গরমে বাসযাত্রীদের হাঁসফাঁস
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০২ এএম
তীব্র গরমে বাসের যাত্রীদের হাঁসফাঁস। রাজধানীতে চলছে অধিকাংশ লক্কড়-ঝক্কড় বাস। এসব বাসে যাত্রীদের প্রতিনিয়তই ভোগান্তি পোহাতে হয়। কোনো কোনো বাস এতটাই লক্কড়-ঝক্কড় যে বাইরের রোদের আলো সহজেই ভিতরে প্রবেশ করে। এতে গরমের মধ্যে যাত্রীদের কষ্ট আরো বাড়িয়ে দেয়। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে ঢাকার গণপরিবহনে চলাচল করা অধিকাংশ যাত্রীই নিদারুণ কষ্টে চলাফেরা করছেন। যানজট, গণপরিবহনের বেহাল দশা, এক সিট থেকে অন্য সিটের কম দূরত্ব, গাদাগাদি করে যাত্রী তোলায় দুর্ভোগ বেড়েছে গণপরিবহনের যাত্রীদের। নারী, শিশু ও বয়স্করা রীতিমতো ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ বাসই লক্কড়-ঝক্কড়। কোনো কোনো বাসের ওপরের ছাদও ভাঙাচোরা, যা দিয়ে সহজেই ভেতরে তীব্র রোদ ঢুকছে। অনেক বাসে নেই ফ্যানও। যেসব বাসে ফ্যান আছে, সেখানেও একটি চালু তো অন্যটি অকেজো। এছাড়া ৩৬ সিট হিসেবে অনুমোদন নেওয়া বাসগুলোতে ৪২-৪৫টি আসন বসিয়ে চলাচল করায় বসে যাতায়াত করেও স্বস্তি পাচ্ছেন না যাত্রীরা। মিরপুর থেকে আগারগাঁও রুটে চলাচল করা বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসে উঠে দেখা যায়, বাসটিতে কোনো ফ্যান নেই। বাসের সামনের ও পেছনের দিকে দুই জায়গায় ছাদ খোলা। তা দিয়ে ভেতরে তীব্র রোদ এসে পড়ছে যাত্রীদের গায়ে। বাসে যাত্রী কম থাকলেও সবাই অস্বস্তিতে। তুরাগ, সাভার পরিবহন, ঠিকানা, ইতিহাস, আসমানী, অনাবিল, রাজধানী, অগ্রদূত, আকাশ, ভিক্টর ক্ল্যাসিক, আল-মক্কা ও রবরব পরিবহনের একাধিক বাসে ঘুরেও একই চিত্র দেখা গেছে।
এক যাত্রী বলেন, বাসের ভেতরে প্রচণ্ড গরম। পেছনের দিকের দুটি ফ্যানই নষ্ট। যাত্রীদের চাপাচাপিতে সিটে বসেও আমার দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। রাস্তা ফাঁকা, তবুও অযথা থেমে থেমে গাড়ি চালাচ্ছেন ড্রাইভার। প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে বলেই তাগাদা দিলাম।
যাত্রীরা জানান, লক্কড়-ঝক্কড় হয়ে চলছে। রাস্তায় চলাচল করতে হয় বলে বাধ্য হয়েই তারা ওঠেন। সরকার বাসগুলোর দিকে নজর দেবেন বলে প্রত্যাশা তাদের। একটা দেশের রাজধানীতে চলাচল করা বাস এত লক্কড়-ঝক্কড় হতে পারে, তা কল্পনাতীত। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে নানা ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি করছি। অথচ আমাদের নগরবাসীরা কীভাবে চলাচল করছেন, তা নিয়ে সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই।
একটি পরিবহনের চালক ও সহকারী জানান, মালিক তাদের বাস দিয়েছেন। প্রতিদিন ভাড়া মারেন। হিসাব বুঝিয়ে দিলে মালিক তাদের পাওনা দেন। বাস মেরামত করার দায়িত্ব মালিকের। মালিক সেটি না করলে বাস যেমন আছে, তাদের তেমনই চালাতে হবে।
ঢাকায় চলাচল করা বাসগুলো মেরামত ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য সাধারণ মালিকদের দফায় দফায় চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, মালিক সমিতির মহাসচিব সই করা চিঠি অন্তত ২৪-২৫ বার সাধারণ মালিকদের আমরা দিয়েছি। মিটিংগুলোতেও তাগাদা দেওয়া হয়। আমরা মালিকদের বলেছি, বাসগুলো মেরামত করতে হবে। সৌন্দর্য বাড়াতে হবে। যখন মেরামত করা হবে, সৌন্দর্য বাড়বে; তখন কিন্তু যাত্রীরা চলাচলে স্বস্তি পাবেন। সে লক্ষ্যে মালিক সমিতি কাজ করে যাচ্ছে। এটি আসলে চলমান প্রক্রিয়া। কিছু বাস মেরামত করা হয়। সেগুলো রোডে নামালে আবার কিছুদিন পর লক্কড়-ঝক্কড় চেহারা হয়ে যায়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর প্রাণী অনুপ্রবেশ করতে যাচ্ছে ব্রিটেনে
পিরিয়ডে হেভি ফ্লো নিয়ে হ্যাসেল-ফ্রি থাকতে, কী করবেন
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন চেয়ারম্যান পদে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা
বিশ্বে অস্থিরতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে চীন
ইসরায়েলে মার্কিন গোলাবারুদের চালান আটকে দিল বাইডেন প্রশাসন
আল-জাজিরা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জাতিসংঘের
স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দিলেন মা
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সাক্ষাত
পাঁচ বছর পর ইউরোপ সফরে শি জিনপিং
বাবর-রিজওয়ানদের জন্য মোটা অঙ্কের বোনাস ঘোষণা
মে মাসে ১৩টি বজ্রঝড়ের আভাস
‘সর্বজনীন’ পেনশন স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অন্তর্ভুক্তি বৈষম্য তৈরি করবে: ইউট্যাব
মাগুরায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত
কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা, দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল জনতা
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন বোর্ড, নিয়ন্ত্রণ এস আলমের হাতে
তুরস্কের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় ‘চরম বিপাকে’ ইসরায়েল
রাউজানে অপহরণের ১৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার চুয়েট স্কুল ছাত্র সাজিদ
পাকিস্তানে ৬০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত, ১৪৪ জনের প্রাণহানি
সুন্দরবনে আগুন যেখানে ধোঁয়া সেখানেই পানি দেওয়া হচ্ছে
স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিলেন প্রসূতি