গুদামে থাকা সব চিনি পুড়ে গেছে
০৫ মার্চ ২০২৪, ১২:২৩ এএম | আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৪, ১২:২৩ এএম
এস আলম গ্রুপের চিনি পরিশোধন কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গ্রুপের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুনে পবিত্র মাহে রমজানে বাজারে সরবরাহ করতে পরিশোধনের জন্য রাখা একটি গুদামের প্রায় সব চিনি পুড়ে গেছে। তবে রমজানের আগে চিনির গুদামে আগুনের ঘটনায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে আগুন লাগার কিছু সময়ের মধ্যেই গুদামে থাকা অপরিশোধিত সব চিনি পুড়ে গেছে বলে এস আলম গ্রুপের কর্মকর্তাদের বক্তব্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে গুদামে কী পরিমাণ চিনি ছিলো তা স্পষ্ট নয়। আবার এই ঘটনার সাথে রমজানের আগে বাজারে চিনির কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টির কোন যোগসূত্র রয়েছে কি না তা নিয়েও নানা গুঞ্জন চলছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে ৪টার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা এলাকায় এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে আগুন লাগে। কারখানাটি কর্ণফুলী নদীর পাড়ে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে। কর্ণফুলী স্টেশন থেকে একটি এবং চন্দনপুরা ও আগ্রাবাদ থেকে আরও আটটিসহ মোট ৯টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে। চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কয়েক ঘণ্টা পর রাতে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছিল। আগুন যেন পুরো কারখানায় ছড়াতে না পারে সেই চেষ্টা করছেন তারা।আর তাতে কারখানা নিরাপদ রাখা গেছে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। কারখানার ভেতরে মূল অংশসহ আশপাশে আগুন অনেকটা ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো সরাসরি কর্ণফুলী নদী থেকে পাইপের মাধ্যমে পানি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
ঘটনাস্থলে এস আলম গ্রুপের মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফয়সাল সাংবাদিকদের বলেন, এ কারখানায় আমদানি করা কাঁচা চিনি পরিশোধন করা হয়। চার লাখ মেট্রিকটন ক্যাপাসিটি আছে। ইউনিট-ওয়ান এর গুদামে আগুন লেগেছে। সেখানে এক লাখ মেট্রিকটন অপরিশোধিত চিনি ছিল। সেগুলো সব পুড়ে গেছে। রমজানের জন্য চিনিগুলো আমদানি করা হয়েছিল। আগুন যাতে মূল কারখানা এবং ফিনিশড সুগার যেখানে রাখা হয়, সেখানে ছড়িয়ে না পড়ে সেই চেষ্টা করা হয়েছে। সেখানে আগুন লাগলে রমজানে আমাদের পক্ষে বাজারে চিনি দেওয়া সম্ভব হতো না । বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে এস আলম গ্রুপের এ কর্মকর্তা ধারণা করছেন।
ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড থেকে চিনির কাঁচামাল এনে পরিশোধন করা হয় এস আলম গ্রুপের এই কারখানায় দুইটি প্লান্টে। এর মধ্যে প্লান্ট ১ এর উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ৯০০ টন, প্লান্ট ২ এর উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ টন। থাইল্যান্ড ও ফ্রান্সের প্রযুক্তি ও কারিগরি সহায়তায় এ কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছে। এর আগে শুক্রবার নগরীর বাকলিয়া এলাকায় একটি হিমাগারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেটিও এস আলম গ্রুপের একজন পরিচালকের।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে ৩০ কর্মকর্তার বদলি
মোহাম্মদপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
শ্রমিক বিক্ষোভে আশুলিয়ায় ৩৯ পোশাক কারখানা বন্ধ, সড়ক অবরোধ
বরিশাল রেঞ্জের আনসারের উপ-মহাপরিচালক ফখরুলকে বরখাস্ত
সৈয়দপুরে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি ঘরে ঘরে, হাঁসফাঁস জীবন
গাজীপুরে ১২ দফা দাবি জানিয়ে কারখানা শ্রমিকদের বিক্ষোভ
চিরচেনা রূপে রাঙামাটি
ট্রাম্পকে হত্যা চেষ্টা নিয়ে যেভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে
লেবাননে পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ নিয়ে যে ছয়টি প্রশ্ন সামনে আসছে
সুনামগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষ, আহত শতাধিক
সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রীর ফাঁসির দাবিতে সুনামগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ
নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তিনে শ্রীলঙ্কা
খাগড়াছড়িতে অবরোধের তৃতীয় দিন, বাজারে পাহাড়ি-বাঙালি উপস্থিতি স্বাভাবিক
শৈলকুপায় নিখোঁজের ৩ দিন পর মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
অমিত শাহ’র বক্তব্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে না : জামায়াত
এবার পাকিস্তানে ১২ দেশের কূটনীতিকদের গাড়িবহরে হামলা
নতুন থিয়ানছি স্যাটেলাইটগুচ্ছ উৎক্ষেপণ করেছে চীন
বাংলাদেশের জন্য এবারের জাতিসংঘ সম্মেলন যেসব কারণে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ
‘প্রতি বছরই সম্পদের হিসাব দিতে হবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের’
গোয়ালন্দে চরমপন্থি দলের সদস্যকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা