বাঙালি হত্যার নীলনকশা ইয়াহিয়ার অনুমোদন
২০ মার্চ ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৪, ১২:০৩ এএম
২০ মার্চ ১৯৭১ সাল। এই দিনে বাঙালী হত্যাযজ্ঞের নীলনকশা অনুমোদন করেন তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান। এর আগে একই দিনে ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে চতুর্থ দিনের মতো বৈঠকে বসেন। রমনার প্রেসিডেন্ট ভবনে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় বৈঠকটি। এদিন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় ৬ নেতাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে বেরিয়ে এলে পুরো এলাকা শত শত কণ্ঠে জয় বাংলা স্লোগান মুখরিত হয়ে ওঠে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তৎকালীন মেজর সিদ্দীক সালিকের বই থেকে জানা যায়, এদিন ঢাকা সেনানিবাসে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান তার সামরিক উপদেষ্টা জেনারেল হামিদ খান, পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক প্রশাসক টিক্কা খান, জেনারেল পীরজাদা, জেনারেল ওমর, জেনারেল মিঠঠাসহ পদস্থ সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। এ বৈঠকে তিনি সামরিক প্রস্তুতির পর্যালোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ইয়াহিয়ার আলোচনা ব্যর্থ হলে পাক বাহিনী কী পদক্ষেপ নেবে সেটাও এই বৈঠকে পরিকল্পনা করে রাখা হয়। অপারেশন সার্চ লাইট নামের ঘৃণ্য অভিযানেরও অনুমোদন দেওয়া হয় এই বৈঠকে।
এ দিকে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন ছয়টি থেকে ১৭টি পর্যন্ত পিআইএ ফ্লাইটে করে সৈন্য ও রসদ ঢাকায় আনা হচ্ছিল। কয়েকটি জাহাজ পূর্ণ করে সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র আনা হচ্ছিল চট্টগ্রাম বন্দরে। অসহযোগ আন্দোলনের শুরুতে বাংলাদেশে পাকিস্তানের স্থলবাহিনীর শক্তি ছিল এক ডিভিশন, ২০ মার্চ তা হয় দুই ডিভিশনের বেশি। এই সময়টায় প্রতিদিন সিংহল হয়ে একের পর এক বোয়িং-৭০৭ বিমানে করে পাক সৈন্য ও রসদ ঢাকায় আনা হচ্ছিল। আর চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ বোঝাই করা আনা হচ্ছিল সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র। অসহযোগ আন্দোলন শুরুর দিকে বাংলাদেশে পাক স্থলবাহিনীর শক্তি ছিল এক ডিভিশন। ২০ মার্চে এসে তা দ্বিগুন হয়ে দুই ডিভিশন ছাড়িয়ে যায়।
ইয়াহিয়ার সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে পরের দিন তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তানের শিরোনাম ছিল, মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক সঙ্কট নিরসনের পথে এগোচ্ছে। সংবাদে বলা হয় রাষ্ট্রীয় নীতির বর্তমান সঙ্কট নিরসনের পথে মুজিব-ইয়াহিয়া আলোচনায় গতকাল (শনিবার) অগ্রগতি সাধিত হয়। এ দিন কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সেনাদের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। একাত্তরের আজকের দিনে বঙ্গবন্ধুর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ও সুপ্রিম কোর্টের প্রখ্যাত আইনজীবী এ. কে. ব্রোহি ঢাকায় আসেন। তিনি সন্ধ্যায় হোটেল কন্টিনেন্টালে কাউন্সিল মুসলিম লীগ সভাপতি মিয়া মোমতাজ মোহাম্মদ দৌলতানা, ন্যাপ প্রধান খান আবদুল ওয়ালী খান, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মাহমুদ, পাঞ্জাব কাউন্সিল মুসলিম লীগ প্রধান সরদার শওকত হায়াত খান, বেলুচিস্তানের ন্যাপ নেতা গাউস বঙ বেজেঞ্জা প্রমুখ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
#
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
যে আইন বাংলাদেশে চলে, সেই আইনে পার্বত্য অঞ্চলেও চলবে -কুমিল্লার সমাবেশে ফয়জুল করিম চরমোনাই
সীতাকু-ের বিতর্কিত সাবেক সহকারী কমিশনার চট্টগামের এডিসি হলেন
ফরাজীকান্দি নেদায়ে ইসলাম ওয়েসীয়ান ছাত্রদের উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নাবী (সা.) উপলক্ষে আনন্দ র্যালি
ব্রুনাইয়ে ভবন থেকে পড়ে গফরগাঁওয়ের প্রবাসী নিহত
গুলিবিদ্ধ ইলহামের জন্য তারেক রহমানের অনন্য উদ্যোগ
মব জাস্টিসের প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন
মতলবে ছেলের ইটের আঘাতে মায়ের মৃত্যু : আটক ছেলে
ছাত্ররাজনীতিতে গুণগত সংস্কার প্রয়োজন : শিবির সেক্রেটারী
ভোলায় ঝড়ের কবলে পড়ে ১০ ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১
যে কোনো ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত: বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ
‘শুধু সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে’ : তারেক রহমান
সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক
কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু
একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১
বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির
মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান
জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী
দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক আওয়ামী লীগ তা কখনও চায়নি : শিমুল বিশ্বাস
এনপি জনগণকে নিয়ে যে কোনো ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এজেডএম ডাঃ জাহিদ হোসেন,
আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগে আওয়ামীলীগের পাঁচ নেতা গ্রেপ্তার