ঋণের সুদহার আরো বাড়ছে ব্যবসায়ীরা বলছেন পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে মূল্যস্ফীতির লাগাম টানার স্বার্থে টাকা ছাপানো বন্ধ করতেই হবে -ড. আহসান এইচ মনসুর

মূল্যস্ফীতি কমাতে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা আগামীকাল

Daily Inqilab হাসান সোহেল

১৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০১ এএম



মূল্যস্ফিতী নিয়ন্ত্রণ করা প্রতিটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কাজ। কিন্তু নানাবিধ ভুলনীতির কারণে ব্যর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক। টানা প্রায় দেড় বছর লাগামহীন মূল্যস্ফীতি। যা সরকারি হিসেবেই ১০ শতাংশের কাছাকাছি। আর তাই বিশ্বজুড়ে যখন মূল্যস্ফীতি কমছে, তখন বাড়ছে বাংলাদেশে। যদিও মূল্যস্ফিতীর এই হিসেব নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে বিশেষজ্ঞদের। তাদের মতে, বাস্তবে মূল্যস্ফিতী ১৫ শতাংশের বেশি। এদিকে বাজারে দুই বছরের বেশি সময় ধরে ডলারের সংকট। ব্যাংকগুলোতে টাকাও নেই। আর্থিক খাতের এসব সমস্যা সমাধানের মূল দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। তবে কোনোভাবেই সংকটের লাগাম টানতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও ঋণের সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এর আগে বাড়িয়েছিলো ঋণের সুদহার। সর্বোচ্চ ৯ থেকে বেড়ে ব্যাংক ঋণের সুদহার উঠেছে প্রায় ১৫ শতাংশে। যদিও এর সুফল ঘরে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। গত অর্থবছরজুড়ে নানা উদ্যোগের কথা বলা হলেও কমেনি মূল্যস্ফীতি। উল্টো নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বেড়ে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে বহু গুণ। এ অবস্থায় ঋণের সুদহার আরো বাড়ানোর পথে হাঁটছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মুদ্রানীতি আগামীকাল বৃহষ্পতিবার ঘোষণা করা হচ্ছে। এতে সুদহার বৃদ্ধি করে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির ঘোষণা আসতে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সুদহার বৃদ্ধির প্রভাবে অনেক ব্যবসায়ী দেউলিয়া হওয়ার মুখে। ঋণের সুদহার বাড়লে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থবছরে দুবার মুদ্রানীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা রক্ষার চেষ্টা করে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহে আসবে নতুন মুদ্রানীতি। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাজস্বনীতির সঙ্গে সমন্বয় করে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি সংকোচনমূলকই রাখা হবে। এ খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু সংকোচনমূলক মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ আসবে না। দেখতে হবে তদারকির বিষয়টি।
আইএমএফের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। এ কাজ করে মুদ্রানীতি। আমাদের মূল্যস্ফীতি এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। মূল্যস্ফীতি কমাতে অবশ্যই মুদ্রানীতি সংকোচনমূলক হতে হবে। একই সঙ্গে টাকা ছাপিয়ে ব্যাংক সচলও বন্ধ রাখতে হবে। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানার স্বার্থে এখন টাকা ছাপানো বন্ধ করতেই হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি কমিটি ইতোমধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মুদ্রানীতির খসড়া পাস করেছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, গত দুই অর্থবছরের মতো চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতিও হবে ‘সতর্ক’ ও ‘সংকুলানমুখী’। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে বাজারে নিয়ন্ত্রণ করা হবে অর্থের প্রবাহ। এজন্য নীতি সুদহার (রেপো রেট) আরো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেক্ষেত্রে নীতি সুদহার বাড়তে পারে ৫০ বেসিস পয়েন্ট। তবে এটি কার্যকর হতে পারে দুই ধাপে। বর্তমানে নীতি সুদহার ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যে সুদহারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ ধার করে সেটিই নীতি সুদহার। এ সুদহার বাড়লে ব্যাংক ঋণের সুদও বাড়ে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সবগুলো টুলসই ব্যবহার করেছে। কোন নীতিই কাজ করছে না। কারণ এখানে সিন্ডিকেট, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন এবং বিশ্ববাজারের অনেক বিষয়ের ওপর বাজার নিয়ন্ত্রণ নির্ভর করে।
