দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে ব্যয় ২ কোটি ৭৬ লাখ ৭৮ হাজার ১২০ টাকা। মূলত জনসভা, প্রচারণা, পোস্টার ইশতেহার প্রণয়নে এ ব্যয় করে দলটি। ফলে বিগত একাদশ সংসদ নির্বাচনের চেয়ে গত ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হওয়া দ্বাদশ ভোটে ১ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার ৪৮২ টাকা বেশি ব্যয় করে দলটি। দ্বাদশ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৬৬ জন প্রার্থী দেয়। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, দলটির সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয় করার সুযোগ ছিল। গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কমিশন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসি সচিবের কাছে দলের পক্ষ থেকে দ্বাদশ ভোটের ব্যয় বিবরণী জমা দেন। কমিশনের ব্যয় বিবরণী জমা দিয়ে দলটির পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানানো হয়।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, আমাদের সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ের সীমা ছিল। নির্বাচনে তার থেকে ব্যয় কম হয়েছে। দলটির কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ লীগের মোট নির্বাচনী ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৭৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ১২০ টাকা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যয় হয়েছিল ১ কোটি ৫ লক্ষ ৫৭ হাজার ৬ শত ৩৮ টাকা। আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে দলীয় তহবিল থেকে নির্বাহ করেছে।
এ সময় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, অর্থ পরিকল্পনা উপ-কমিাটর সদস্য জাফরুল শাহরিয়ার জুয়েল, সংস্কৃতি উপ-কমিটির সদস্য নুরুল আলম পাঠান উপস্থিত ছিলেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ১৯৭২ (আরপিও) অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনী ব্যয় বিবরণী দাখিল করতে হয়। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থীদের জন্য কত ব্যয় করতে পারবে, তা আইনে নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। কোনো দলের প্রার্থী ২০০ জনের বেশি হলে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা, প্রার্থীর সংখ্য ১০০ জনের বেশি তবে ২০০ জনের কম হলে ব্যয় করতে পারবে ৩ কোটি টাকা। কোনো দলের প্রার্থীর সংখ্যা ৫০ থেকে ১০০ হলে সেই দল দেড় কোটি টাকা এবং প্রার্থীর সংখ্যা ৫০ জনের কম হলে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবে।