প্রথম কন্টেইনার টার্মিনাল বাস্তবায়নের গতি বাড়ছে
২৮ মার্চ ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪, ১২:০৪ এএম
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালিত হবে। দুই ধাপে পায়রা বন্দরের প্রথম কন্টেইনার টার্মিনাল বাস্তবায়ন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সে লক্ষ্যে ডেভেলপমেন্ট অব কন্টেইনার টার্মিনাল-১ অব পায়রা পোর্ট আন্ডার পিপিপি মডেল শীর্ষক প্রথম প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রাথমিক উদ্যোগ নেওয়া।এপ্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৪০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৬টি বার্থ নির্মাণ করা হবে। রাজধানী ঢাকা এবং তার বাইরের সাথে সবচেয়ে ছোট এবং গভীরতম (সমস্ত ৫ মিটার) নদীপথের সংযোগ। কোনো যানজট বা অপেক্ষার সময় ছাড়া ঝামেলামুক্ত বার্থিং। দেশের অন্যান্য প্রতিযোগী বন্দরের তুলনায় গভীরতর অ্যাক্সেস চ্যানেল। বন্দরটি বিশ্বমানের ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুল দ্বারা রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল এবং রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং করছে, যা চ্যানেলটিকে -১০.৫ মি সিডিতে গভীর করবে, বন্দরটিকে দেশের সবচেয়ে গভীরে পরিণত করবে। এর ফলে প্যানাম্যাক্স আকারের জাহাজগুলো বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে এমন ডিজাইন যুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী ফোনে বলেন, পিপিপি ভিত্তিতে পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালিত হবে। এবার দুই ধাপে পায়রা বন্দরের প্রথম কন্টেইনার টার্মিনাল বাস্তবায়ন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকা এবং তার বাইরের সাথে সবচেয়ে ছোট এবং গভীরতম (সমস্ত ৫ মিটার) নদীপথের সংযোগ। কোনো যানজট বা অপেক্ষার সময় ছাড়া ঝামেলামুক্ত বার্থিং। দেশের অন্যান্য প্রতিযোগী বন্দরের তুলনায় গভীরতর অ্যাক্সেস চ্যানেল।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে সীমিত পরিসরে ন্যূনতম প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সহায়তা সহ অপারেশনাল কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন। সেপ্টেম্বর ২০১৯ সাল থেকে কয়লা ও অন্যান্য পণ্যবাহী জাহাজ নিয়মিত বন্দরে কল করছে। পায়রা বন্দরকে আধুনিক সমুদ্র বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।
গত ২০২৩ সালের মধ্যে, মধ্য-মেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের সমাপ্তির মাধ্যমে পায়রা একটি সম্পূর্ণ চালু সমুদ্র বন্দর করার কথা থাকলেও তা করতে পারেনি। ইতিমধ্যে, বন্দরের মাস্টারপ্ল্যানটি নেদারল্যান্ড ভিত্তিক পরামর্শদাতা সংস্থা রয়্যাল হাসকোনিংডিএইচভি প্রস্তুত করেছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে (ডেভেলপমেন্ট অব কন্টেইনার টার্মিনাল-২ অব পায়রা পোর্ট) ১ হাজার ৯০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৮টি বার্থ নির্মাণ করা হবে। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বছরে ২০ লাখ টিইইউ কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং করা সম্ভব হবে, যা দেশের আমদানি-রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সহায়ক হবে। পিপিপির আওতায় প্রকল্পটি প্রণয়নের আগে একজন ট্রানজেকশন অ্যাডভাইজার নিয়োগ দিয়ে পুরো প্রকল্পটির একটি এসেসমেন্ট করা হবে।
