ঢাকা   রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭ আশ্বিন ১৪৩১
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

উচ্চ ঋণের বেড়াজালে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী

Daily Inqilab শামসুল ইসলাম

১৩ মে ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১৩ মে ২০২৪, ১২:০১ এএম

সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চড়া অভিবাসন ব্যয়ে মালয়েশিয়ায় গিয়ে উচ্চ ঋণের বেড়াজালে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরা। এক বছরের কাজের মজুরির সমপরিমাণ প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ঋণ করে সিন্ডিকেটকে দিয়ে দেশটিতে গিয়ে কর্মীরা চরম হতাশা এবং নানা শোষণের শিকার হচ্ছেন। ২০২১ সালে ২৫ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পুনরায় মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগ শুরু হয়। বায়রার সভাপতি আবুল বাসার, রিক্রুটিং ঐক্য পরিষদের সভাপতি টিপু সুলতানের নেতৃত্বে দু’বছর আগে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হয়। কিন্তু বায়রা নির্বাচনে বিজয় লাভের পর ওই নেতাদের অনেকেই মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেটে যুক্ত হওয়ায় সিন্ডিকেটের সংখ্যা দাঁড়ায় একশ’তে। বাংলাদেশি বংশদ্ভূত শ্রী দাতো আমিনের এফডব্লিউসিএমএস প্রক্রিয়ায় দাতো আমিনের বাংলাদেশি গডফাদারকেই প্রত্যেক কর্মী প্রতি ১ লাখ ৭ হাজার টাকা দিয়ে কর্মী প্রেরণ শুরু হয়। কয়েক দফা দালালের হাত বদল হয়ে আরো প্রায় চার লাখ টাকা দিয়ে দেশটিতে পাড়ি জমায় কর্মীরা। বায়রার একজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য জানিয়েছেন। দেশটিতে বাংলাদেশি কর্মীরা নানাভাবে নিগৃহীত এবং শোষণের শিকার হওয়ায় জাতিসংঘসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বায়রার নেতা গতকাল রাতে জানান, সিন্ডিকেট চক্র মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের কাছ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বর্তমানে একশত সিন্ডিকেট সদস্যদের মূল গডফাদার বায়রার সাবেক নেতাকেই জনপ্রতি ১ লাখ ৭ হাজার টাকা দিতে হয়। না হয় মালয়েশিয়াগামী কোনো কর্মীর প্রসেসিং কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয় না। তিনি বলেন, এ যাবত প্রায় সাড়ে চার লাখ কর্মী দেশটিতে গিয়েছে। এসব কর্মীর কাছ থেকে আদায়কৃত হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বায়রার ওই নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সিন্ডিকেট চক্রের মূল গডফাদার মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু প্রায় ১০ লাখ কর্মীর মেডিকেল ফির কমিশন বাবদও শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এসব কালো টাকা কীভাবে বিদেশে পাচার হয়েছে তা’ খতিয়ে দেখতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ওই নেতা। অনৈতিকভাবে সিন্ডিকেটচক্র মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে তারা নানাভাবে শোষণ ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। বিষয়টি অনুধাবন করে দেশটির সরকার আগামী ৩১ মে’র পর থেকে এফডব্লিউসিএমএস প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দিচ্ছে। এরপর দেশটিতে নতুন প্রক্রিয়ায় জনশক্তি রফতানি চালু হবে কিনা সে ব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কিছু জানে না বলে জানা গেছে।
দেশটিতে কর্মরত অধিকাংশ বাংলাদেশি জমিজমা, গবাদিপশু বিক্রি এবং চড়া সুদে ঋণ নিয়ে মালয়েশিয়ায় গিয়েছে। আবার অনেকেই কাজ ও মজুরির নিশ্চয়তা পায়নি। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সম্প্রতি বলেছিলেন, দেশটিতে মাত্র ৫ হাজার বাংলাদেশি সমস্যায় আছে। এ বক্তব্য কতটুকু সত্য তা’ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা রয়েছে। সম্প্রতি চারটি সংস্থার এক সমীক্ষায় এসব চিত্র উঠে এসেছে। মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারের শুরুতেই ছিলো নানা প্রতিবন্ধকতা। নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে সোর্স কান্ট্রির মর্যাদা পায় বাংলাদেশ। সেই থেকে দেশটির শ্রমবাজার নিয়ে থেমে থাকেনি দেশীয় দালাল থেকে শুরু করে বিদেশি দালালদের দৌরাত্ম্য।