সূত্র মতে, দেশে গত দুই অর্থবছরজুড়েই ৯ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। যদিও সে হার ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তার জন্য ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৯ শতাংশের সীমাও তুলে নেয়া হয়। একই সঙ্গে দফায় দফায় বাড়ানো হয় নীতি সুদহার। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত অর্থবছরের মধ্যেই ঋণের সুদহার ৯ থেকে বেড়ে প্রায় ১৫ শতাংশে ঠেকে। যদিও সুদহার বৃদ্ধির প্রভাব এখনো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান হয়নি। সর্বশেষ জুনে দেশের মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, টানা ১৬ মাস ধরে মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের বেশি রয়েছে। অর্থনীতিবিদরা যদিও বলছেন, বিবিএসের তথ্যের চেয়ে দেশের প্রকৃত মূল্যস্ফীতি আরো অনেক বেশি। প্রকৃত তথ্যের ভিত্তিতে হিসাবায়ন না করায় মূলত এর সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে প্রতিবেশী প্রায় সব দেশেই মূল্যস্ফীতি বাড়লেও সাম্প্রতিক সময়ে তা কমে এসেছে। এক বছর ধরে ভারতের মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশের নিচে রয়েছে। সর্বশেষ জুনেও প্রতিবেশী দেশটির মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বড় ধরনের সাফল্য পেয়েছে পাকিস্তান ও শ্রীলংকা। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৩১ শতাংশের বেশি। চলতি বছরের জুনে এসে সে হার ১২ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলংকার মূল্যস্ফীতি প্রায় ৫২ শতাংশে উঠলেও বর্তমানে তা ১ শতাংশেরও কম। চলতি বছরের মে মাসে শ্রীলংকার মূল্যস্ফীতি ছিল দশমিক ৯ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি কমাতে ঋণের সুদহার বৃদ্ধির প্রভাব দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর পড়েছে। উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বাজারে পণ্যের দাম আরো বাড়ছে। আবার ব্যবসায়িক মন্দা ও সুদহার বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে অনেক ব্যবসায়ী ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না। এতে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ও হার দুটিই বাড়ছে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম বলেন, সুদহার এমনিতেই অনেক বেড়ে গেছে। আশা করছি, ঋণের সুদ আর বাড়বে না। গভর্নরের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল। ব্যাংকগুলো এখন সাড়ে ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। কোনো ব্যাংক এর চেয়ে বেশি সুদ নিলে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের কাছে অভিযোগ করব।
প্রায় দুই বছর ধরে দেশের ব্যাংক খাতে তারল্যের সংকট চলছে। ব্যাংকগুলো উচ্চ হারে সুদ দিয়েও আমানত সংগ্রহ করতে পারছে না। সংকট তীব্র হওয়ায় দেশের অন্তত এক ডজন ব্যাংক তারল্যের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকনির্ভর হয়ে পড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে কিছু ব্যাংককে নগদ অর্থের জোগান দিয়েছে ৯৬ হাজার কোটি টাকা। আবার সরকারও ঘাটতি বাজেট পূরণে পুরোপুরি ব্যাংক ঋণনির্ভর হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বেসরকারি খাতে পর্যাপ্ত ঋণের জোগান নিশ্চিত করাও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।
যদিও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ছিল ১০ শতাংশ। যা অর্জিত হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানানো হচ্ছে। আর তাই নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অপরিবর্তিত রাখা হচ্ছে। অবশ্য ব্যাংক নির্বাহীরা বলছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণ ও অনাদায়ী সুদ বেড়ে যাওয়ার প্রভাবেই বেসরকারি খাতে ঋণ স্থিতি বাড়ছে। দেশে নতুন বিনিয়োগ বা শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে না। বড় উদ্যোক্তারাও নিজেদের ব্যবসা ছোট করে আনছেন।
সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট ঘোষণা করেছে। এ ঘাটতি পূরণে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকার ঋণ নেয়া হবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। এক্ষেত্রে দেশের ব্যাংক খাত থেকে নেয়া হবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ঋণ। যদিও অর্থবছর শেষে ব্যাংক খাত থেকে নেয়া ঋণের পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। এ পরিস্থিতিতে সরকারকে ঋণের জোগান দিতে গিয়ে বেসরকারি খাতের আরো বেশি ঋণবঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে সরকারি ট্রেজারি বিলের সুদহার উঠেছে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশে। ব্যাংকগুলো এখন সরকারকে ঋণ দেয়াকেই বেশি লাভজনক ও নিরাপদ মনে করছে। চলতি অর্থবছরে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদহার আরো বাড়বে বলেই সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।#


