ফরিদপুরে ২৪ হাজার কেজি ভেজাল গুড়সহ কারখানা সিলগালা
২৮ মে ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৮ মে ২০২৪, ১২:০২ এএম
দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর মানুষ ঠকানো ভেজাল আখের গুড়, ভেজাল খেজুর গুড়, ভেজাল পাটালি গুড় কারখানা চালিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া স্বপ্ন পালের ভেজাল গুড় কারখানাটি বন্ধ করা হয়েছে। ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গত রোববার রাতে ২৪ হাজার কেজি ভেজাল গুড় জব্দসহ কারখানাটি বন্ধ করে এবং কারখানা মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুর সদর থানার মাচ্চর ইউনিয়নের শিবরামপুর এলাকার বটতলা নাম স্থানে।
জানা যায়, বেশকিছু দিন জেলা এনএসআইর গোয়েন্দা সদস্যরা খবর পান ঐ স্থানে ভাল আখের গুড় পাওয়া যায়। বিষয়টি তারাও লুফে নেন। শেষ পর্যন্ত ভাল আখের গুড় খুঁজতে এনএসআইয়ের জাতীয় গোয়েন্দা তথ্যে বেরিয়ে আসছে বিশাল জঘন্যতম আখেট গুড় ভয়ঙ্কর কাহিনী।
একেবারে অজপাড়াগাঁ নয়, প্রায় উপশহরের অবস্থার পরিবেশ শিবরামপুর। সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লো বিশাল ভেজাল গুড়ের কারখানার সন্ধান। যেমন সন্ধানদাতা তেমনি তাদের কাজ। জেলা জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের দেয়া গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার সন্ধ্যা ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে সদর উপজেলার শিবরামপুরের ছোট বটতলা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, কারখানার মালিক শিবরামপুর এলাকার প্রিয়নাথ শীলের ছেলে স্বপন কুমার শীল প্রায় চার থেকে পাঁচ বছর ধরে ভেজাল গুড় উৎপাদন ও বিপণনে ভেজাল গুড় চট্টগ্রামে রফতানি সহ বৃহত্তর ফরিদপুর ও ঢাকা জেলায় বাজারজাত করতো। এই ভয়াবহ খবর পেয়ে অনুসন্ধানে নামেন ফরিদপুর গুড় বাজার এবং শরীয়তুল্লা বাজার অভ্যন্তরীণ গুড় বাজারে। সেখানে গিয়ে জানা গেল আরো ভয়ঙ্কর কাহিনী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক গুড় ব্যবসায়ী ইনকিলাবকে বলেন, স্যার আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আমরা তো এগুলো জানি না। প্রতি সপ্তাহে স্বপন পালের লোক এসে ফরিদপুর বাজার, টেপাখোলা বাজার, ফরিদপুর দুধবাজার গুড় ব্যবসায়ীদের নিকট কমপক্ষে দুই হাজার মন আখের নতুন গুড় এবং একশত মনের মতো খেজুরের গুড়, ৫শ’ কেজি জোলা গুড় এবং তিন শত কেজির মতো তালের গুড় বিক্রি করতে আসেন। তারা প্রতি সপ্তাহে গুড় বিক্রি করার টাকা নেন। বাকিতে দিয়ে বিক্রি পর টাকা নেন। তবে প্রতি সপ্তাহে টাকা দিতেই হবে। এই রকম প্রায় ৪/৫ বছর যাবৎ দুই তিনটি বাজারের সবাই গুড় নেন। তারা বছরে প্রায় এক কোটি টাকার উপরে জেলায় গুড় বিক্রি আছে। চট্টগ্রামে ২০ হাজার মন গুড় যায় প্রতি মাসে। এমনটাই শুনেছি।
চরভদ্রাসন বাজারে গুড়ের ব্যবসা কবির বেপারি ইনকিলাবকে বলেন, সদরপুর কৃষ্ঠপুর এলাকায় গুড় তৈরি হয় প্রায় ১০/১২ জায়গায়। তা রেখে সদরপুর ও কৃষ্টপুরের গুড় ব্যবসায়ী ও মহাজনরা শিবরামপুর থেকো গুড় নেন কারণ কি? এমন প্রশ্নের উত্তর আগে পাইনি এখন পেলাম। ভেজাল গুড়ের দাম কম এবং বাকিতে মাল দেয়। ধরা পড়ার পর জানলাম সবকিছু। কিভাবে হয় ভেজাল গুড় তৈরি? কারখানায় ফিটকিরি, কাপড়ের রং, কোরিয়ান এক ধরনের আঠা, ঘন চিনিসহ বিভিন্ন ধরনের কেমিকেল ব্যবহার করে আখের গুড় তৈরি করা হতো। যা মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, এনএসআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ভেজালের সত্যতা পাওয়ায় কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বিএনপি নেতা মাহাবুব উদ্দিন খোকনকে শোকজ
মাদারীপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩ মামলা
আবু সাঈদ হত্যা বিশ্ববিদ্যালয়ে জড়িতদের চিহ্নিত করতে বেরোবিতে তদন্ত কমিটি গঠিত
কুতুবদিয়ায় কোস্টগার্ডের অভিযানে বিপুল দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ২
বিরলে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার
জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ অন্তর্বর্তী সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
কলাপাড়ায় যাত্রীবাহী বাস-অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিশু সহ আহত-৫
গাজীপুরে কলোনিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৪ ইউনিট
মেরিনারের দায়িত্ব নিলেন সামির কাদের চৌধুরী
বাফুফের সভাপতি পদে এবার দৃশ্যপটে তাবিথ
সেনাবাহিনীর নারী সদস্যরা হিজাব পরতে পারবেন
ঢাবিতে মতবিনিময় সভায় যৌন নিপীড়ক শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
‘অধ্যাপক’ হিসেবে পদোন্নতি পেলেন শিক্ষা ক্যাডারের ৯২২ জন
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি মালিক গ্রেফতার
স্বৈরাচারের পতন হলেও দোসররা এখনো রয়ে গেছে : তারেক রহমান
সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম কারাগারে
নদী দখলকারীদের উচ্ছেদে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে - পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
এবার ফাঁস হলো রাবি শিবির সভাপতির পরিচয়
ফুটবলের মাঠে চমক দেখাতে চান তাবিথ আউয়াল
শ্রীলঙ্কার চীনপন্থি প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকে কি ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ?