চলনবিলে বোরো কাটার ধুম
০৬ মে ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ০৬ মে ২০২৪, ১২:০৬ এএম
চলন বিল বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি বৃহৎ বিল। এটি নাটোর, সিরাজগঞ্জ এবং পাবনা জেলা জুড়ে বিস্তৃত। এটি মূলত অনেকগুলো ছোট বিলের সমষ্টি। বর্ষায় এ বিল পানিতে থৈ থৈ করে। আর শীতে এ বিলের বুকে হয় চাষাবাদ। গোটা চলনবিল জুড়েই হয়েছে বোরোর আবাদ। যে দিকে চোখ যায় শুধু চিক চিক করছে সোনালী ধান। তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে বিল পাড়ের কৃষকরা ধান কাটায় ব্যস্ত। এবার ফলন ভাল হওয়ায় তাদের চোখে মুখে হাসির ঝিলিক। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে বিলের জমিতে ধান কাটা। অনেকে মহিষ বা ঘোড়ার গাড়ি করে কাটা ধান বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যেও আবহাওয়ার খামখেয়ালি আচরণ নিয়ে কৃষকরা চিন্তিত। এই খরতাপের মধ্যে যে কোন মুহূর্তে শুরু হতে পারে ঝড়, শিলাবৃষ্টি। তাই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে এই তীব্র তাপদাহের মধ্যেই চলছে বোরো কাটার ধুম।
নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার সাতটি উপজেলায় ৬১ হাজার ৩৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেখানে চাষাবাদ হয়েছে ৬০ হাজার ৯৭৫ হেক্টর জমিতে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৬৫৯ মেট্রিক টন। আর গত মৌসুমে জেলায় ৫৮ হাজার ৭১০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছিল ৬১ হাজার ২০৪ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ ২ হাজার ৪৯৪ হেক্টর বেশি জমিতে চাষাবাদ হয়েছিল। গত মৌসুমে ধান উৎপাদন হয়েছিল ৪ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন আর চাল উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৯৬ হাজার মেট্রিক টন।
চলনবিলের কান্তানগর গ্রামের কৃষক মহিদুল আফসার জানান, তিনি মোট ১৪ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। এবার বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ দেয়া লেগেছে বেশি। আবার কীটনাশকও বেশি স্প্রে করতে হয়েছে। অতিরিক্ত খরায় সেচ দেয়ার পরপরই মাটি শুকিয়ে যেতো। গত বছরে তারা বিঘা প্রতি ধান পেয়ে ছিলেন ২৫ মণ করে। তবে এবার তীব্র দাবদাহের কারণে ফলন কম হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
স্থানীয় অন্যান্য কৃষক জহিরুল, মহির উদ্দীন, কুতুব আলী তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে সেচের ক্ষেত্রে কৃষকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। সেচ খরচও বেশি পড়েছে। তবে এবার কোনো ধরনের পোকার আক্রমণ দেখা দেয়নি এবং এখনও ফসলের অবস্থাও ভালো। কোনো ঝড়, শিলা বৃষ্টি না থাকলে তারা ফসল কেটে ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করেন। তবে মাস জুড়ে চলা প্রচণ্ড তাপের কারণে বোরোর ফলন কিছুটা কম হতে পারে এমন আশঙ্কা কৃষকদের।
নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ জানান, তীব্র তাপদাহ চলছে। এটা প্রাকৃতিক ব্যাপার। তিনি বলেন, জেলার সবখানেই বোরো ধান ভালো হয়েছে। অনেকে কাটা-মাড়াই শুরু করেছেন। এবার বিঘা প্রতি ২২ থেকে ২৩ মণ হারে ফলন হচ্ছে। প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয় না ঘটলে কৃষকরা ভালভাবেই ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত
দেশে সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান
ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই
বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪
পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা
মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি
জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী
মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান
বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির
একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১
কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু
সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক
‘শুধু সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে’ : তারেক রহমান
যে কোনো ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত: বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ
ভোলায় ঝড়ের কবলে পড়ে ১০ ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১
ছাত্ররাজনীতিতে গুণগত সংস্কার প্রয়োজন : শিবির সেক্রেটারী
মতলবে ছেলের ইটের আঘাতে মায়ের মৃত্যু : আটক ছেলে
মব জাস্টিসের প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন
গুলিবিদ্ধ ইলহামের জন্য তারেক রহমানের অনন্য উদ্যোগ