ভারত আমাদের রাজনৈতিক এবং চীন উন্নয়নের বন্ধু -ওবায়দুল কাদের
০৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০৩ এএম
ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন আমাদের উন্নয়নের বন্ধু বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় কোটা ইস্যু আদালতের বিষয়, সেখানে সরকারের কি করার আছে বলেও এ সময় প্রশ্ন রাখেন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। গতকাল শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডে পাহাড়ি ফলমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন কথা বলেন তিনি।
চীনের সাথে আমাদের পার্টনারশিপ আছে উন্নয়নের এমন এমন উল্লেখ করে সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পরিস্কারভাবে বলতে চাই, আমাদের ফরিন পলিসি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে শত্রুতা নই। বঙ্গবন্ধুর এই পলিসি শেখ হাসিনার পলিসি। এই পলিসি আমরা ফলো করি। ভারত আমাদের ৭১ সালের পরীক্ষিত বন্ধু। ৭১ সালের রক্তের রাখী বন্ধনে আমাদের এই সম্পর্ক আবদ্ধ।’ তিনি আরো বলেন, ‘ভারতীয় সৈন্যরা এখানে রক্ত দিয়েছে, ভারতের জনগণ, সরকার আশ্রয় দিয়েছে। এই দু:সময়ের বন্ধুদের আমরা ভুলে যেতে পারিনা। ২১ বছর ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক রেখে কি অর্জন করেছে ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো? ৬৮ বছর পর আমরা সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে পেরেছি। ভারত রেক্টিফাই করেছে সর্বসম্মতিকর্মে তাদের পার্লামেন্টে এটা আগে হয়নি, শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে এটা সম্পন্ন হয়েছে।’
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভালো সম্পর্ক ছিল বলেই, আছে বলেই আমরা বাংলাদেশের মতো আরেকটা বাংলাদেশ সমুদ্র সীমায় ভারতের কাছ থেকে পেয়েছি। সম্পর্ক ভালো বলেই দুনিয়ার ইতিহাসে সব চেয়ে শান্তিপূর্ণভাবে এ সিট মহল সমস্যা সমাধান আমরা করতে পেরেছি। সবই হবে শেখ হাসিনা গঙ্গার পানি চুক্তিও করেছেন।
তিনি বলেন, যারা বড় বড় কথা বলেন, তারা ভুলে গিয়েছে আর শেখ হাসিনা এই গঙ্গা চুক্তি বাস্তবায়ন করেছে। সম্পর্ক ভালো থাকলে আলাপ আলোচনা করে সমাধান করা যায়। আর এসব সমাধান কেন হয়েছে ২৫ বছরের মৈত্রী চুক্তি। এই চুক্তিকে তারা (বিএনপি) বলছে গোলামির চুক্তি। তো আমরা কি পেলাম? খালি হাতে ফিরেছি? খালি হাতে আগেও ফিরিনি এবারও ফিরেনি।’
কোটা আন্দোলন নিয়ে ক্ষমতাশীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা তো কোথাও এই কোটা রাখিনি। আমাদের ব্যবস্থা ছিল কোটা মুক্ত। আদালতে কারা মামলা করেছে? আদালতের রায়, সেখানে আমাদের, সরকারের কি দোষ? সরকার তো এটা করেনি। সেখানে সরকারের কি করার আছে?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কোন দিন নতজানু হবেনা খালেদা জিয়ার মতো। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবীতে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চাচ্ছে বিএনপি। নিজেরা পারেনি লিগ্যাল ব্যাটেল করতে, নিজেরা পারেনি রাস্তায় একটা আন্দোলন করতে। তার চিকিৎসা নিয়ে, অসুস্থতা নিয়ে তারা রাজনীতি করেছে। আন্দোলন করতে পারেনি। খালেদা জিয়াকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।