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠনে ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন
অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে তাকিয়ে ইইউ
ভারতের উদ্বেগের মধ্যে হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে পাকিস্তান
সান্ত¡না খুঁজে পাচ্ছেন না, দুই দেশে কলঙ্কিত টিউলিপ
দুর্নীতির মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির কারাদণ্ড
আরও

আরও পড়ুন

খুশদীলের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রংপুরের আটে আট

খুশদীলের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রংপুরের আটে আট

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক দেশের ভিসা

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক দেশের ভিসা

মেডিকেল কলেজে শিক্ষক বাড়ানোর কথা ভাবছে সরকার

মেডিকেল কলেজে শিক্ষক বাড়ানোর কথা ভাবছে সরকার

ছাত্রদলের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি আজ

ছাত্রদলের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি আজ

গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠনে ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন

গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠনে ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন

অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে তাকিয়ে ইইউ

অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে তাকিয়ে ইইউ

ভারতের উদ্বেগের মধ্যে হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে পাকিস্তান

ভারতের উদ্বেগের মধ্যে হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে পাকিস্তান

সান্ত¡না খুঁজে পাচ্ছেন না, দুই দেশে কলঙ্কিত টিউলিপ

সান্ত¡না খুঁজে পাচ্ছেন না, দুই দেশে কলঙ্কিত টিউলিপ

দুর্নীতির মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির কারাদণ্ড

দুর্নীতির মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির কারাদণ্ড

বিদেশে টাকা পাচারের রাজনীতি মানুষ চায় না : পীর সাহেব চরমোনাই

বিদেশে টাকা পাচারের রাজনীতি মানুষ চায় না : পীর সাহেব চরমোনাই

শেখ পরিবারের রক্তের জন্যই দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন টিউলিপ -রিজভী

শেখ পরিবারের রক্তের জন্যই দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন টিউলিপ -রিজভী

নামাজ মু’মিনের জন্য মেরাজস্বরূপ

নামাজ মু’মিনের জন্য মেরাজস্বরূপ

ক্রেডিট কার্ডে বিদেশে বাংলাদেশিদের লেনদেন কমেছে

ক্রেডিট কার্ডে বিদেশে বাংলাদেশিদের লেনদেন কমেছে

স্বনির্ভর অর্থনীতির পথে দেশ

স্বনির্ভর অর্থনীতির পথে দেশ

বগুড়ার বিমানবন্দর দ্রুত চালুর দাবি

বগুড়ার বিমানবন্দর দ্রুত চালুর দাবি

আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশকে মানবাধিকার লংঘন বন্ধ করতে হবে : হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশকে মানবাধিকার লংঘন বন্ধ করতে হবে : হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

হাজারীবাগের ট্যানারির গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

হাজারীবাগের ট্যানারির গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্র দেওয়া জরুরি : নুরুল হক নুর

জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্র দেওয়া জরুরি : নুরুল হক নুর

গণঅভ্যুত্থানের ইশতেহারে বিএনপির ভূমিকা লিখতে হবে : জয়নুল আবদিন

গণঅভ্যুত্থানের ইশতেহারে বিএনপির ভূমিকা লিখতে হবে : জয়নুল আবদিন

নির্বাচনে রাজনৈতিক নেতাদের পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতি দিতে হবে

নির্বাচনে রাজনৈতিক নেতাদের পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতি দিতে হবে