শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক, কোটা পদ্ধতি সংবিধান পরিপন্থী : জি এম কাদের
০৮ জুলাই ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ১২:০২ এএম
কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতিকে সংবিধান পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের। গতকাল রোববার গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক আন্দোলন। সব সমাজের মানুষই বৈষম্য পছন্দ করে না। বৈষম্যময় সমাজকে সুষ্ঠু সমাজ বলা যায় না। বাঙালিরা ব্রিটিশ আমল থেকে বৈষম্যের শিকার হয়েছিল। বৈষম্য থেকে বাঁচতেই তারা পাকিস্তান আন্দোলনের সাথে জড়িত হয়েছিল। পরবর্তীতে পাকিস্তানিরাও বাঙালিদের সঙ্গে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল। তাই প্রথমে শুরু হলো স্বাধিকার আন্দোলন এবং পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রাম। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জন করেছিলাম শুধু বৈষম্য থেকেই বাঁচতে। স্বপ্ন ছিলো আমাদের একটি দেশ হবে, দেশ হবে বৈষম্যহীন। যেখানে নির্যাতন- নিপীড়ন থাকবে না। সংবিধানে বৈষম্যের বিরুদ্ধে জোর দিয়ে বলা হয়েছে। চাকরিতে কোটা পদ্ধতি হচ্ছে সংবিধান পরিপন্থী।
জিএম কাদের নেতা বলেন, বৈষম্যহীন এবং ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ গড়তেই আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছিল। এমন অবস্থায় চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সাংঘর্ষিক অবস্থা সৃষ্টি করে। সংবিধানে সাম্যের কারণে কিছু মানুষকে এগিয়ে নিতে সুযোগ দেওয়ার কথা আছে। যারা পিছিয়ে আছে, তারা যেন এগিয়ে যেতে পারে। পিছিয়ে পড়াদের কতটুকু সহায়তা দেওয়া হবে, তাও সংবিধানে বলা আছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা তাদের উত্তরাধিকারদের কোটা পদ্ধতিতে সুযোগ দেওয়া সংবিধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, প্রথমে মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করা হয়েছিল, এখন তা ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি করা হয়েছে। এটা নিয়ে বহু কন্ট্রোভার্সি আছে। মুক্তিযুদ্ধকালে কারও বয়স ছিল ২ থেকে ৩ বছর, আবার কারও জন্মই হয়নি, তারাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। অনেকের মুক্তিযুদ্ধের অবদান নিয়ে সন্দেহ আছে। আবার অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, কিন্তু তারা বিভিন্ন কারণে তালিকাভুক্ত হতে পারেনি। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের এককালীন সুবিধা দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু তা অন্য কাউকে বঞ্চিত করে বা বৈষম্যের শিকার করে নয়। আওয়ামী লীগ সরকার ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ রক্ষা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবহার করে কোটা পদ্ধতি চালু রাখতে চায়। তাদের উদ্দেশ্য শক্তিশালী একটি অনুগত বাহিনী সৃষ্টির জন্য। সারা দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে শাসকগোষ্ঠী লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করতে চায়। তাই কোটাবিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক। বিচারাধীন বিষয়ে আমরা কথা বলতে চাই না, তবে ফিলোসফিটি আমি বলেছি। সাধারণ মানুষের ধারণা, লাঠিয়াল বাহিনী সৃষ্টি করতেই অনুপযুক্ত লোকদের শক্তিশালী করে ব্রিটিশ ও পাকিস্তানিদের মত অত্যাচার চালানোর অপচেষ্টা চলছে। ব্রিটিশ ও পাকিস্তানিদের মতই বর্তমান সরকার ডিভাইড অ্যান্ড রুল চালু করেছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কম মূল্যে জমি বিক্রি না করায় দাউদকান্দিতে ছাত্রদলের নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ
ঈশ্বরগঞ্জে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা
বনানীতে সড়কে সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ, রাস্তা বন্ধ
বগুড়া সেনানিবাসে সাঁজোয়া কোরের ৪৪তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে যোগ দিলেন সেনা প্রধান
গাজীপুরে এ্যাপারেলস্ কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে আহত ১২
ব্যবহারকারীদের আশ্বাস ট্রাম্পের, যুক্তরাষ্ট্রে ফের চালু টিকটক
পদ্মায় ধরা পড়লো ৪২ কেজির মহা বিপন্ন বাঘাইড় মাছ
আরও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রিয়ালের প্রেসিডেন্ট পেরেজ
সিলেটে প্রখ্যাত আলেম ইসহাক আল মাদানির ইন্তেকাল!
গাজার ধ্বংসস্তূপে নতুন স্বপ্ন বুনছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষ
গাজা চুক্তিকে যেকারণে ‘হামাসের জয়’ বলছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
সত্যিকারের সুখী হওয়া অনেক কঠিনঃ মিশা
গাজায় ব্যাংক সেবা পুনরায় চালুর প্রস্তুতি শুরু ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের
বদলে যাচ্ছে পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যদের পোশাক
লক্ষ্মীপুরে ড্রামট্রাকের চাপায় প্রাণ গেল দুই অটোরিকশা যাত্রীর
মানিকগঞ্জে পদ্মায় বড়শিতে ধরা পরল ৯ কেজি ওজনের বোয়াল
রাজশাহী নার্সিং কলেজের ১৪ শিক্ষার্থী ফেল করে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দিলেন
মেলানিয়া ট্রাম্প বাজারে আনলেন নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি
সাবেক এমপি মোস্তফা জালাল গ্রেপ্তার
শরীয়তপুর পৌরসভার বিএনপি কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা