উত্তরায় হালকা বৃষ্টিতেই ডুবছে সড়ক
১৬ মে ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১৬ মে ২০২৪, ১২:১৮ এএম
সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া উত্তরখান ও দক্ষিণখানের বিভিন্ন সড়ক এখনো পানির নিচে। প্রচন্ড তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় সারাদেশের মানুষ যখন বিভিন্ন স্থানে ইসতেস্কার নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে চোখের পানি ছেড়ে বৃষ্টির জন্য দোয়া করছেন, সেখানে উত্তরখান দক্ষিণখান ও তুরাগ থানায় বসবাসরত ৬/৭ লাখ মানুষের মাঝে ব্যতিক্রম অনুভূতি। তারা মনে করেন এখন বৃষ্টি হলে তারা ঘরবন্দী হয়ে যাবেন।
গত ১১ মে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে একফসলা শান্তির বৃষ্টি হয়। সামান্য এই বৃষ্টিতে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টর ও ৭ নম্বর সেক্টরসহ উত্তরখান দক্ষিণখান তুরাগ এলাকার কয়েকটি সড়কে হাটুপানি জমে যায়। একই সঙ্গে বাসাবাড়ির ভিতরে পানি ঢুকে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন উত্তরখান দক্ষিণখানসহ সেক্টরের বাসিন্দারা। সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টি শেষ হওয়ার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও রাজধানীর উত্তরখান দক্ষিণখান এলাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রধান কয়েকটি সড়কে এখনো পানি জমে রয়েছে। এছাড়াও সড়কের পাশের শতাধিক বাসা বাড়িতে পানি ঢুকায় দুঃসহ হয়ে উঠেছে এখানকার জনজীবন। কোন প্রকার স্থায়ী পরিকল্পনা ছাড়াই মূল সড়কে বড় বড় গর্ত করায় প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়া শিশু বাচ্চারা সড়কের গর্তে পড়ে কাপড় চোপড়া নষ্ট করছে।কখনো কখনো তারা হাত পরে গিয়ে হাতে পায়ে ব্যথা পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতেও দেখা যায় । দক্ষিণখান কেসি হাসপাতাল ও সিএনজি পাম্প এলাকার আর্ক হাসপাতালের সামনে প্রতিনিয়ত পানি জমে থাকার কারণে চিকিৎসা নিতে আসা রোগি ও স্বজনদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, দক্ষিণখান বাজার থেকে পশ্চিম দিকে কসাইবাড়ী রোড, পূর্ব দিকে দোবাদিয়া কাঁচকুড়া রোড, উত্তর পাশে গার্লস স্কুল রোড, মাজার রোড, দক্ষিণ পাশে নিপা গার্মেন্টস হয়ে হলান রোড,আইনুসবাগ হয়ে হাজীক্যাম্প রোড চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় এলাকার বাসিন্দারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। গত ৪ দিন আগের বৃষ্টির পানি এখনো আসকোনা ও আজমপুর কাঁচাবাজার এলাকার জনগণকে এখনো পীড়া দেয়। এখানকার বাসিন্দারা বৃষ্টি না হওয়ার জন্য আকাশের দিকে হাত তুলে দোয়া করেন। ডিএনসিসির ৪৭, ৪৮ এবং ৫০ নং ওয়ার্ডের শাখা রাস্তাগুলো দিনে দিনে বিপদজনক হয়ে উঠেছে। অতিরিক্ত পানিতে চলতে গিয়ে মোটরে পানি ডুকে প্রতিদিন ১৫/২০ টি অটোরিকশা যখন তখন নষ্ট হয়ে সড়কে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে আটকা পড়ে থাকতে দেখা যায়। একনেক প্রকল্পের ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকা সরকারি বরাদ্দের ছাড় হওয়ায় নতুন ওয়ার্ডের ড্রেন ও রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ি ও বহুমুখী সংকটে রাজধানীর উত্তরখান দক্ষিণখান থানার নতুন ৭ ওয়ার্ডের কয়েক লাখ মানুষ ঘরবন্দী হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অপরিকল্পিত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে সড়কের বেহাল দশা, এঘটনায় দুর্ভোগে নাজেহাল উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকার সাধারণ মানুষ। শুস্ক মৌসুমে ও এ ওয়ার্ড গুলোর বিভিন্ন সড়কে রয়েছে পানিবদ্ধতা। সংস্কারের নামে এখানকার বেশির ভাগ সড়ক কেটে ফেলায় শাখা রাস্তা গুলোতে পায়ে হেঁটে চলাচল করা ও কষ্টকর হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন এখানকার বিভিন্ন সড়ক খোঁড়াখুড়ি অবস্থায় পরে থাকায় অটোরিকশা ও গাড়ি চলাচল অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। বর্তমানে এ সড়কে পায়ে হেঁটে হাট বাজারে যাওয়ার ও অবস্থা নেই । উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকায় বসবাসরত স্থানীয়রা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শঙ্কিত।
