ঢাকা   সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৮ আশ্বিন ১৪৩১
নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মির্জা আব্বাস

আওয়ামী লীগ সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

০৬ মার্চ ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৪, ১২:০১ এএম

সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে বিএনপির নিহত নেতাকর্মীদের প্রসঙ্গে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, পৃথিবীর কোন স্বৈরাচার কখনো এককভাবে কোনোদিন প্রতিষ্ঠিত হয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারে নাই। জনরোষে তারা যেতে বাধ্য হয়েছে। এরাও (আওয়ামী লীগ সরকার) একদিন যাবে। জবাবদিহিতা করতে হবে। আর ৪০ বছর পরে যদি কোন নেতার বিচার হতে পারে, এসমস্ত হত্যাকাণ্ডেরও বিচার করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবদলের উদ্যোগে ‘মুগদা থানা যুবদলের নেতা শামীম মোল্লা এবং আদাবর থানা যুবদল নেতা আবদুর রশিদের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না এবং শামীম মোল্লা ও আবদুর রশিদের পরিবারের সদস্যসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, এই যে আজকে হত্যাকাণ্ড এবং ২৮ তারিখে মিটিং পণ্ড করে দেয়া হলো, এটা খুব পরিকল্পিত। নির্বাচনে বিএনপি যাতে না যায়, এজন্য যাবতীয় ব্যবস্থা তারা করেছে। দেশি, বিদেশি এবং আন্তর্জাতিকসহ সবদিকে তারা করেছে। তারা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করলো যে, আমরা বলতে পারলাম না যে- আমরা নির্বাচনে যাবো। এমন কথা বলার পরিবেশ ও পরিস্থিতি ছিলো না। আর আমরা বারবার বলেছি, নির্বাচনে যাওয়ার জন্য এই পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কিন্তু তারা (সরকার) তা করেনি।
তিনি বলেন, দেশের যে অবস্থা, এই অবস্থায় জেলে থেকে বের হওয়ার পর এই প্রথম আমি সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। শারীরিকভাবে একটু অসুস্থ। যেকারণে এতদিন আসতে পারি নাই। আর আমি যখন জেলে ছিলাম। জেলে তিক্ত অভিজ্ঞতা। আমি ১৯৭৮ সাল থেকে কারাগারে আসা-যাওয়ার কারণে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। বহুবার জেলে গেছি। বহুবার জেল থেকে বেরিয়েছি। জেলের অভিজ্ঞতা একেক সময় একেক রকম। কিন্তু এবার জেলের যে তিক্ত অভিজ্ঞতা, জেলখানায় একজন মানুষ ঢোকা মানে হলো তার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে ঢোকা। জেলখানায় কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। কোন ব্যবস্থাই নেই। অর্থাৎ অসুখ হোক, সে মরে যাক।
আব্বাস বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি, সাহেব আমি একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছি। মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে যাই। আমরা বারবার অনুরোধ করেছি যে, বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠান। আমাকে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকতা স্পষ্টভাবে বললেন, আপনাদের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা দেয়া নিষেধ। আমরা বুঝে নিলাম যে, আমাদের চিকিৎসা হবে না।
আন্দোলনে নেতাকর্মীদের মৃত্যুর প্রসঙ্গে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, এরা প্রাণ দিলো কেনো? সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য কিংবা সরকার থাকার জন্য মানুষগুলো প্রাণ নিতেই হবে? কতগুলো প্রাণ। একটা-দু’টা। ১৫ বছরে আমাদের হাজার হাজার কর্মী প্রাণ দিয়েছে!


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

রাতের ভোটের কারিগর হেলাল উদ্দিন এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ কক্সবাজার বাসী

রাতের ভোটের কারিগর হেলাল উদ্দিন এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ কক্সবাজার বাসী

খুলনার ডিসি সাইফুলকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানব বন্ধন

খুলনার ডিসি সাইফুলকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানব বন্ধন

পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে ৩০ কর্মকর্তার বদলি

পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে ৩০ কর্মকর্তার বদলি

মোহাম্মদপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

মোহাম্মদপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

শ্রমিক বিক্ষোভে আশুলিয়ায় ৩৯ পোশাক কারখানা বন্ধ, সড়ক অবরোধ

শ্রমিক বিক্ষোভে আশুলিয়ায় ৩৯ পোশাক কারখানা বন্ধ, সড়ক অবরোধ

বরিশাল রেঞ্জের আনসারের উপ-মহাপরিচালক ফখরুলকে বরখাস্ত

বরিশাল রেঞ্জের আনসারের উপ-মহাপরিচালক ফখরুলকে বরখাস্ত

সৈয়দপুরে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি ঘরে ঘরে, হাঁসফাঁস জীবন

সৈয়দপুরে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি ঘরে ঘরে, হাঁসফাঁস জীবন

গাজীপুরে ১২ দফা দাবি জানিয়ে কারখানা শ্রমিকদের বিক্ষোভ

গাজীপুরে ১২ দফা দাবি জানিয়ে কারখানা শ্রমিকদের বিক্ষোভ

চিরচেনা রূপে রাঙামাটি

চিরচেনা রূপে রাঙামাটি

ট্রাম্পকে হত্যা চেষ্টা নিয়ে যেভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে

ট্রাম্পকে হত্যা চেষ্টা নিয়ে যেভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে

লেবাননে পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ নিয়ে যে ছয়টি প্রশ্ন সামনে আসছে

লেবাননে পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ নিয়ে যে ছয়টি প্রশ্ন সামনে আসছে

সুনামগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

সুনামগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রীর ফাঁসির দাবিতে সুনামগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ

সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রীর ফাঁসির দাবিতে সুনামগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তিনে শ্রীলঙ্কা

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তিনে শ্রীলঙ্কা

খাগড়াছড়িতে অবরোধের তৃতীয় দিন, বাজারে পাহাড়ি-বাঙালি উপস্থিতি স্বাভাবিক

খাগড়াছড়িতে অবরোধের তৃতীয় দিন, বাজারে পাহাড়ি-বাঙালি উপস্থিতি স্বাভাবিক

শৈলকুপায় নিখোঁজের ৩ দিন পর  মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার

শৈলকুপায় নিখোঁজের ৩ দিন পর মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার

অমিত শাহ’র বক্তব্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে না : জামায়াত

অমিত শাহ’র বক্তব্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে না : জামায়াত

এবার পাকিস্তানে ১২ দেশের কূটনীতিকদের গাড়িবহরে হামলা

এবার পাকিস্তানে ১২ দেশের কূটনীতিকদের গাড়িবহরে হামলা

নতুন থিয়ানছি স্যাটেলাইটগুচ্ছ উৎক্ষেপণ করেছে চীন

নতুন থিয়ানছি স্যাটেলাইটগুচ্ছ উৎক্ষেপণ করেছে চীন

বাংলাদেশের জন্য এবারের জাতিসংঘ সম্মেলন যেসব কারণে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ

বাংলাদেশের জন্য এবারের জাতিসংঘ সম্মেলন যেসব কারণে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