তিনি আরো বলেন, ‘তাদের নিজেদের কোন কিছু নেই, অস্তিত্ব নেই, নির্বাচনে যায়নি। আন্দোলনে ব্যর্থ। এখন বিএনপির কাজই হচ্ছে অন্যদের ইস্যুর উপর ভর করা। এখন শিক্ষকদের আন্দোলনের উপর ভর করবে, আবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোটা আন্দোলনের উপর করবে নীতিগত সিদ্ধান্ত। খালেদা জিয়ার মুক্তি কোর্টের ভার্ডিক্টের ব্যাপার।’ তিনি বলেন, ‘এখন জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। কে শোনে জাতিসংঘের কথা? গাজা ইসরায়েল শোনে?’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমার উন্নয়নের জন্য যেখানে আমি সুযোগ সুবিধা পাবো কেন আমি সুবিধা নেব না? আমার তো সাহায্য দরকার। যেখানে সাহায্য দরকার সেখানে আমি সাহায্য কেন নেব না? এতে কারো কারো গা জ্বলে, কেউ কেউ অন্তর জ্বালায় জ্বলছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল রেল হয়ে গেলো। এই অন্তর জ্বালায় যারা মরে তাদের এইসব প্রশ্নের জবাব দিতে চাইনা।
‘আমাদের চট্টগ্রামে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলি ট্যানেল। এটা কে করে দিয়েছে চীনারা। ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোর লেন মহাসড়ক এটার কাজও করেছে চীন। গতকাল (শুক্রবার) পদ্মা সেতুর যে সমাপনী অনুষ্ঠান হল, এই পদ্মা সেতুর মেইন ব্র্রিজ ও রিভার চেঞ্জিং দুটো কোম্পানিই চায়নার।’
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরকে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে আমরা যাইনা। বিএনপির সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বলেছিলেন, নিজেদের এতো টাকার দরকার কি? এতো টাকা নিজেরা খরচ করলে বিদেশি টাকা পাওয়া যাবেনা। ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে প্যারিস কোনসোটিয়ামে বারবার হাজির হতো বিএনপির অর্থমন্ত্রী। তাদের মুখে বড় বড় কথা শোভা পায়না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খান, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা, পরিবেশ, বন জলবায়ু ও পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব দীপংকর তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিং, জ্বরতী তঞ্চঙ্গা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ির ২৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মূল মাস্টারমাইন্ড আলিমুদ্দিনসহ দু'জন গ্রেপ্তার
কেন্দ্রীয় কৃষক দল নেতাকে বিএনপি নেতার হুশিয়ারি
এনামুলকে সরিয়ে রাজশাহীর নেতৃত্বে তাসকিন
কাপ্তাইয়ে পাহাড় কাটার ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর
শিক্ষার্থীদের জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করতে হবে : আভা রাণী দেব
হাসিনার গোপন চুক্তি বাতিলে ভারতকে চিঠি দেবে বাংলাদেশ
মাগুরায় এক শ্রমিকের মৃত দেহ উদ্ধার
জিয়া পরিষদের দপ্তর সম্পাদক হলেন সালথার হেমায়েত হোসেন
ভূমি উপদেষ্টা হলেন আলী ইমাম মজুমদার
শ্রীপুরে কারখানার বয়লার বিস্ফোরণ, আহত ২০
যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -২ এর মাথা থেকে নামতে পারেনি আওয়ামী ভূত
স্ত্রী-কন্যাসহ সাবেক এমপি বাহারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বিগত সরকারের আমলে প্রতিটি সেক্টরের সম্ভাবনাকে নষ্ট করা হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
প্রকাশ পেল 'রিকশা গার্ল' সিনেমার মিউজিক ভিডিও 'কোন লাটাইয়ে উড়বা ঘুড়ি'
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: জিএম কাদের
সিলেটকে তলানীতে পাঠিয়ে ঢাকার দ্বিতীয় জয়
আবু সাঈদ হত্যা: রংপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দল
ট্রাম্পের ২.০: তার সঙ্গে হোয়াইট হাউসে ফিরছেন যারা
গম সহ কৃষি পণ্যে উৎপাদন ও গুনগত মান ব্যহতের আশংকা
'শাহরুখ খান ফরএভার' ক্রিসের এমন বার্তার কি জবাব দিলেন শাহরুখ?