গত বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত্র মন্ত্রিসভা কমিটিতে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে কমিটির এ সভা অনুমোদন দেয়া হয়। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার রাবনাবাদ চ্যানেলে অবস্থিত পায়রা বন্দরটি দেশের তৃতীয় বৃহৎ সমূদ্রবন্দর। এটি বর্তমান সরকারের ফাস্ট ট্র্যাক-এর আওতাভুক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার প্রকল্প। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দেশে বন্দরের ভবিষ্যৎ চাহিদা বিবেচনায় গত ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পায়রা বন্দর উদ্বোধন করা হয়। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এইচআর ওয়ালিংফোর্ড কর্তৃক সম্পাদিত প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা যাচাইয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে পায়রা বন্দর প্রকল্পের সার্বিক কর্মকাণ্ডকে ১৯টি কম্পোনেন্টে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ-২ প্রকল্পটি অন্যতম। পায়রা বন্দর নির্মাণ প্রকল্পটি সামগ্রিকভাবে বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রকল্পের বাস্তবতা বিবেচনায় পিপিপি এবং জি-টু-জি দুই ধরনের পদ্ধতির মধ্যে সুবিধাজনক যেকোনো পদ্ধতি অনুসরণ করে তা বাস্তবায়নের জন্য গত ২০১৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পায়রা বন্দর উন্নয়ন সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় প্রকল্পের ১২টি কম্পোনেন্ট পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এবং অবশিষ্ট ৭টি কম্পোনেন্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/সংস্থা কর্তৃক জিওবি/জি-টু-জি/এফডিআই/পিপিপি মডেলে কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এফডিআই/পিপিপি মডেলে পায়রা বন্দরের কম্পোনেন্টগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে পিপিপি কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে পায়রা পোর্ট কন্টেইনার টার্মিনাল-১ এবং পায়রা পোর্ট কন্টেইনার টার্মিনাল-২ শীর্ষক দুটি কম্পোনেন্ট পৃথকভাবে পিপিপি প্রকল্পের তালিকায় অন্তর্ভুক্তিকরণের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি চিঠি পিপিপি কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়। প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পিপিপির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর ডেভেলপমেন্ট অব কন্টেইনার টার্মিনাল-১ অব পায়রা পোর্ট আন্ডার পিপিপি মডেল’ শীর্ষক প্রকল্পের যোগ্যতা যাচাই-বাছাই সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্ক্রিনিং সভায় প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রজেক্ট স্ক্রিনিং-এর জন্য মেন্ডেটরি ক্রাইটারিয়া অনুযায়ী উত্তীর্ণ হয়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আ’লীগ সরকার কৃষিবান্ধব সরকার-সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি
টানা দুদিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস;
৫ ম্যাচ টি-২০ সিরিজের ট্রফি উম্মোচন হলো সিলেটে
কুমিল্লায় কন্যা অপহরণের মামলা করে ঘর ছাড়া বাবা-মা
মথুরার শাহী মসজিদ ভাঙ্গার ঘোষণা বিজেপিরভারতের মুসলিম ভোটাররা অস্তিত্ব সঙ্কটে
বিপিজেএ রাজশাহী শাখার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি তোতা,সাধারণ সম্পাদক সামাদ নির্বাচিত
বর্তমান সরকার শ্রমিক বান্ধব সরকার : মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী
বাংলাদেশে আগামী মাসে ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইথিওপিয়ান এয়ার ও এয়ার চায়না
বাবরদের উপর ক্ষেপেছেন রমিজ
দাবদাহে ঢাকায় উৎপাদনশীল খাতে বছরে ক্ষতি ২৭০০ কোটি ডলার
মাদারীপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০
রাজশাহী বাঘায় পুকুর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
ম্যাগার্ক তাণ্ডবে দিল্লির রেকর্ড ২৫৭
পাবনায় বৃষ্টির জন্য বিভিন্ন স্থানে ইস্তেসকার নামাজ ও দোয়া
রাজশাহীর মোহনপুরে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ব্যাক্ষা প্রদানের নোটিশ
না.গঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ১০ বছর
খুলনায় হায়ারের ফ্ল্যাগশিপ শোরুম উদ্বোধন
স্লটই হচ্ছেন লিভারপুল কোচ
স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড-চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড পেলেন সাইদ শাহীন