উষ্ণ হচ্ছে রাশিয়া-আফগানিস্তান সম্পর্ক
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৬ এএম | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৬ এএম
দীর্ঘদিনের বৈরিতার পর আবারও উষ্ণ হচ্ছে রাশিয়া-আফগানিস্তান সম্পর্ক। তালেবানকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয় বিবেচনা করছে রুশ প্রশাসন। আগামী মে মাসে রাশিয়ার কাজার শহরে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে আফগানিস্তানকে।
১৯৭৯ থেকে শুরু করে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালায় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে এ অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে। আফগানিস্তান এরপরও দীর্ঘ সময় ধরে অস্থিতিশীল থাকলেও সোভিয়েত ইউনিয়নের উত্তরসূরী রাশিয়া এতে প্রত্যক্ষভাবে আর হস্তক্ষেপ করেনি। এ সুযোগে ২০ বছর ধরে দেশটিতে অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোট। ২০২১ আগস্টে তারাও আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারে বাধ্য হয়।
এরপর থেকেই দেশটির ক্ষমতায় রয়েছে তালেবান প্রশাসন। এ সময়ে দেশটির সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ায়নি কোনো দেশ। তবে বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা-অবরোধে কিছুটা পর্যদুস্ত দেশটি। এখন পর্যন্ত কোনো দেশই আফগানিস্তানের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। গড়ে উঠেনি কূটনৈতিক সম্পর্কও। অনেক দেশের সন্ত্রাসী তালিকাতেও রয়ে গেছে তালেবানের নাম।
এ অবস্থায় বেশ কিছুদিন ধরেই রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় রুশ প্রশাসন তালেবানকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে মুছে ফেলার কথা বিবেচনা করছে। আগামী মে মাসে রাশিয়ার কাজার শহরে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে আফগানিস্তানকে।
বিশ্লেষকদের মতে, এসব কর্মকাণ্ড দুপক্ষের উষ্ণ সম্পর্কেরই ইঙ্গিত। রুশ প্রশাসন যদি সত্যিই তালেবানকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে অব্যাহতি দেয়, তাহলে আফগান প্রশাসনের জন্য এটি হবে বড় একটি অর্জন। কারণ তারা এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কোনো গোষ্ঠীর স্বীকৃতি পায়নি। আবার পশ্চিমা আর্থিক ব্যবস্থায় দেশটির বিপুল অর্থ জব্দ হয়ে আছে। এ অবস্থায় রাশিয়ার মিত্রতা তাদেরকে অনেক দিক দিয়েই সুবিধাজনক বিবেচিত হতে পারে।
অন্যদিকে ইউক্রেনে হামলার পর থেকে কোণঠাসা থাকা রাশিয়ার জন্যও বিষয়টি বেশ ইতিবাচক হবে। এক্ষেত্রে রাশিয়ার মিত্র তালিকায় আরেকটি দেশ যুক্ত হবে। একইসঙ্গে রাশিয়া নিজেকে মধ্য এশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রদানকারী শক্তি হিসেবে তুলে ধরার যে চেষ্টা করছে, সেটি আরও মজবুত হতে পারে। সব মিলিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়ন হলে তা সংশ্লিষ্ট সবার জন্যই ইতিবাচক হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
উল্লেখ্য, রাশিয়া ১৯৯৯ সালে ডিক্রি জারি করে তালেবানের ওপর অবরোধ আরোপ করে। আর ২০০৩ সালে রুশ সুপ্রিম কোর্টে তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেয়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পরাজিত শক্তি এবং সুবিধাবাদীরা সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে লিপ্ত- বিমানবন্দরে সংবর্ধনা কালে যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা মুশাহীদ
নোয়াখালীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ ‘জুলুম-নির্যাতন করে আস্তাকুঁড়ে চলে গেছেন কাদের মির্জা’
পুলিশের সামনে হামলা বিএনপি ও যুবদল নেতা আহত
গাজীপুরে ছুটির দিনেও ২৫ শতাংশ কারখানা খোলা ছিল
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা জাতিসংঘে তুলে ধরবেন প্রধান উপদেষ্টা
তিন জেলাসহ সাত বিভাগের ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ
তিন পার্বত্য জেলার পরিস্থিতি নিয়ে আইএসপিআর এর বিবৃতি
দুই দিনেই পরাজয়ের ধ্বনি শুনছে বাংলাদেশ
ছাত্রআন্দোলনে শহীদ ছাত্রদলনেতা ওয়াসিমের কবর জিয়ারতে কেন্দ্রীয় নেতারা
অনেক সচিবসহ কর্মকর্তারা নাশকতা করার চেষ্টা করছে:রিজভী
রাজধানীতে ঢাকা দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ফিরে আসছে: উপদেষ্টা নাহিদ
কমলা হ্যারিস জিতলে বিনিয়োগ তুলে নেয়ার হুমকি প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওয়ারেন বাফেটও: ইলন মাস্ক
বান্দরবানের রুমায় অস্ত্র গোলাবারুদ জ্যামার উদ্ধার
প্রথমবারের মতো ছুটির দিনেও চলছে মেট্রো
বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধ ও বিচারের দাবীতে খুলনায় মানববন্ধন
শেখ হাসিনার দলবলকে আগলে রেখেছে বর্তমান প্রশাসন: সেলিমা রহমান
রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০০ জনে
অনতিবিলম্বে ভিসি নিয়োগ না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী ইবি শিক্ষার্থীদের