সশস্ত্র নৌদস্যুদের অস্ত্রের মুখে চরম আতঙ্কে কাটে প্রতিটি ক্ষণ আল হামরিয়া বন্দরের পথে নিরাপদ জোনে এমভি আবদুল্লাহ

২৩ নাবিকের ভয়ঙ্কর ৩২ দিন!

Daily Inqilab রফিকুল ইসলাম সেলিম

১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৬ এএম

মেশিন গান, রকেট লঞ্চার এম-১৬ রাইফেল। ভারি যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে সার্বক্ষণিক পাহারায় থাকতো সোমালি নৌদস্যুরা। কথায় কথায় মাথায় অস্ত্র ঠেকানো হতো। প্রতিটি ক্ষণ কাটতো চরম উদ্বেগ উৎকন্ঠা আর আতঙ্কে। জীবন নিয়ে ফিরতে পারবো কী না তা নিয়ে ছিল চরম অনিশ্চয়তা। অস্ত্রের বহর দেখে মনে হয়েছে, যেন যুদ্ধক্ষেত্র। এভাবে সোমালিয়া উপকূলে জিম্মিদশার বর্ণনা দেন মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর কয়েক জন নাবিক। টানা ৩২ দিন জিম্মি করে রাখার পর গত শনিবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের কেএসআরএম গ্রুপের ওই জাহাজটি থেকে নেমে যায় সোমালিয়ার নৌদস্যুরা। জিম্মিদশার শুরু থেকে মুক্তি পর্যন্ত সবকিছুই ঘটে জাহাজের মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদসহ অন্যদের চোখের সামনে। তারা এখন জাহাজে বসে পরিবারের সদস্য এবং স্বজনদের দুর্বিষহ ওই জিম্মিদশার বর্ণনা দিচ্ছেন। কয়েক জন নাবিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জিম্মি সময়ের ভয়ঙ্কর চিত্র পাওয়া গেছে।

এদিকে গতকাল বুধবার জাহাজটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা অতিক্রম করে গেছে । দুবাইমুখী জাহাজটির পাশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ ছিল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জাহাজটি নিরাপদ জোন হয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল। আগামী ২২ এপ্রিল দুপুরের মধ্যে জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাতে পারে বলে জানান জাহাজে থাকা নাবিকেরা। জানা গেছে, সেখানে কয়লা খালাসের পর নাবিকদের ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। নাবিকদের বেশির ভাগ জাহাজযোগেই দেশে ফিরতে চান। কয়েক জন বিমানে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন কেএসআরএম এর কর্মকর্তারা।

যেভাবে কেটেছে ৩২ দিন:
১২ মার্চের সকাল। ২৩ বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ ভারত মহাসাগরে ছুটে চলছিল। মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা বোঝাই করে সোমালিয়ার উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগর হয়ে যাচ্ছে জাহাজ। একটু পরই জাহাজের তৃতীয় কর্মকর্তা দেখেন জাহাজের ডান পাশে অনেক দূরে একটি ফিশিং বোট। ফিশিং বোটটি দৃশ্যমান হওয়ার পর জাহাজটি বাঁয়ে ঘুরিয়ে দেন ক্যাপ্টেন। যাতে ব্যবধান বেড়ে যায়। নৌযানটি পর্যবেক্ষণ করতেই হঠাৎ দেখা যায়, নৌযানটি থেকে একটি স্পিডবোট সাগরে ভাসানো হয়েছে। তখনই তারা নিশ্চিত হয়ে যান, নৌদস্যুরা আসছে।