স্থানীয়রা জানান, গত এপ্রিল থেকে উত্তরা আজমপুর কাঁচাবাজার সড়কে গর্ত করে হাজার হাজার মানুষের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেছে। এখানকার সড়কের কাজ শেষ না করেই আবার নতুন করে উত্তরখান মাজার চৌরাস্তায় ৫০/৬০ মিটার পাকা রাস্তা কেটে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। মাজার চৌরাস্তা থেকে বালুমাঠ সড়কের একাংশ কেটে ফেলায় সেখানে হেটে চলাচলের অবস্থা ও নেই। মানুষ চলাচলের বিকল্প রাস্তা ঠিক না করে এভাবে
সরেজমিনে ঘুরে আরো দেখা যায়, ডিএনসিসির ৫০ নং ওয়ার্ড, ৪৭ নং ওয়ার্ড, ৪৮ নং ওয়ার্ড দক্ষিণখান এলাকার সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। দক্ষিণখান থানা রোডে গত একসপ্তাহ যাবত পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। বাবুর্চী বাড়ি রোড,কাওলা নর্দাপাড়া আশকোনা প্রাইমারি স্কুল রোগ, উচ্চারটেক মেডিকেল রোড,নগইরাবাড়ী রোড,পন্ডিত পাড়া থেকে সোনার খোলা, সিটি কমপ্লেক্স রোড, দক্ষিনখান বাজার থেকে মাজার রোড, তুরাগের দলিপাড়া, বটতলা থেকে ডেসকো অফিস, হয়ে ভুমি অফিস সংলগ্ন রাস্তা, রাজাবাড়ী, ভাটুলিয়া ধউর,নলভোগ,রানা ভোলা ধরংগারটেক, নয়ানগর ফুলবাড়িয়া ছাড়াও এলাকার আভ্যন্তরিন রাস্তা গুলোর এতোটাই খারাপ অবস্থা পায়ে হেটে চলাচলের অনোপযুগী।
এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়নের কাজ দ্রুত গতিতে করার দাবি জানিয়ে, উত্তরখান দক্ষিণখান এলাকার স্থানীয় ভুক্তভুগিরা ইনকিলাবকে বলেন, নতুন ১৭টি ওয়ার্ডে বাসা-বাড়ীতে দিনের বেলা প্রায়ই গ্যাস থাকে না। তাছাড়া খাওয়ার পানির অবস্থা খুবই খারাপ, রাস্তা ঘাটও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজে ধীর গতির কারণে দীর্ঘদিন যাবত এলাকাবাসী মানবেতর জীবনযাপন করছে। সড়কে জমে থাকা পানি সড়ানো, কাজের ধীরগতির বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ কেউ দায় নিচ্ছে না। এবিষয়ে তারা ইনকিলাবকে বলেন, এটি মেঘা প্রকল্পের অংশ। ###
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ভারতকে ইলিশ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক, যা বলছেন নেটিজেনরা
নতুন সরকারের ঘোষণা ফ্রান্সে
জুলাই বিপ্লবে যারা শহীদ ও আহত তাদেরকে রাষ্ট্রীয় উপাধি দিতে হবে : নূরুল ইসলাম বুলবুল
নৌখাতে দুর্নীতি –অনিয়মে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা : নৌপরিবহন, বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা
সিরাজগঞ্জ শিল্পপার্ক খেয়ে ধরলেন মুন্সিগঞ্জ বিসিক, অতিরিক্ত দায়িত্বে লিটনের আত্মীয় বায়েজিদ
স্কুলছাত্র মারুফ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার কাউন্সিলর গ্রেপ্তার, একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করছে সরকার : সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
দোকান বরাদ্দের বিষয় খতিয়ে দেখতে কমিটি
শুটিং ফেডারেশন চলছে অপুর নির্দেশেই!
বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে পোশাক কারখানায় ৪৩২ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ
আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সভাপতি তাজওয়ার আউয়াল
সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ
রংপুর রেঞ্জের নতুন ডিআইজি আমিনুল ইসলাম
গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার ৯৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি
বগুড়ায় সহযোগী সহ শীর্ষ সন্ত্রাসী সাগরকে নৃশংস কায়দায় হত্যা
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