বহুল আলোচিত ‘ ডেসটিনি-২০০০’র পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়াকে। হাইকোর্টের নির্দেশে তাকে এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে-মর্মে গতকাল বুধবার জানিয়েছেন বোর্ডের আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান। গত মঙ্গলবার বিচারপতি খিজির আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে এ নিয়োগ দেন।

ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান বলেন, ডেসটিনির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ফখরুদ্দিন আহমেদ (এফসিএ) পদত্যাগ করেছেন। এ প্রেক্ষাপটে বোর্ড সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ব্যারিস্টার প্রশান্ত বড়ুয়া ভূষণকে এ নিয়োগ দেন আদালত। এর আগে গতবছর ১৪ জুন ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ব্যারিস্টার মারগুব কবির। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তারা হাইকোর্টে পদত্যাগপত্র জমা দেন। দু’জনের পদত্যাগপত্রে বলা হয়েছে, আদালতের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখিয়ে তারা এই কোম্পানির পরিচালনার দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছেন। তবে পারিবারিক কারণে এখন দায়িত্ব পালনে তারা অপারগ। পরে একই বছরের ২৫ জুলাই ডেসটিনি-২০০০ এর পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয় ফখরুদ্দিন আহমেদকে।
২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে ডেসটিনি-২০০০ এর পরিচালনায় বোর্ড পুনর্গঠন করে করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতের করা বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন, সাবেক জেলা জজ হাসান শহীদ ফেরদৌস, ব্যারিস্টার মারগুব কবির, ফখরুদ্দিন আহমেদ এফসিএ ও ইকবাল কবীর।

প্রসঙ্গত: ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রেশন পায় ‘ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড’। কোম্পানিটির মোট শেয়ারহোল্ডার রয়েছেন ৪৯ জন। ২০১২ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত এজিএম করার জন্য ১৬ জন আদালতে আবেদন করেছিলেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন এবং বোর্ড পুনর্গঠন করেছেন। হাইকোর্টে আবেদনকারীরা হলেন, ডেসটিনির পরিচালক বিপ্লব বিকাশ শীল, মোহম্মদ জাকির হোসেন, মো: শাহিনুর হাওলাদার শাহীন, সাইফুর আলম রতন, জিএম গোলাম রাব্বানী, শামনুন এহসান শামীম, মাসুদা ইসমত আরা, জাহাঙ্গীর আলম, মহিউদ্দিন আহমেদ, জহিরুল ইসলাম, খায়রুন নেসা, সৈয়দ মোহাম্মদ ইকবাল, শাহজাদা আল মাহমুদ, হোসাইন আজাদ, কামরুল হাসান ও মো: জাহাঙ্গীর আলম।