২ বছর অপেক্ষা করতে হবে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের
০৯ মে ২০২৪, ১২:২৬ এএম | আপডেট: ০৯ মে ২০২৪, ১২:২৬ এএম
নতুন শিক্ষাক্রমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তক পেয়েছে, শুরু হয়েছে পাঠদানও। তবে এই শিক্ষাক্রমের আলোকে পাঠ্যপুস্তক পেতে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা করতে হবে আরো ২ বছর। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেসব পাঠ্যপুস্তক এবছরই পেয়েছে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য সেই পাঠ্যপুস্তকের কাজ এখনো শুরুই হয়নি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে জুলাই মাসে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ পাঠ্যপুস্তকের কাজ শুরু করবে। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, সাধারণ শিক্ষার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের কাজ শেষ না করায় এই দুইবছরে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়বেন।
নতুন জাতীয় পাঠ্যক্রম প্রাথমিক স্তরে প্রথম শ্রেণিতে এবং মাধ্যমিক স্তরে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে ২০২৩ সালে চালু করা হয়েছিল। প্রাথমিক স্তরে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির এবং মাধ্যমিক স্তরে অষ্টম এবং নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ বছর নতুন পাঠ্যক্রমের অধীনে তাদের পড়াশোনা শুরু করেছে। নতুন পাঠ্যক্রমের অধীনে এখনও যেসব শ্রেণি আসেনি সেগুলো ২০১২ সালের জাতীয় পাঠ্যক্রমের আলোকেই চলছে।
বর্তমানে, মাদরাসা শিক্ষার প্রাথমিক স্তর ইবতেদায়ির শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য একই রকমের বিষয় পড়াশুনা করছেন, এরপাশাপাশি তিনটি অতিরিক্ত বিশেষ বই- কুরআন মাজিদ ও তাজবীদ, আকাইদ ও ফিকাহ এবং আদ দুররুল আরাবিয়াহও তারা পড়াশুনা করছেন।
মাদরাসার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরাও সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজাইন করা সমস্ত বই পড়ছেন। একই সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে কুরআন মাজিদ এবং তাজবীদ, আল আকাইদ ওয়াল ফিকহ, আল লুগুতুল আরাবিয়াতুল ইত্তেসালিয়া, কাওয়াইদ আল লুগুতুল আরাবিয়া এবং হাদিস শরীফ বিষয়গুলো তাদের পড়তে হচ্ছে।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সাধারণ ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য সাধারণ পাঠ্যপুস্তক একই।
তিনি বলেন, এনসিটিবি আমাদের জন্য নতুন বিশেষায়িত পাঠ্যপুস্তক চালু করার আগে তাদের কাঠামো ঠিক করবে। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চেয়ে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য কাঠামো স্থাপনে বিলম্ব হলে তারা পিছিয়ে পড়বে। এ কারণেই আমরা এনসিটিবির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।
হাবিবুর রহমান বলেন, মাদরাসার জন্য নতুন জাতীয় পাঠ্যক্রমের অধীনে বিশেষায়িত পাঠ্যপুস্তক প্রবর্তন না হওয়া পর্যন্ত নতুন পাঠ্যক্রমের অধীনে সাধারণ বিষয় এবং বিদায়ী পাঠ্যক্রমের অধীনে বিশেষায়িত বিষয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে।
এনসিটিবির সদস্য প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান বলেন, ২০১৭-১৮ সাল থেকে গবেষণা চালিয়ে নতুন পাঠ্যক্রমের কাজ শুরু করেছি। আমরা প্রথমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য বই নিয়ে কাজ করেছি। তিনি বলেন, জুলাইয়ের মধ্যে তারা দশম শ্রেণির সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ শেষ করবেন এবং তারপর মাদরাসার শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবই নিয়ে কাজ শুরু করবেন। তিনি বলেন, মাদরাসার পাঠ্যপুস্তক চালু করতে প্রায় দুই বছর সময় লাগবে।###
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ঘুষের দর-কষাকষির অডিও ভাইরাল
আইপিএল: প্লে অফে কে কার মুখোমুখি
আট গোলের রোমাঞ্চ: ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে রিয়ালের ড্র
সহজ জয়ে লা লিগায় রানার্সআপ বার্সা
ক্লপকে অশ্রুসিক্ত বিদায় লিভারপুলের
সিটির অমরত্বের রাত...
বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা
ফতুল্লায় হত্যা মামলার আসামি কেরানিগঞ্জে গ্রেপ্তার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে বান্দরবানে কেএনএফের ৩ সদস্য নিহত
রাজশাহীতে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় পুলিশকে মারপিট, যুবক আটক
স্বাচিপ রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি ডা. জাহিদ, সম্পাদক ডা. অর্ণা জামান
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রগঠনের দাবিতে সারাদেশে জেলা ও মহানগরীতে ইসলামী
খালেকুজ্জামানের বাড়ী সরকারিভাবে পুননির্মাণের দাবি - ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাবেক বিজেপি নেতা
সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণে বিএসটিআই নিরলস কাজ করে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে: প্রেসিডেন্ট
বিক্ষোভ, গাড়ি ভাঙচুর, অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
কিরগিজস্তানে আহত বাংলাদেশি ছাত্রদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনুন
শিরোপার রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা : শেষ ম্যাচে মাঠে নামছে সিটি-আর্সেনাল
কোরবানির গোস্ত দিয়ে কোন অনুষ্ঠান করে টেবিল বসিয়ে টাকা বা উপহার নেওয়া প্রসঙ্গে।