দুই সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় চুয়েট শিক্ষার্থীদের অবরোধ-বিক্ষোভ
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০২ এএম
দুই সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল বুধবারও তৃতীয় দিনের মতো চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীরা। এদিকে ঘাতক বাসচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সকাল ১০টায় চুয়েটের মূল ফটকে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা। তারা ১০ দফা দাবি আবার তুলে ধরে বলেন, বাস মালিক সমিতি ক্ষতিপূরণ বাবদ দুই লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা বলেছে। এ টাকা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করা হলো। নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে দুই কোটি টাকা করে চার কোটি টাকা দিতে হবে। কারণ, শাহ আমানত পরিবহন সড়কে বেপরোয়াভাবে চলাচল করে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার জিয়ানগর এলাকায় ওভারটেক করতে গিয়ে বাসের চালক দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা পাঁচটি নতুন বাস ও চারটি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি বাস ও একটি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার কথা জানিয়েছে। এ প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীদের বক্তব্য হলো, তারা চারটি অ্যাম্বুলেন্স দ্রুত ক্যাম্পাসে দেখতে চান। আর বাস কেনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরে দ্রুত চিঠি পাঠানো এবং এসব চিঠি নোটিশ আকারে শিক্ষার্থীদের মেইলে পাঠাতে হবে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম পুননির্ধারণ করে নোটিশ আকারে জানানোর দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নে চুয়েট ক্যাম্পাস অবস্থিত। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের একটি অংশ পড়েছে চুয়েট ক্যাম্পাসে। সকাল ১০টার দিকে সড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগরে বাসের ধাক্কায় মারা যান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসাইন। এ ছাড়া আহত হন একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকারিয়া হিমু। দুর্ঘটনার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। সেদিন সন্ধ্যা সাতটায় প্রথম দফায় সড়ক অবরোধ করা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস। পাশাপাশি আরো দুটি বাস ভাঙচুর করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে রাত নয়টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। পরে সেদিন রাত তিনটায় নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবারও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক বাসের চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল নগরীর কোতোয়ালী এলাকা থেকে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার তাজুল ইসলাম চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়নের আবদুল খলিলের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে চলাচলকারী শাহ আমানত পরিবহনের বাসের চালক। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, চুয়েট শিক্ষার্থীদের চাপা দেওয়া বাসের চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শ্রমিকদের নায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা - বদিউজ্জামান সোহাগ
যুদ্ধ সভ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে: ভিসি ড. মশিউর রহমান
সরকার হটাতে গণবিপ্লব ঘটাতে হবে : আমিনুল হক
নারী বিশ্বকাপের সূচির জন্য শেষ মুহূর্তের অপেক্ষা
বোর্নমাউথকে হারিয়ে শিরোপার লড়াইয়ে থাকল আর্সেনাল
ট্রেনভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও গণবিরোধী
ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় নিহত অন্তত ৩৯, নিখোঁজ ৬৮
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিও জিতে ব্যবধান ২-০ করার লক্ষ্য বাংলাদেশের
১৭ জন রোগীকে হত্যার অভিযোগে ৭০০ বছরের বেশি কারাদণ্ড নার্সের
১৭ জন রোগীকে হত্যার অভিযোগে ৭০০ বছরের বেশি কারাদণ্ড নার্সের
চীন সবসময় সার্বিয়ার সেরা অংশীদার: প্রেসিডেন্ট ভুসিক
ভারতীয় হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসন রুখে দাঁড়াতে হবে
গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে মিসরে ঐকমত্য
আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন প্রতিযোগিতায় ইরানি শিক্ষার্থীদের সাফল্য
সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার
গোবিন্দগঞ্জে দুবৃর্ত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে যুবক নিহত\ আটক ২
কুমিল্লায় তরুণীসহ প্রতারকচক্রের সাতজন গ্রেফতার
লন্ডনে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন সাদিক খান
আপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ
সুন্দরবনে ভয়াবহ আগুন