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় যাওয়া প্রায় ৯৬ শতাংশ বাংলাদেশি শ্রমিক নানা ভাবে উচ্চঋণ ও শোষণে জর্জরিত। এ বিষয়ে চারটি সংস্থা ভেরিটে, শোভা কনসালট্যান্টস, বোমসা এবং ওয়ারবে-ডিএফ, তাদের পরিচালিত একটি সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। ফোস্টারিং ফি অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যান্ড কস্ট ট্র্যাকিং (এফএফএসিটি)’ শিরোনামের এ গবেষণায় এমন ফল উপস্থাপন করা হয়েছে, যা মূলত অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর অর্পিত আর্থিক বোঝা এবং তাদের কর্মস্থলে শোষণকে তুলে ধরেছে। এছাড়া, ৮২ শতাংশ কর্মীকে দুই বা ততোধিক বার ঋণ করতে হয়েছে। আর প্রায় ৭৩ শতাংশ কর্মী তাদের মাসিক বেতনের ৫০-১০০ ভাগ সেই ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যয় করছে বলে জানা গেছে।

মজুরি প্রতারণা ছিলো এ গবেষণায় চিহ্নিত আরেকটি প্রচলিত সমস্যা যা, প্রায় ৪৩ শতাংশ উত্তরদাতারা তাদের প্রতিশ্রুত বেতনের চেয়ে কম বেতন পেয়েছে বলে জানিয়েছেন। জরিপকৃতদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ কর্মী ঋণ পরিশোধের জন্য বেশ উদ্বেগজনক অবস্থায় থাকে বলে জানিয়েছে এ সমীক্ষায় অংশ নেয়া সাধারণ শ্রমিকরা। গত ১০ মে দেশটির অনলাইন, ফোকাস মালয়েশিয়া তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে পরিচালিত এই সমীক্ষায় ৩৫৭টি সাক্ষাতকার বিশ্লেষণ করা হয়েছে এবং মালয়েশিয়ায় ২৪০ জন অভিবাসী শ্রমিকের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে তারা।

গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের গড়ে প্রায় পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার টাকা দিতে হয়েছে, যা একজন কর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থানে এক বছরের মজুরির সমান। শেভা কনসালট্যান্টস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সামারা খান অভিবাসী শ্রমিকদের ঋণ পরিশোধের চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেছেন, যা প্রায়ই অনানুষ্ঠানিকভাবে পাওয়া কোনো রেকর্ড নেই। এই কারণে কোনো নির্ভরযোগ্য ডেটা উৎস নেই। তিনি বলেন, আমাদের সংস্থা প্রবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছে। শ্রমিকদের ঋণ পরিশোধের জন্য কমপক্ষে এক বছরের মজুরি প্রয়োজন। মালয়েশিয়ার কোম্পানি এবং ব্র্যান্ডগুলো (উৎপাদিত পণ্যের) নতুন মানবাধিকার ডিউ ডিলিজেন্স আইনের তদন্তের আওতায় আসে এবং সঠিক, ন্যায্য এবং স্বচ্ছ নিয়োগের জন্য একটি বড় আকারের চাহিদাও রয়েছে।

সমীক্ষাটিতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং বাংলাদেশ শ্রম আইনের নির্দেশনা রয়েছে। নিয়োগকর্তাকে নিয়োগের মডেল মেনে চলাসহ বিদ্যমান সমস্যাগুলো মোকাবেলার জন্য বেশকয়েকটি পদক্ষেপের সুপারিশ করেছে। অভিবাসী বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিবাসী শ্রমিকদের সাপ্লাই চেইন অবশ্যই নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে হবে। আবার মালয়েশিয়ায় নিয়োগ বন্ধ করে দেয়, তাহলে সমুদ্রপথে মানবপাচারের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

