শিক্ষিকার অশ্লীল টিকটক ভিডিও ভাইরাল, নেটদুনিয়া উত্তাল
০২ জুন ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০২ জুন ২০২৪, ১২:০৩ এএম
আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি আর কুরুচিকর অশ্লীল ‘টিকটক’ ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছেড়ে ভাইরাল হয়েছেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) আর্কিটেকচার বিভাগে প্রভাষক নিশাদ জাহান ইতু মিয়াজি। একারণে তার নিয়োগ বাতিলের দাবি তুলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি ও মানববন্ধন করেছেন। গত বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিলের দাবি তুলে এ মানববন্ধন করেছেন। এছাড়া শনিবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেছে তাকে নিয়ে নেটিজেনরা সমালোচনা করছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, টিকটকে ভিডিও নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা এমন শিক্ষক চাই না, যার রুচিবোধ, আচার-আচরণ সমাজের প্রচলিত শিক্ষক, শিক্ষাব্যবস্থা কিংবা সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একজন শিক্ষক শুধু একাডেমিক্যালি কিছু শেখাবেন বিষয়টা এমন নয়। তার সামগ্রিক সবকিছু শিক্ষার্থীরা ফলো করে, তার কাছে থেকে পড়াশোনার বাইরেও নানা কিছু শিখে। ইতু মিয়াজী কুরুচিকর ভিডিও করেন বলেই তারা তাকে শিক্ষিকা হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতু মিয়াজীর একাধিক ভিডিও পাওয়া গেছে। যার মধ্যে একটি ভিডিওতে ইতু মিয়াজিতে বলতে শোনা যায়, ‘জন্ম থেকে যখন আমি প্রথম চোখ খুলি তখন আমার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে আমি টিকটকার হবো।
আরেকটি ভিডিওতে তিনি বলেন, যারা ছাগল, গরু চোর, ওরা টিকটক করে। বেশ কিছু ভিডিওতে কুরুচিকর অঙ্গভঙ্গ এবং আপত্তিকর কথাবার্তারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘নিয়োগ বোর্ডে যারা থাকেন তারা কী কেউ ‘টিকটক’ দেখে? বিষয়টি যেহেতু এখন সামনে এসেছে তাই আমরা এটি খতিয়ে দেখছি। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
রায়হান আহমেদ নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, অসুস্থ মানসিকতা সম্পন্ন কোনো মেয়ে যদি শিক্ষিকা হয় তাহলে তার দ্বারা শিক্ষার্থীরা শুধু ক্ষতিগ্রস্তই হবে।
হেনা নামে একজন লিখেছেন, আগের টিকটকের জন্য তার মেধার তো কোনো দোষ দেখছি না। এই পর্যন্ত আসতে গেলে যে যোগ্যতার দরকার তিনি তা অর্জন করেছেন। এমন কোনো রুলস্ কোথাও দেখিনি শিক্ষক টিকটক করতে পারবেন না। সম্মানজনক পদ পেলে ঐ জীবনে নাও ফিরতে পারে তিনি। আমরাই মানুষকে সুপথে আসার সুযোগ দেই না। আহনাফ আদিল নূর নামে একজন লিখেছেন, টিকটকারদের সামাজিকভাবে বয়কট করা উচিত।
সোহেল নামে একজন লিখেছেন, খান ইতু মিয়াজী টিকটক করেন সেজন্য একটা শ্রেণি তাকে বয়কট করেছে, সেটা মেনে নিলাম। কিন্তু শিক্ষকরা যে ছাত্রীদের ধর্ষণ করে, এছাড়া শিক্ষকরা ছোট ছোট মেয়েদের বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি বা প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করে। সেগুলো আপনারা কিভাবে মেনে নেন।
আরিশা হোসাইন তন্নি নামে একজন লিখেছেন, শিক্ষক হতে গেলে শুধু মেধা থাকলেই হয় না, ভালো ব্যক্তিত্বও থাকতে হয়। ব্যক্তিত্বহীন মানুষ কখনও শিক্ষক হতে পারে না।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ জাতিকে বিভক্ত করেছে, আমরা বিভক্তি দুর করে এক্যবদ্ধ জাতী চাই- ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিব
আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের কারণে অস্ট্রেলিয়া-বালি ফ্লাইট বন্ধ
১০০০ গোলের স্বপ্ন এখনও দেখছেন রোনালদো?
কুয়াকাটায় রাস উৎসবের শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি, সাজ সাজ রব
কাপ্তাইয়ের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সীতাকুণ্ড হতে গ্রেপ্তার
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় শার্শা সীমান্তে ৩ নারী আটক
এই সরকারকে সব সংস্কারে হাত দেওয়ার দরকার নেই : মির্জা ফখরুল
পাকিস্তানের উত্তরের ইন্দুস নদীতে বাস দুর্ঘটনা,অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু
ফ্যাসিবাদী সাবেক মেয়র আতিক আবারও ৫ দিনের রিমান্ডে
একসঙ্গে ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ৪ ঘূর্ণিঝড়
"হিনার আবেগঘন পোস্টে দুশ্চিন্তায় ভক্ত-অনুরাগী"
নারী পোশাক শ্রমিক নিহতের ঘটনায় অপরাধীদের বিচার দাবি জাবি ছাত্রশিবিরের
ভয় দেখিয়ে লাভ নেই : সারজিস আলম
যশোরের ঝিকরগাছায় শিশু কন্যাকে গলা টিপে হত্যা
ট্রাম্পের মন্ত্রীসভায় চীন বিরোধী মনোভাব স্পষ্ট !
আদানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট
বেনাপোল : মণিরামপুরে হঠাৎ চুলকানিতে এক স্কুলের অর্ধশত শিশু শিক্ষার্থী হাসপাতালে
"আসিফের গানে মডেলিং করবেন ভাইরাল তরুণী ফারজানা সিঁথি"
যশোরের মণিরামপুরে জামায়াত কর্মী আনিছুর হত্যার ঘটনায় মামলা
সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের টানা দ্বিতীয় বিমান হামলা