এশিয়ারের বিখ্যাত মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ার অমাবস্যার আরেকটা ‘জো’ থাকলেও শেষ ‘জো’ তে রয়েছে ডিম সংগ্রহকারীদের আশা ও ভরসা। তবে অতীতের ইতিহাসে প্রচার রয়েছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াতে মা মাছ ডিম দেয় না। তবু আশা ছাড়িনি ডিম সংগ্রহকারীরা আগামী অমাবস্যায় ডিম সংগ্রহকারীদের শেষ ভরসা রয়েছে। তাই ডিম ধরার আশা ছাড়তে পারছে না ডিম সংগ্রহকারীরা।
এই মৌসুমীমে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে নমুনা ডিম দিলেও তবে ডিম সংগ্রহকারীরা জানিয়েছেন মা মাছ ডিম দেয়া আরেকটি ‘জো’ র রয়েছে আগামী অমাবস্যায় থিতিথে। আর কয়েকদিন পর অমাবস্যা শুরু হলেও তবে তার আগে দেশের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেখা দিলেও তারপরও মা মাছ ডিম দেওয়ার শেষ জো হওয়াতে ডিম আহরণকারীরা ভরসা ছাড়তে পারছে না। তবে অতীতের ইতিহাস থেকে জানা যায় বা প্রবীণ ডিম সংগ্রহকারীরা জানিয়েছেন যে কোনো সময় দেশের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বয়ে গেলেও সে সময় মা মাছ ডিম দেওয়ার জো থাকলেও ডিম দেয় না। এরপর গতবছর সময় মতো ডিম না দেওয়াতে দুর্যোগের মাঝেও মা মাছ ডিম ছেড়ে দিয়েছে। তাই এবারও ডিম সংগ্রহকারীরা আশায় বুক বেঁধে নৌকা আর জ্বালসহ ডিম ধরার সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে।

চলতি মাসে ডিম দিলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন হালদা পাড়ের বেশ কয়েকজন প্রবীণ ডিম সংগ্রহকারীরা। ডিম সংগ্রহকারী মো. কামাল সওদাগর জানিয়েছেন এই মৌসুমীর হালদার মা মাছ ডিম না দেওয়ায় বহু ডিম সংগ্রহকারী হতাশ হয়ে পড়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিম দেয়নি মা মাছ তবে আগামী অমাবস্যা জো আরেকটি সুযোগ রয়েছে এই ‘জো’ তে ডিম দেবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে আকাশে মেঘ দেখলেই তারা প্রস্তুত হয়ে যায় ডিম সংগ্রহ করতে। মেঘের গর্জন আর বৃষ্টি হলে পাহাড়ি ঢল হালদায় প্রবেশ করলেই ছেড়ে দেবে মা মাছের ডিম। চলতি মাসে এক দফা নমুনা ডিম দিলেও এখনো হালদায় মা মাছের বিতরণ দেখা যাচ্ছে। মা মাছগুলো পেটে ডিম ভর্তি নিয়ে নদীতে এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা যাচ্ছে বলে জানান বেশ কয়েকজন ডিম সংগ্রহকারীরা। অমাবস্যা জো আরো বেশ কয়েকদিন বাকি থাকলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার ও ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবের কারণে ডিম ছাড়তে পারছে না মা মাছেরা। বিগত বছর মা মাছ ডিম দেয়ার মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় বা সিগন্যাল দেখা দিলে হালদা নদীতে মা মাছেরা ডিম না দেয়ারও নজির রয়েছে। তারপরও মৌসুমীর শেষ জো হিসেবে ডিম সংগ্রহকারীরা আশায় বুক বেঁধে বসে আছে। বিগত সময়েও দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় সিঙ্গেল চলাকালেও ডিম দেয়াতে ডিম সংগ্রহকারীরা হালদা নদীর পাড় ছাড়ছে না। কয়েকদিন পর শুরু হবে অমাবস্যার জো বা তিথি এই তিথিতে মা মাছ ডিম দেবে বলে অনেকেই আশা প্রকাশ করেছেন। চলতি মাসে নমুনা ডিম দিলেও পুরোদমে ডিম না দেয়ার কারণে আগামী অমাবস্যা তাদের এখন শেষ টার্গেট।