স্পিডবোট দ্রুতগতিত জাহাজের দিকে আসতে থাকে। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে কয়লা বোঝাই থাকায় গতি ছিল কম। ঘণ্টায় সাড়ে ১০ নটিক্যাল মাইল।
স্পিডবোটটি কাছাকাছি চলে আসার পর একবার ঢেউ সৃষ্টি করে দস্যুদের নৌকা সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। উচ্চচাপে পানি ছিটানো হয়। আবার ডানে-বাঁয়ে জাহাজ ঘুরিয়ে স্পিডবোটটির গতি কমানোর চেষ্টা করা হয় ।
একই সময়ে জরুরি বার্তার বাটনে চাপ দেন ক্যাপ্টেন। ইউকে এমটিওতে (যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন) যোগাযোগ করেন। তবে সেখানে কেউ ফোন ধরেননি। সে সময় ভিএইচএফে (বেতার) যোগাযোগ করে কাছাকাছি কোনো যুদ্ধজাহাজও পাওয়া যায় নি । কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েন ক্যাপ্টেন।

দস্যুরা উঠে যাবে জেনে শেষ চেষ্টা ছিল জাহাজের সিটাডেলে (সুরক্ষিত কক্ষ) আশ্রয় নেয়া। মোট ২৩ জন নাবিকের মধ্যে ২০ জনকে সিটাডেলে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। সিটাডেলে যাওয়ার আগে বেশ কিছু কাজ করতে হয়। ইঞ্জিন বন্ধ করার জন্য চতুর্থ প্রকৌশলী ইঞ্জিনকক্ষের দিকে দৌঁড়ে যেতে থাকেন। দ্বিতীয় কর্মকর্তা ব্রিজে এবং ক্যাপ্টেন ব্রিজের নিচের ডেকে থেকে সিটাডেলে যাওয়ার শেষ প্রস্তুতি নেন।

তবে চারজন নৌদস্যু অস্বাভাবিক দ্রুততায় ব্রিজে উঠে প্রথমে দ্বিতীয় কর্মকর্তার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ‘মাস্টার মাস্টার’ বলে ক্যাপ্টেনকে খুঁজতে থাকে। দ্বিতীয় কর্মকর্তা ভয় পেয়ে যান। প্রাণহানির শঙ্কায় ক্যাপ্টেন দ্রুত সেখানে ছুটি গিয়ে হাত তুলেন। তখনই নৌদস্যুরা ‘অল ক্রু’ বলে চিৎকার করতে থাকে। এরপরই সব নাবিককে ব্রিজে চলে আসার নির্দেশ দেন তিনি। শুরুতে ভয় পেয়ে যান নাবিকেরা। সেখানকার সময় সকাল ১০টা ৬ মিনিট থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে যায়। নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর নৌদস্যুরা জাহাজের ইঞ্জিন বন্ধ করার কথা বলে। সে অনুযায়ী ইঞ্জিন বন্ধ করার পর মাছ ধরার নৌযানটি জাহাজের সঙ্গে বাঁধা হয়। ওই নৌযানে একজন পাকিস্তানি এবং বাকিরা ছিলেন ইরানের জেলে। জাহাজ থেকে নৌযানটিতে তেল দেয়ার নির্দেশ দেয় নৌদস্যুরা। তেল দেয়ার পরই দস্যুরা নৌযানটি ছেড়ে দেয়। নৌযানে থাকা সব দস্যু জাহাজে ওঠে। মোট ১২ জন সশস্ত্র নৌদস্যু জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এসময় আনন্দে তারা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। নাবিকদের কাছ থেকে মুঠোফোন কেড়ে নেয় তারা। তবে ল্যাপটপ ও কয়েকটি মুঠোফোন লুকিয়ে রাখেন নাবিকেরা ।

মাছ ধরার নৌযানটি চলে যাওয়ার পর এমভি আবদুল্লাহর ইঞ্জিন চালু করা হয়। সোমালিয়ার উপকূলের দিকে যাওয়ার নির্দেশনা দেয় নৌদস্যুরা। সে সময় একজন দস্যু একটি নম্বরে যোগাযোগ করতে বলে। ক্যাপ্টেন কল দেয়ার পর ‘আহমেদ’ পরিচয় দিয়ে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, ‘হাউ আর ইউ ক্যাপ্টেন? এভরিথিং ইজ ওকে?’ এরপরই জাহাজটি কীভাবে কোথায় নিতে হবে, তার পথনির্দেশনা দিয়ে দেয় নৌদস্যুনেতা। সে অনুযায়ী জাহাজ চলতে থাকে।

