রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির আশায় ইসস্তিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ৩টায় উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের কলেজ গ্রামের ঈদগাঁ মাঠের খোলা আকাশের নিচে নামাজ আদায় করেন। এ নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়। আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবারও একই স্থানে দুপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হবে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নানা বয়সী মানুষ নামাজের জন্য মাঠে হাজির হয়েছেন। নামাজের ইমাম প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশে নামাজের নিয়মকানুন বলেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন সবাই। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে প্রচণ্ড গরম, তীব্র তাবপ্রবাহ ও খরা থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন।স্থানীয় মারুফ বিশ্বাস বলেন, বৃষ্টিবাদল নেই। খুব তাপ। কলে পানি উঠছে না। মাঠের খেতখোলা নষ্ট হচ্ছে। তাই বৃষ্টি চেয়ে নামাজের মাধ্যমে কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য সবাই দোয়া করেছেন।
হাফেজিয়া মাদরাসার শিক্ষক মজিবুর রহমান মোল্লা বলেন, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি গাছপালাসহ সবাই কষ্টে আছে। সে জন্য তারা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়েছেন। মঙ্গলবার ও পরদিন বুধবারও একই স্থানে বৃষ্টির জন্য নামাজ হবে। নামাজে ইমামতি করেন মুফতি সাইফুল ইসলাম মুহাদ্দিস, মারকাজুল ইমাম আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী রহ. রাজবাড়ী পেশ ইমাম ও খতিব বহরপুর হাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ।তিনি বলেন, কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করতেন। সে জন্য তাঁরা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে আমাদের পাপের জন্য তওবা এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।