এদিকে, জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করে অতিসম্প্রতি বলেছেন, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে প্রবাসী কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে সক্রিয় অপরাধী চক্র। প্রবাসীরা প্রতারিত হচ্ছেন, ঘন ঘন ভুয়া কোম্পানিতে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে এবং অতিরিক্ত নিয়োগ ফি দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। সরকারি শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের আশায় মালয়েশিয়ায় যাওয়া বাংলাদেশি প্রবাসীদের পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। অতিসম্প্রতি জেনেভা থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কয়েক মাস বা তার বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল ও অসম্মানজনক। বিশেষজ্ঞরা হলেন, দাসত্বের সমসাময়িক রূপ, কারণ ও পরিণতি বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি টোমোয়া ওবোকাতা; মানব পাচার বিশেষ করে নারী ও শিশু পাচার সম্পর্কিত বিশেষ প্রতিনিধি সিওভান মুল্লালি; প্রবাসীদের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত গেহাদ মাদি এবং রবার্ট ম্যাককরকোডেল (চেয়ার-র্যাপোর্টিয়ার), ফার্নান্দা হোপেনহাইম (ভাইস-চেয়ার), পিচামন ইয়োফানটং, দামিলোলা ওলাউই, এলজবিয়েতা কারস্কা, ব্যবসা ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা দল।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রবাসীদের ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং তাদের শোষণ, অপরাধীকরণ ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে রক্ষা করার জন্য মালয়েশিয়ার জরুরি পদক্ষেপ নেয়া দরকার। তারা উল্লেখ করেন, অনেক প্রবাসী মালয়েশিয়ায় গিয়ে দেখেন প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চাকরি নেই এবং অনেক সময় তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও থাকতে বাধ্য করা হয়। এর ফলে এসব প্রবাসী গ্রেফতার, আটক, দুর্ব্যবহার ও বহিষ্কারের ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে প্রবাসী কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে সক্রিয় অপরাধীচক্র। প্রবাসীরা প্রতারিত হচ্ছেন, ঘন ঘন ভুয়া কোম্পানিতে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে এবং অতিরিক্ত নিয়োগ ফি দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। যে কারণে তাদের ঋণের বোঝা বেড়ে যাচ্ছে।

তারা বলেন, আমরা রিপোর্ট পেয়েছি যে উভয় সরকারের কিছু উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বা এটি প্রশ্রয় দিচ্ছেন। এটা অগ্রহণযোগ্য এবং এর অবসান হওয়া দরকার। এই শোষণমূলক নিয়োগের অপরাধীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। এখন পর্যন্ত এই বেসরকারি ব্যবসা এবং প্রতারণামূলক নিয়োগ সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া উভয় দেশের ভূমিকাই অপর্যাপ্ত। তারা আরও বলেন, এরই মধ্যে অনেক অসহায় প্রবাসীদের অপরাধীতে পরিণত করা হয়েছে এবং শোষণের শিকার হওয়ার কথা জানাতে গিয়ে কেউ কেউ তীব্র প্রতিহিংসার মুখোমুখি হয়েছেন। মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশকে এসব ঘটনার তদন্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং ব্যবসা ও মানবাধিকার সম্পর্কিত জাতিসংঘের নীতিমালা মেনে চলতে মালয়েশিয়াকে আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, মালয়েশিয়াকে অবশ্যই পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে শ্রম অভিবাসনকে আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে হবে। মালয়েশিয়ার ব্যবসাক্ষেত্রগুলোতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের হাত থেকে প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ষা করতে এবং এই ব্যবসাগুলোতে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান নিশ্চিত করারও পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ, সুরক্ষা ও সহায়তা, মানব পাচারের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনি সুরক্ষা প্রয়োগ এবং দেশের আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা সমুন্নত রাখতে মালয়েশিয়াকে অবশ্যই প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে। এসব বিষয় নিয়ে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলেও জানান তারা।

রাতে সচেতন বায়রা গণতান্ত্রিক ফোরামের মহাসচিব মোহাম্মদ আলী ইনকিলাবকে বলেন, সিণ্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে গরিবের রক্ত চোষার কারখানা। কারণ মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর চুক্তির সময়ে মন্ত্রী বলেছিলেন, জিরো কস্টে কর্মী যাবে মালয়েশিয়ায়। প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. আহমেদ মনিরুছ সালেহীন, বায়রার সভাপতি আবুল বাসারসহ অনেক রাঘববোয়ালরাই মালয়েশিয়ার সিণ্ডিকেটে জড়িয়ে দেশের অর্থনীতিকে বারোটা বাজিয়েছেন। তিনি বলেন, কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন শুধু টাকার বিনিময়ে যাচাই বাছাই ছাড়াই সত্যায়ন দিয়েছে। এসব সত্যায়নকৃত অনেক কর্মীই দেশটিতে গিয়ে কাজ না পেয়ে মাসের পর মাস অনাহার অনিদ্রায় নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বেস্টিনেটের বাংলাদেশি পার্টনার সিণ্ডিকেটের মূল গডফাদার। তিনি শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। দেশের অর্থনীতিকে উনি পঙ্গু করে ফেলেছেন। এতে অন্যান্য সোর্স কান্ট্রিগুলোতেও বিরুপ প্রভাব পড়েছে। সিণ্ডিকেটের আলোচিত গডফাদার এবার মালয়েশিয়ার ন্যায় মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য দেশেও সিণ্ডিকেট পাকাপোক্ত করার জন্য বায়রা দখলের পাঁয়তারা করছেন। সরকার, বায়রার সচেতন সদস্যরা ও মিডিয়া সজাগ না হলে দেশের অর্থনীতি এবং জনশক্তি রফতানির খাত রসাতলে যাবে এতে সন্দেহ নেই। তিনি সিণ্ডিকেটমুক্ত শ্রমবাজার সম্প্রসারণে সবাইকে সজাগ হবার আহবান জানান।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গোলাগুলি, নিহত ৪

