ছাতক থেকে কোটি টাকা নিয়ে উধাও চাল ব্যবসায়ী
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৫ এএম
সুনামগঞ্জের ছাতকে এক চাল ব্যবসায়ীর বেশ কয়েকজনকে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে প্রায় কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন। এ ঘটনায় ছাতক পৌরশহরে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই তাকে অধিক মুনাফা লাভের আশায় টাকা ধার দিয়ে পড়েছেন দুঃচিন্তায়। প্রতারক এমরানুল আলম ছাতক বাজারের ‘রাফি ট্রেডার্স’ নামের খুচরা-পাইকারি চাল ব্যবসায়ী। গত ২২ এপ্রিল সোমবার দুপুর থেকে তার মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রাজধানী ঢাকা জেলার যাত্রাবাড়ি থানার কোনাপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে এমরানুল আলম দীর্ঘ প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে ছাতকে বসবাস করে আসছিল। এক সময় শহরের একটি চাল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার ছিলেন এমরানুল আলম। প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর পূর্বে তিনি রাফি ট্রেডার্স নামে ছাতকবাজারে খুচরা-পাইকারি চালের ব্যবসা শুরু করেন। তিনি পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লেবারপাড়া এলাকার আমির হোসেনের বাড়িতে ভাড়ায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসায় তালা ঝুলিয়ে গত সোমবার সকালে তিনি পরিবার নিয়ে পলিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহরে বড় চালের ব্যবসার সুবাধে এলাকার বিভিন্ন লোকজনের সাথে তার সম্পর্ক তৈরী হয়। দক্ষিণ মন্ডলীভোগ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা, উপজেলার সাবেক আনসার কমান্ডার চেরাগ আলী বলেন, চাল ব্যবসায়ী এমরানুল আলমের সাথে ভালো সম্পর্কের সুবাধে অধিক মুনাফার আশায় তাকে আমার স্ত্রীর মাধ্যমে তিন দফায় বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ লাখ টাকা লোন তুলে দিয়েছিলাম। এর মধ্যে তিনি গত দুই মাসে আমাকে ২০ হাজার চালের ব্যবসার টাকা লভ্যাংশ দিয়েছেন। চেরাগ আলীর স্ত্রী পিয়ারা বেগম বলেন, কয়েকটি এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিয়ে টাকা দিয়েছিলাম। প্রতি সপ্তাহে এনজিও গুলোর কিস্তি দিতে হয়, এখন চারদিকে অন্ধকার দেখছি। বাগবাড়ি মহল্লার বাসিন্দা হিরণ মিয়া চৌধুরী বলেন, আমার কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে মাত্র ২ লাখ টাকা দিয়ে ১৩ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে। মন্ডলীভোগ এলাকার আরেক চাল ব্যবসায়ি ইলিয়াছ মিয়া বলেন, এমরানুল আলম আমার কাছ থেকে মাঝে মধ্যে চাল নিয়ে বিক্রি করতো। তার কাছে আমার নগদ টাকাসহ পাওনা রয়েছে ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সিলেট জেলার মোগলাবাজার থানার গোটাইটিকর গ্রামের বাসিন্দা সিলেটের ‘মেসার্স মা খাদ্য ভাণ্ডার’ স্বত্ত্বাধিকারী প্রতাপ চন্দ্র দাশ বলেন, এমরানুল আমার কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে পাইকারী চাল ক্রয়ে নগদ-বাকীতে ব্যবসা করেছে। তার কাছে আমার সর্বমোট পাওনা রয়েছে ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। কিন্ত সে আমার কোন টাকা না দিয়ে দোকান ও বাসা ছেড়ে পালিয়েছে। এ ঘটনায় গত বুধবার রাতে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।
দক্ষিণ সুরমা থানার মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সুমন চক্রবর্তী বলেন, বিষয়টি তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির সব মোবাইল বন্ধ রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে ভাড়ার চুক্তি-দাম বৃদ্ধি অর্থের অপচয়: জামায়াত
ম্যাখোঁ ও ইইউ প্রধানের সঙ্গে শি’র বৈঠক
শেনজেন স্টাইলের ভিসা মধ্যপ্রাচ্যেও চালু হচ্ছে -আমিরাতের অর্থমন্ত্রী
২২ বছরে বিশ্বে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৬৫০ শতাংশ: আইওএম
সাতকানিয়ায় এখনো বিদ্যুৎহীন অনেক এলাকা
টেকসই রাজস্ব নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে প্রয়োজন নীতিনির্ধারণে ধারাবাহিকতা
রূপালী ব্যাংকের ঢাকা দক্ষিণ বিভাগীয় ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
রূপালী ব্যাংকের ঢাকা দক্ষিণ বিভাগীয় ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
সড়ক দুর্ঘটনায় ঈশ্বরদীর ক্ষুদে বিজ্ঞানী নিহত
ভক্তের ওপর চড়াও হলেন সাকিব, নেটদুনিয়ায় সমালোচনা
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে কালেকশন বুথ চালু করল ব্র্যাক ব্যাংক
ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স স্মার্ট প্লাজায় হাইসেন্স এসি, টিভিতে বিকাশ পেমেন্টে অতিরিক্ত ১,০০০ টাকা ছাড়
শ্রমবাজার সম্প্রসারণে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে
বাগেরহাটে যুবলীগ নেতাকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন আওয়ামী লীগ নেতা
ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা আনলো ভিভো ভি৩০ লাইট
সোনালী ব্যাংকের মুনাফা ৮৩ শতাংশ বেড়েছে
টেকসই রাজস্ব নিশ্চিতে করতে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে প্রয়োজন নীতিনির্ধারণে ধারাবাহিকতা
শপআপ-এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগদান করলেন মামুন রশীদ
১ বছরে আদানি গ্রিনের ২৫ শতাংশ মুনাফা বৃদ্ধি
উপজেলা নির্বাচনে ইভিএমে প্রথমবারের মতো ভোট দিচ্ছে মতলব উত্তরবাসী