি হিসেবে সজনের চাহিদা অনেক বেড়েছে। এর বাণিজ্যিক ফায়দা লুটছে ভারতীয় উৎপাদকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বারোমাসি সজনে এখন কোলকাতার কাঁচা বাজারে ৩০-৪০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সব অঞ্চলের সব বাজার হাটের ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বারোমাসি সজনে।
বাজার সংশ্লিস্ট সুত্র জানিয়েছে, প্রতিবেশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, আসাম ও ত্রিপুরায় বিভিন্ন অঞ্চলে সজনে বা বিভিন্ন সবজির বাজারদর একেক জায়গায় একেক রকম। অন্যদিকে বাংলাদেশের সর্বত্রই একদর প্রমাণ করে বাজার সিন্ডিকেটের সক্রিয়তা ও নিখুত নেটওয়ার্ক।
উদ্ভিতত্ত্ব বিভাগের একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করে জানান, সজনে গাছের ডার, পাতা, ফুল ও ফলের ওষুধীগুণের কারণেই ইংরেজিতে এটিকে মিরাকল ট্রি বলা হয়। এছাড়া সজনে চাষের খরচ নেই বলইে চলে। সজনে গরম বা শীতে কোনরকম প্রিজারভেশন ছাড়াই সাধারণ টেম্পারেচারে অনেকদিক রেখে খাওয়া যায়। তারপরও সজনে চাষে এত অবহেলা কেন এটা একটা বড় প্রশ্ন? তারা জানান, দেশেই বারোমাসি সজনে চাষের ব্যবস্থা থাকলে সব মৌসুমেই সজনের সরবরাহ থাকলে ভারত থেকে সজনে আনার প্রয়োজন পড়তোনা। অন্যদিকে রফতানি পণ্যের তালিকায় যুক্ত হতো সজনে।
সজনে সম্পর্কে তথ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই দেশের আবহাওয়া উপযোগি বারি সজনের জাত উদ্ভাবন ও উন্নয়ন হয়েছে। সীমিত আকারে হলেও শুরু হয়েছে সজনের বাণিজ্যিক চাষাবাদ।
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে রেললাইনের ধারে সাধারণত অবহেলায় বেড়ে ওঠা সজনে গাছ থেকে বাজারে সজনের আগমন হয়। বিশেষ করে রেল কলোনিকে ঘিরেই দেশের প্রসার ঘটেছে। প্রবীন ব্যক্তিরা জানান, বিহার থেকে আগত মুহাজির শ্রেণির অবাঙ্গালী মুসলমানরাই ৪৭ সালের ভারত বিভক্তির সময় সাথে করে রাম ছাগল ও সজনে ডাটা নিয়ে আসে। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বিহারীদের ব্যাপকভাবে রেল, পুলিশ, জেলখানায় চাকুরী দিয়ে পুনর্বাসিত করে। সেই কারণে রেল স্টেশন, রেল কলোনি, পুলিশ লাইন্স এবং জেলখানা সংলগ্ন এলাকায় সজনে গাছের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা যায় ।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
আসাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রস্তুত এরদোগান
পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানার সঙ্গে নোবিপ্রবি ভিসির সৌজন্য সাক্ষাৎ
পুলিশের গুলিতে আহত শিশু রাতুলের মৃত্যু ঢাকায়
কেজরিওয়ালের আসন ফাঁকা রেখেই মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন অতিশী
যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির
ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং, গরমে সর্বত্র ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চলের মানুষের!
পিছিয়ে গেল আর জি কর মামলার শুনানি, নতুন দিন ঘোষণা
ত্রিশঙ্কুর ভয়ে কাশ্মীরে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ওমরের
ইটালিতে বাড়ি ভেঙে মা ও দুই শিশুর মৃত্যু
এনবিসি সমীক্ষায় ট্রাম্পের থেকে এগিয়ে হ্যারিস
বকেয়া বেতনের দাবিতে আশুলিয়ায় সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ, বন্ধ ৫১টি ছুটি ৮টি কারখানা
ব্র্যান্ডেনবুর্গের নির্বাচনে এক নম্বর দল হতে চলেছে এসপিডি
জম্মুর হিন্দুদের দিয়ে অধিকৃত কাশ্মীর জেতা বিজেপির পক্ষে সম্ভব হবে?
রাজবাড়ীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু স্বামী আটক
কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিধি অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিএমপি
কক্সবাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার মিছিলে গুলি বর্ষণকারী চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আটক
মহিপুরে ইটালী পরিবহন রাস্তার বাইরে আহত -১৫
কমবে গরম, বাড়বে বৃষ্টি
কুলাউড়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত করেছিল ইসরাইল