রোজার দ্বিতীয় দিন তখন। ইফতারের সময় ঘনিয়ে এলে চিফ কুককে ইফতারি তৈরি করার জন্য ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করা হয় দস্যুদের। ছোলা দিয়ে কোনোভাবে ইফতার সেরে নেন নাবিকেরা।
দ্বিতীয় দিন ইফতারের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অপারেশন আটলান্টার একটি যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহর পিছু নেয়। যুদ্ধজাহাজ থেকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ভিএইচএফে নৌদস্যুদের নির্দেশনা দেয়া হয়, তোমরা জাহাজ ছেড়ে যাও। না হলে অভিযান চালানো হবে।

নির্দেশনায় কোনো কাজ না হওয়ায় যুদ্ধজাহাজ থেকে একটি হেলিকপ্টার আকাশে ওড়ানো হয়। হেলিকপ্টারটি এমভি আবদুল্লাহর চারপাশে ঘুরতে থাকে। একপর্যায়ে এমভি আবদুল্লাহর চারপাশে পানিতে হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। ভয়ার্ত পরিবেশ তৈরি হয়। দস্যুরা নাবিকদের দিকে অস্ত্র তাক করে রাখে। যুদ্ধজাহাজ যাতে দ্রুত চলে যায়, তা বলার জন্য ক্যাপ্টেনকে নৌদস্যুরা ভয় দেখায়। প্রাণহানির আশঙ্কায় ক্যাপ্টেন ভিএইচএফে জানান, আমরা অস্ত্রের মুখে আছি। তোমরা দূরে চলে যাও। নাবিকদের নিরাপত্তার জন্য হলেও তোমরা একটু দূরে সরে যাও। প্রায় আধা ঘণ্টা পর যুদ্ধজাহাজ দূরে চলে যায়। দুই দিন ছয় ঘণ্টার মাথায় এমভি আবদুল্লাহকে সোমালিয়া উপকূলের কাছে নিয়ে যায় নৌদস্যুরা। সোমালিয়ার উপকূলের কাছাকাছি যাওয়ার পর ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি চলে আসে।

ভারতীয় যুদ্ধজাহাজে একজন বাংলায় কথা বলতে পারতেন। নৌদস্যুদের অস্ত্রের মুখে তাকেও চলে যেতে বলেন ক্যাপ্টেন।
যুদ্ধজাহাজ পিছু নেয়ায় দুই দফা নোঙর তুলে তৃতীয় দফায় সোমালিয়া উপকূলের জেফলের দিকে এমভি আবদুল্লাহকে নিয়ে যায় দস্যুরা। উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল তখন জাহাজটি।

সোমালিয়ার উপকূলে যাওয়ার আগে ১২ জন দস্যু জিম্মি করে রেখেছিল। জেফল উপকূলে দ্বিতীয়বার নোঙর করার সময় আরও ১০ জন নৌদস্যু অস্ত্র নিয়ে আসে।
শেষবার যখন নোঙর ফেলা হয়, তখন আরও ১৩ জন নৌদস্যু জাহাজে যোগ দেয়। সব মিলিয়ে ৩৫ জন নৌদস্যু জাহাজে ওঠে। যুদ্ধজাহাজ পিছু নেয়ায় নৌদস্যুরা জাহাজে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসে। রকেট লঞ্চার, মেশিনগান, এম-সিক্সটিনসহ নানা রকমের অস্ত্র। দস্যুরা সার্বক্ষণিক অস্ত্র নিয়ে পাহারা দিত।
দস্যুদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে তাদের বুঝিয়ে কেবিনে থাকার সুযোগ পান নাবিকেরা। কত দিনে মুক্তি মিলবে, তা ছিল অনিশ্চিত। তাই খাবারদাবার রেশনিং করা হয়। ১৬ জানুয়ারি জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করে। পথে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দর হয়ে মোজাম্বিকের মাপুতো থেকে কয়লা বোঝাই করা হয় ।

