জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার খ মহিদ উদ্দিন এ কথা বলেন।
অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় আম্মান ও দ্বীন ইসলামকে গত শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। এ বিষয়ে মহিদ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আম্মান ও দ্বীন ইসলামের খণ্ডিত সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তবে এই সংশ্লিষ্টতার গভীরতা কতখানি, সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। তিনি বলেন, গত শনিবার রাতে অবন্তিকার মা বাদী হয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে দুজনকে (আম্মান ও দ্বীন ইসলাম) আসামি করা হয়েছে। যে কারনে গ্রেফতারকৃত আসামিদের কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অবন্তিকা (২৪)। তার বাবা প্রয়াত জামাল উদ্দিন সরকারি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। মা ছিলেন কুমিল্লা পুলিশ লাইনস উচ্চবিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক।

নিজের ফেসবুকে করা পোস্টে অবন্তিকা লেখেন, ‘আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী, আর তার সহকারী হিসেবে তার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। ’ অবন্তিকার মৃত্যুর খবর ক্যাম্পাসে আসার পথ থেকে তার সহপাঠীসহ শিক্ষার্থী বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। গত শনিবার সকাল থেকেও ক্যাম্পাসে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে এ ঘটনায় জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে সাময়িক অব্যাহতি ও শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।