ঢাকা   সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৮ আশ্বিন ১৪৩১
-সংসদে প্রধানমন্ত্রী

দেশে-বিদেশে কোনো নালিশ করে লাভ হবে না

Daily Inqilab -সংসদে প্রধানমন্ত্রী

০৫ মার্চ ২০২৪, ১১:৫২ পিএম | আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৪, ১১:৫২ পিএম

৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো এতো সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনে অতীতে কখনো হয়নি দাবি করে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, অপ্রতিরোধ্য গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, দেশে-বিদেশে কোনো নালিশ করে কোনো লাভ হবে না। জনগণ ভোট দেবে না, তাদের প্রতি কোনো আস্থা-বিশ্বাস নেই-এটা জেনেই নির্বাচনে আসেনি বিএনপি। দেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে বলেই বাংলাদেশ এখন এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। দেশের এ অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সমাপনি অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ইসরাইলের মতো বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল হয়ে এসেছে। তাদের নেতারা বলেন তাদের অনেক রাজবন্দী কারাগারে আছে। আমার প্রশ্ন- রাজবন্দী কাকে বলে? যারা আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে, নাশকতা ও অগ্নিসন্ত্রাস করে তারা কি রাজবন্দী? এরা সন্ত্রাসী-জঙ্গী-হত্যাকারী। এদের কেউই রেহাই পেতে পারে না, এটাই বাস্তবতা।
সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ করে সংসদ নেতা বলেন, প্রত্যেকে নিজ নিজ আসনে যারা এসব নাশকতাকারী-অগ্নিসন্ত্রাসী আছে তাদের খুঁজে বের করতে হবে, মামলাগুলো যেন ঠিকভাবে নিষ্পত্তি শেষে অপরাধীরা শাস্তি পায় তা দেখতে হবে। এদের হাত থেকে প্রধান বিচারপতির বাসভবন, বিচারপতিদের বাসভবন, পুলিশ, সাংবাদিক এমনকি নারীরাও রেহাই পায়নি। লন্ডন থেকে হুকুম দেয়, আর এখানে তাদের লোকেরা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে। আবার অগ্নিসন্ত্রাস করে সেই ছবিও লন্ডনে পাঠাতে হয়।
তিনি বলেন, সুদূরে নিরাপদ আশ্রয় থেকে হুকুম পেয়ে যারা এখানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে এবং ছবি পাঠাচ্ছে- তারা তো সেই আলামত নিজেরাই প্রকাশ করছে। তাদের গ্রেফতার করলে তারা রাজবন্দী হয় কীভাবে? এসব সন্ত্রাসী-নাশকতাকারীদের প্রতিরোধ করতে হবে। এদের ব্যাপারে দেশবাসীকেও সদা সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
প্রেসিডেন্টের ভাষণের ওপর আরও আলোচনায় অংশ নেন সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী ও সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন। সমাপনী বক্তব্য রাখেন বিরোধী দলের নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। আলোচনার পর কণ্ঠভোটে সর্বসম্মতক্রমে প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনীত প্রস্তাবটি গ্রহণ করে জাতীয় সংসদ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন একটি দল ও তাদের জোটের কিছু সঙ্গীরা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। বিএনপি নির্বাচন চায় না, কারণ তারা জানে তারা জনগণের ভোট পাবে না। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। দেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে মোট এক হাজার ৯৭০ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও অবাধ হয়েছে, দেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিয়েছে। এ নির্বাচনে নারী এবং দেশের প্রথম ভোটার তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখ করার মতো। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২৪টি, স্বতন্ত্র ৬১ জন, বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ১১টি এবং জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টির একজন করে নির্বাচিত হয়েছেন।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

রাতের ভোটের কারিগর হেলাল উদ্দিন এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ কক্সবাজার বাসী

রাতের ভোটের কারিগর হেলাল উদ্দিন এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ কক্সবাজার বাসী

খুলনার ডিসি সাইফুলকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানব বন্ধন

খুলনার ডিসি সাইফুলকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানব বন্ধন

পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে ৩০ কর্মকর্তার বদলি

পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে ৩০ কর্মকর্তার বদলি

মোহাম্মদপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

মোহাম্মদপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

শ্রমিক বিক্ষোভে আশুলিয়ায় ৩৯ পোশাক কারখানা বন্ধ, সড়ক অবরোধ

শ্রমিক বিক্ষোভে আশুলিয়ায় ৩৯ পোশাক কারখানা বন্ধ, সড়ক অবরোধ

বরিশাল রেঞ্জের আনসারের উপ-মহাপরিচালক ফখরুলকে বরখাস্ত

বরিশাল রেঞ্জের আনসারের উপ-মহাপরিচালক ফখরুলকে বরখাস্ত

সৈয়দপুরে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি ঘরে ঘরে, হাঁসফাঁস জীবন

সৈয়দপুরে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি ঘরে ঘরে, হাঁসফাঁস জীবন

গাজীপুরে ১২ দফা দাবি জানিয়ে কারখানা শ্রমিকদের বিক্ষোভ

গাজীপুরে ১২ দফা দাবি জানিয়ে কারখানা শ্রমিকদের বিক্ষোভ

চিরচেনা রূপে রাঙামাটি

চিরচেনা রূপে রাঙামাটি

ট্রাম্পকে হত্যা চেষ্টা নিয়ে যেভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে

ট্রাম্পকে হত্যা চেষ্টা নিয়ে যেভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে

লেবাননে পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ নিয়ে যে ছয়টি প্রশ্ন সামনে আসছে

লেবাননে পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ নিয়ে যে ছয়টি প্রশ্ন সামনে আসছে

সুনামগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

সুনামগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রীর ফাঁসির দাবিতে সুনামগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ

সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রীর ফাঁসির দাবিতে সুনামগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তিনে শ্রীলঙ্কা

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তিনে শ্রীলঙ্কা

খাগড়াছড়িতে অবরোধের তৃতীয় দিন, বাজারে পাহাড়ি-বাঙালি উপস্থিতি স্বাভাবিক

খাগড়াছড়িতে অবরোধের তৃতীয় দিন, বাজারে পাহাড়ি-বাঙালি উপস্থিতি স্বাভাবিক

শৈলকুপায় নিখোঁজের ৩ দিন পর  মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার

শৈলকুপায় নিখোঁজের ৩ দিন পর মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার

অমিত শাহ’র বক্তব্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে না : জামায়াত

অমিত শাহ’র বক্তব্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে না : জামায়াত

এবার পাকিস্তানে ১২ দেশের কূটনীতিকদের গাড়িবহরে হামলা

এবার পাকিস্তানে ১২ দেশের কূটনীতিকদের গাড়িবহরে হামলা

নতুন থিয়ানছি স্যাটেলাইটগুচ্ছ উৎক্ষেপণ করেছে চীন

নতুন থিয়ানছি স্যাটেলাইটগুচ্ছ উৎক্ষেপণ করেছে চীন

বাংলাদেশের জন্য এবারের জাতিসংঘ সম্মেলন যেসব কারণে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ

বাংলাদেশের জন্য এবারের জাতিসংঘ সম্মেলন যেসব কারণে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