চট্টগ্রাম ছেড়ে যাওয়ার আগে প্রায় ১৪ লাখ টাকার বাজারসদাইয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল জাহাজটির মালিকপক্ষ এসআর শিপিং (কেএসআরএম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান)। জাহাজে তিন মাসের খাবার ছিল। মাছ, গোশত থেকে শুরু করে শুকনো খাবার সবই ছিল। জাহাজে খাবার থাকলেও কত দিন জিম্মি থাকতে হয়, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। কিছুটা ভয় ছিল খাবার যদি শেষ হয়ে যায়! কারণ, আগে জিম্মি হওয়া জাহান মণি জাহাজের ১০০ দিন লেগেছিল মুক্ত হতে। দস্যুরা জাহাজে দুম্বা নিয়ে আসত। গরম পানিতে সেদ্ধ করে লবণ ও কিছু মসলা মিশিয়ে তারা তা খেত। এগুলো নাবিকদের জন্য খাওয়ার অযোগ্য ছিল। একপর্যায়ে তারা নিজেদের রান্না করার জন্য লোক নিয়ে আসে জাহাজে।

জাহাজে পানি শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়বে এমন আশঙ্কায় শুধু খাবার পানি সরবরাহ ঠিক রাখা হয়। বাথরুমে সাগরের পানি ব্যবহার শুরুর অনুরোধ করা হয় দস্যুদের। এতে জাহাজে থাকা পানির ওপর চাপ কমে। সপ্তাহে দুই দিন গোসল করে পানি রেশনিং করতে থাকেন নাবিকেরা ।

মুক্তি পাওয়ার দুই দিন আগে হঠাৎ দস্যুনেতা আহমেদ এসে সবাইকে ডেকে নিয়ে দাঁড়াতে বলে। সে ভিডিও করতে শুরু করে। তার কথা অনুযায়ী, ক্যাপ্টেন নাবিকদের নাম জিজ্ঞাসা করে পরিচয় করিয়ে দেন। পরে তারা এই ভিডিও তারা কেএসআরএম গ্রুপের কাছে পাঠিয়েছে। জিম্মিরা যে সুস্থ আছেন, তা দেখতে চেয়েছে কেএসআরএম গ্রুপ। নাবিকদের মনে তখন আশার সঞ্চার হয়।

দুই দিন পর আবার ডাক পড়ল সব নাবিকের। সবাইকে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখে নৌদস্যুরা। রোদের দিকে সামনে তাকানো যাচ্ছিল না। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর দেখা যায়, ছোট আকারের একটি উড়োজাহাজ আসছে। অদূরে দুটি যুদ্ধজাহাজ। নাবিকেরা ভয় পেয়ে যান। কারণ, তখন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে ৬৫ জন নৌদস্যু। তাদের কাছে ভারী অস্ত্রশস্ত্র আছে। উড়োজাহাজ চলে যাওয়ার পর সবাইকে আবার ব্রিজে নিয়ে মাথা নিচু করে বসিয়ে রাখে দস্যুরা। এ সময় কী হয়েছে কিছুই দেখতে পাননি তারা। এক পর্যায়ে দস্যুদের কথায় এমভি আবদুল্লাহর নোঙর তুলে পেছনের দিকে সরিয়ে নিতে থাকেন ক্যাপ্টেন। এর আগে চারটি স্পিডবোটে করে বেশ কিছু সংখ্যক নৌদস্যু তীরের দিকে চলে যায়। জাহাজ পেছনের দিকে সরিয়ে নেয়া হতে থাকে। একপর্যায়ে দেখা যায়, রাতে তীর থেকে জাহাজের দিকে আলো ফেলে ইশারা দেয়া হচ্ছে। দস্যুরা জাহাজের ইঞ্জিন বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। ইঞ্জিন বন্ধ করার পর দস্যুরা বলে, ‘ক্যাপ্টেন, কাম।’ এ সময় পাঁচটি স্পিডবোটে করে সব নৌদস্যু অস্ত্রসহ জাহাজ থেকে নেমে যায়। সোমালিয়ার সময় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টা ৮ মিনিটে অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল প্রথম প্রহরে দস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে যায়।