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গোলাগুলি, নিহত ৪

হাসিনা সরকারের ৬ মাসে মেট্রেরেলে ১৮ কোটি, বর্তমানে ১৮ দিনে সাড়ে ২০ কোটি টাকা আয়

হাসিনা সরকারের ৬ মাসে মেট্রেরেলে ১৮ কোটি, বর্তমানে ১৮ দিনে সাড়ে ২০ কোটি টাকা আয়

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হলেন কুমারা দিসানায়েকে, শপথ আগামীকাল

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হলেন কুমারা দিসানায়েকে, শপথ আগামীকাল

রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার, পরিস্থিতি স্বাভাবিক

রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার, পরিস্থিতি স্বাভাবিক

রিমান্ড শেষে দীপু, ইনু, মেনন, পলকসহ ৭ জন কারাগারে

রিমান্ড শেষে দীপু, ইনু, মেনন, পলকসহ ৭ জন কারাগারে

ইলিশ যাচ্ছে ভারতের ‘বিশেষ অনুরোধে’: উপদেষ্টা

ইলিশ যাচ্ছে ভারতের ‘বিশেষ অনুরোধে’: উপদেষ্টা

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ দুই বন্ধুর

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ দুই বন্ধুর

ইরানের কয়লা খনিতে ভয়াবহ গ্যাস বিস্ফোরণ, নিহত ৩০, আহত ১৭

ইরানের কয়লা খনিতে ভয়াবহ গ্যাস বিস্ফোরণ, নিহত ৩০, আহত ১৭

'নিরাপদ চাঁদপুর' চাই দাবিতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

'নিরাপদ চাঁদপুর' চাই দাবিতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

৩ মাসেরও বেশি সময় পর ঢাবিতে ক্লাস শুরু

৩ মাসেরও বেশি সময় পর ঢাবিতে ক্লাস শুরু

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

৩৫ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য আটক, চলছে সমালোচনা

৩৫ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য আটক, চলছে সমালোচনা

ইবিতে ভিসির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত, মহাসড়ক অবরোধ

ইবিতে ভিসির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত, মহাসড়ক অবরোধ

অভিনেত্রী বাঁধনকে নিয়ে যা বললেন পিনাকী ভট্টাচার্য

অভিনেত্রী বাঁধনকে নিয়ে যা বললেন পিনাকী ভট্টাচার্য

আ.লীগ নেতাদের সম্পর্কে চাঞ্চল্য তথ্য দিলেন যুব মহিলী লীগ নেত্রী

আ.লীগ নেতাদের সম্পর্কে চাঞ্চল্য তথ্য দিলেন যুব মহিলী লীগ নেত্রী

পরিচয় লুকানো ঢাবি শিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক কায়েম?

পরিচয় লুকানো ঢাবি শিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক কায়েম?

‘হিন্দুপ্রধান’ জম্মু দিয়ে বিজেপির পক্ষে ‘মুসলিম প্রধান’ কাশ্মির জেতা কি সম্ভব?

‘হিন্দুপ্রধান’ জম্মু দিয়ে বিজেপির পক্ষে ‘মুসলিম প্রধান’ কাশ্মির জেতা কি সম্ভব?

গাজীপুরে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে সড়ক অবরোধ

গাজীপুরে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে সড়ক অবরোধ

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় আসছে চীনের মেডিক্যাল টিম

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় আসছে চীনের মেডিক্যাল টিম

মীলাদুন্নবী মাহফিল থেকে আমরা ঈমানকে পুনর্জ্জীবিত করতে পারি  -সায়্যিদ মাআন আল হাসানী আল মক্কী

মীলাদুন্নবী মাহফিল থেকে আমরা ঈমানকে পুনর্জ্জীবিত করতে পারি -সায়্যিদ মাআন আল হাসানী আল মক্কী