বাঘায় আজান দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ২

রাজশাহী ব্যুরো

০৮ জুলাই ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ১২:০২ এএম

রাজশাহীর বাঘায় মসজিদে আজান দেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলায় দুইজন আহত হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে বাঘার আড়ানী ইউনিয়নের উত্তর সোনাদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, আড়ানী ইউনিয়নের উত্তর সোনাদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মহিদুল ইসলাম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিঠুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিঠুর ভাতিজা জিনারুল ইসলাম গতকাল যোহরের নামাজের আজান দিতে আসেন। এ নিয়ে ইমামের সাথে তর্ক লাগে। এক পর্যায়ে মসজিদে ইমাম মাইকে প্রচার করে কিছু লোকজন হামলা করতে এসেছে। এ কথা শুনে মসজিদের সদস্য শহিদুল ইসলাম সেন্টু ও মানিক হোসেন এগিয়ে আসেন। এ সময় মিজানুর রহমান মিঠুর লোকজন লোহার রড়, বাঁশের লাঠি, বালিট, হাঁসুয়া নিয়ে শহিদুল ইসলাম সেন্টু ও মানিকের ওপর হামলা করে। গুরুতর আহতাঅবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে চারঘাট পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে শহিদুল ইসলাম সেন্টুর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত জ্ঞান ফেরেনি।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মহিদুল ইসলাম জানান, আবদুর রশিদ, ফজল হোসেন, মসলেম উদ্দিন, মিঠু দীর্ঘদিন থেকে মসজিদকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব ফ্যাসাদ করে আসছে। সমাজের ১১০ পরিবার একত্রিত হয়ে তাদের সমাজ থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে মসজিদে গিয়ে সময়ে অসময়ে দ্বন্দ্ব লাগায়।
মসজিদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিঠু জানান, তারা এককভাবে সমাজকে নেতৃত্ব দিয়ে চায়। প্রতিবাদ করায় তারা একত্রিত হয়ে আমাদের সমাজ থেকে আলাদা করে রেখেছে। আমার ভাতিজা আযান দিতে গেলে তারা আযান দিতে বাধা দেয়। এ নিয়ে ইমামের সাথে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।
মসজিদের ইমাম সামসুল ইসলাম জানান, আমি বাইরে থেকে এখানে এসে ইমামতি করি। যখন তখন সময় হওয়ার আগে জিনারুল মসজিদে এসে আজান দেয়। এ নিয়ে নিষেধ করায় আমাকে আক্রমণ করে। আমি বাধ্য হয়ে মাইকে প্রচার করলে দুই সদস্য এগিয়ে আসলে তাদের ওপর হামলা করে।
বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিভাগ : জাতীয়