দস্যুরা নেমে যাওয়ার পর জাহাজটি ঘুরিয়ে সোমালিয়া উপকূল ত্যাগ করতে থাকেন ক্যাপ্টেন । নাবিকদের মনে তখন নতুন জীবন পাওয়ার স্বাদ। সবাই বাড়িতে স্বজনদের কাছে মুক্তির খবর জানাতে থাকেন। রাতের বেলায় জাহাজ চলছে। দুই পাশে তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। সকাল হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের যুদ্ধজাহাজ থেকে নৌবাহিনীর সদস্যরা ওই জাহাজে ওঠেন। সবার সঙ্গে কথা বলেন। নাবিকেরা মনের আনন্দে ছবি তুলতে থাকেন।

আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীতে থাকা চিকিৎসকেরা সব নাবিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। নাবিকেরা ফিরছেন, তাদের ঘরে ঘরে তাই তাদের বরণ করে নিতে চলছে নানা আয়োজন।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত: বৈরী আবহাওয়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত: বৈরী আবহাওয়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত

ঘুষের দর-কষাকষির অডিও ভাইরাল

ঘুষের দর-কষাকষির অডিও ভাইরাল

আইপিএল: প্লে অফে কে কার মুখোমুখি

আইপিএল: প্লে অফে কে কার মুখোমুখি

আট গোলের রোমাঞ্চ: ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে রিয়ালের ড্র

আট গোলের রোমাঞ্চ: ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে রিয়ালের ড্র

সহজ জয়ে লা লিগায় রানার্সআপ  বার্সা

সহজ জয়ে লা লিগায় রানার্সআপ  বার্সা

ক্লপকে অশ্রুসিক্ত বিদায় লিভারপুলের

ক্লপকে অশ্রুসিক্ত বিদায় লিভারপুলের

সিটির অমরত্বের রাত...

সিটির অমরত্বের রাত...

বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা

বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা

ফতুল্লায় হত্যা মামলার আসামি কেরানিগঞ্জে গ্রেপ্তার

ফতুল্লায় হত্যা মামলার আসামি কেরানিগঞ্জে গ্রেপ্তার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে বান্দরবানে কেএনএফের ৩ সদস্য নিহত

যৌথ বাহিনীর অভিযানে বান্দরবানে কেএনএফের ৩ সদস্য নিহত

রাজশাহীতে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় পুলিশকে মারপিট, যুবক আটক

রাজশাহীতে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় পুলিশকে মারপিট, যুবক আটক

স্বাচিপ রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি ডা. জাহিদ, সম্পাদক ডা. অর্ণা জামান

স্বাচিপ রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি ডা. জাহিদ, সম্পাদক ডা. অর্ণা জামান

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রগঠনের দাবিতে সারাদেশে জেলা ও মহানগরীতে ইসলামী

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রগঠনের দাবিতে সারাদেশে জেলা ও মহানগরীতে ইসলামী

খালেকুজ্জামানের বাড়ী সরকারিভাবে পুননির্মাণের দাবি - ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ

খালেকুজ্জামানের বাড়ী সরকারিভাবে পুননির্মাণের দাবি - ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাবেক বিজেপি নেতা

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাবেক বিজেপি নেতা

সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণে বিএসটিআই নিরলস কাজ করে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণে বিএসটিআই নিরলস কাজ করে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে: প্রেসিডেন্ট

মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে: প্রেসিডেন্ট

বিক্ষোভ, গাড়ি ভাঙচুর, অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

বিক্ষোভ, গাড়ি ভাঙচুর, অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

কিরগিজস্তানে আহত বাংলাদেশি ছাত্রদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনুন

কিরগিজস্তানে আহত বাংলাদেশি ছাত্রদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনুন

শিরোপার রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা : শেষ ম্যাচে মাঠে নামছে সিটি-আর্সেনাল

শিরোপার রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা : শেষ ম্যাচে মাঠে নামছে সিটি-আর্সেনাল