হজযাত্রীদের চিকিৎসা সেবা দিতে নার্সদের নিয়ে ৫৫ জনের একটি টিম করা হয়। ওই টিম থেকে ৯ জনকে বাদ দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই আদেশ বাতিলের আবেদনে সাড়া দেননি আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট। ফলে ওই ৯ জন ‘সম্মিলিত মেডিক্যাল টিম’র সঙ্গে যেতে পারছে না। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা পৃথক দু’টি আবেদনের শুনানি শেষে চেম্বার জাস্টিস এম.ইনায়েতুর রহিম গত বুধবার এই আদেশ দেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করে অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাখাওয়াত হোসেন খান। এর আগে ৯ এপ্রিল ধর্ম মন্ত্রণালয় চলতি বছরের সমন্বিত হজ চিকিৎসক দল গঠন করে। ১৮৯ জনের এই বহরে চিকিৎসক ৮৫ জন, নার্স ৫৫ জন, ফার্মাসিস্ট ২৪ জন এবং ওটি ও ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ২৫ জন। দলটি পবিত্র হজ পালনে সউদী আরবে যাওয়া বাংলাদেশি হাজীদের চিকিৎসাসেবা দেবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পবিত্র হজ হতে পারে।
তবে, ৫৫ জন নার্সের তালিকায় তিনজন নার্সই নন। কারো কারো বয়স বেশি। এছাড়া বিভিন্ন অনিয়ম করে এক বা একাধিকবার চিকিৎসক দলে সউদী যাওয়া ব্যক্তিদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ তুলে ১২ এপ্রিল দুদক চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য সচিব ও ধর্ম সচিব বরাবরে আবেদন করেন জামালপুরের ইসলাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স খাঁন মো. গোলাম মোরশেদ।
বিষয়টি নিষ্পত্তি না করায় তিনি ১৮ এপ্রিল সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ দেন। তাতে সাড়া না পেয়ে হাইকোর্ট রিট করেন। শুনানি শেষে গত ২৮ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করে ৯ জনের বিষয়ে সমন্বিত হজ চিকিৎসক দলে থাকার বিষয়টি স্থগিত করেন। এর বিরুদ্ধে দু’জন নার্স ও সরকারপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ব্যারিস্টার সাখাওয়াত হোসেন জানান, আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রয়েছে। তবে সরকার আদেশ সংশোধন করে ইতোমধ্যে চারজনের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।