৭ দিনে রেমিটেন্স এসেছে মাত্র ১৩৮ মিলিয়ন ডলার
৩০ জুলাই ২০২৪, ১২:০৮ এএম | আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪, ১২:০৮ এএম
ইন্টারনেট বন্ধ থাকা এবং টানা তিন দিন সাধারণ ছুটির কারণে বড় ধাক্কা লেগেছে বিদেশি মুদ্রার গুরুত্বপূর্ণ উৎস প্রবাসী আয়ে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি মাসের চতুর্থ সপ্তাহে (২১ থেকে ২৭ জুলাই) দেশে রেমিটেন্স হিসেবে এসেছে মাত্র ১৩৮ মিলিয়ন ডলার। অথচ তৃতীয় সপ্তাহে (১৪ থেকে ২০ জুলাই) ৪৫০ মিলিয়ন ডলার, দ্বিতীয় সপ্তাহে (৭ থেকে ১৩ জুলাই) ৬০৮ মিলিয়ন ডলার এবং প্রথম সপ্তাহে (১ থেকে ৬ জুলাই) ৩৭০ মিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স দেশে এসেছে। জুলাইয়ের ২৭ দিনে মোট রেমিটেন্স এসেছে ১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারের। আর গতবছর জুলাই মাসে ১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স দেশে এসেছিল।
গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ২ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ৪৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স দেশে এসেছিল।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ১৮ জুলাই থেকে অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। সেদিন রাত থেকে বন্ধ হয়ে যায় ব্র্যাডব্যান্ড ইন্টারনেট, মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল আগেই। ১৯ জুলাই শুক্রবার মধ্যরাত থেকে কারফিউ জারি হলে সারা দেশে সেনা নামানো হয়। বন্ধ হয়ে যায় কল কারখানার উৎপাদন। এরপর সরকার রবি থেকে মঙ্গল ( ২১ থেকে ২৩ জুলাই) নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করলে সব অফিস, আদালত, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। ইন্টারনেট ফিরলে এবং কারফিউ শিথিল হলে ২৪ জুলাই থেকে স্বল্প পরিসরে ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়। ব্যাংকাররা বলছেন, ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ২৩ তারিখ পর্যন্ত রেমিটেন্স আসা বন্ধ ছিল।
২৪ ও ২৫ জুলাই স্বল্প পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম চললেও রেমিটেন্স এসেছে খুবই কম। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে আমদানি-রপ্তানির মত রেমিটেন্সের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্সের প্রবাহ কমে গেছে। সেটা দেশের অর্থনীতির জন্য খারাপ। কারণ অন্যান্য সূচক শ্লথ হলেও একমাত্র রেমিটেন্সের প্রবাহ ছিল আশানুরূপ। সেখানেও একটা আঘাত পড়েছে।
আহসান মনসুর বলেন, পরিস্থিতি যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক করতে হবে। নাইলে দেশ থেকে টাকা পাচার হবে। কারণ উচ্চ ও মধ্যবিত্তরা সবাই চায় স্থিতিশীলতা। দেশ অস্থিতিশীল হলে পরবর্তী প্রজন্মকে বাইরে পাঠিয়ে দিতে চায় এবং সম্পদও পাচার করে।###
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ধামরাইয়ে যুবকের লাশ উদ্ধার
ফেনীতে বন্যায় ব্রিজ ভেঙে খালে ৪ মাসেও সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগ চরমে
সউদী আরব ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ও বিক্রির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে
মুজিবনগর সেচ প্রকল্পে দুদকের অভিযান ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ
শীত আসতেই রাজনগরে শুরু হয়েছে নাচ-গান আর জুয়ার আসর
বিজিবি দিনাজপুর সেক্টরের উদ্যোগে শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ
বুড়িচংয়ে কাকদী নদীর পাড় কাটায় বাধঁ ভাঙ্গার আশঙ্কা বিরাজমান
বীজ সরবরাহে প্রতারণা উপরে সুন্দর গাছে আলু ফলন নেই
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন বাবর
ভারতের মহাকুম্ভ মেলায় পবিত্র নদীতে স্নানের মহোৎসব , আধ্যাত্মিকতার মহাযজ্ঞ
কলাপাড়ায় বিএনপি'র দপ্তর সম্পাদকের বাসায় চুরি
কালীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলায় মানুষের ঢল
রাজউক উত্তরা জোনাল অফিস স্থানান্তর আদেশের প্রতিবাদে মানববন্ধন
নিষিদ্ধ সংগঠন সহ-সভাপতি সজল ১ দিনের রিমান্ডে
কুলাউড়ায় জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
ট্রাম্পের শপথের আগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ উত্তর কোরিয়ার
টেকনাফের কৃতিসন্তান সাইফুল্লাহকে পুলিশের এআইজি পদে পদায়ন
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেল ফরিদপুরের চার আলেম
টিকটক কিনছেন না মাস্ক, জল্পনা উড়াল চীনা সংস্থা
সাতক্ষীরায় নববধূকে নির্যাতন করে হত্যা! স্বামী আটক