ঢাকা   মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ | ৩০ পৌষ ১৪৩১
গণভবনে ১৪ দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক জামায়াত-শিবিরের জঙ্গীরাই আমাদের ওপর থাবা দিয়েছে : শেখ হাসিনা

জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

৩০ জুলাই ২০২৪, ১২:০৮ এএম | আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪, ১২:০৮ এএম

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত ১৪ দল নেতাদের সঙ্গে এক জরুরী সভায় এ বিষয়ে ঐক্যমত থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বৈঠক শেষে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি জামায়াত নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জাতীয় স্বার্থে দেশবিরোধী অপশক্তি নির্মূল করার জন্য ১৪ দলের বৈঠকে সর্ব সম্মতভাবে জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে ১৪ দলের অন্যতম নেতা ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াত শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত সরকার দ্রুত বাস্তবায়ন করবে। আর তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ হলে তারা আর সংবাদ সম্মেলন কিংবা অন্য কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে পারবে না।

এর আগে বিকেল ৫টায় গণভবনে ১৪ দল নেতাদের সঙ্গে জরুরী সভায় বসেন জোট নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগে জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করলে এত লাশ দেখতে হতো না। এ ছাড়া জোটের সকল দলের নেতাদের সম্মতির পরই এমন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে বলেই জোট নেত্রী বৈঠকে জানিয়েছেন বলে একটি বৈঠক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে কারফিউয়ের বিষয়েও প্রস্তাব তোলেন তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। তিনি বৈঠক এখনই কারফিউ না তোলার বিষয়ে প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এখনই কারফিউ না তোলাই ভাল। আর যদি তোলা হয় তাহলে সেনাবাহিনী যাতে মাঠে আরো ১৫ দিন থাকে।

এর আগে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোকে জঙ্গীবাদী কাজ হিসেবে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, জামায়াত-শিবির, বিএনপির জঙ্গীরা আজকে আমাদের ওপর থাবা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখানে ঐ শিবির, ছাত্র দল, বিএনপি-জামায়াত এরাই কিন্তু জঙ্গী। এই জঙ্গীরাই কিন্তু আজকে আমাদের ওপর থাবা দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে ঘটনাগুলো ঘটছে, আসলে এটা কোন রাজনৈতিক কিছু না। এটা সম্পূর্ণ জঙ্গীবাদী কাজ। একেবারে জঙ্গীবাদী কাজ।’

কোটা সংস্কারের দাবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এদের উদ্দেশ্যটা এখন বোঝা যাচ্ছে যে কোটা কোনো ইস্যু না। একে একে যে কয়টা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সেবা দেয়, যে কয়টা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের মানুষের জীবন মান উন্নত করে, সেটাই ধ্বংস করা। অর্থাৎ বাংলাদেশটাকেই যেন ধ্বংস করে ফেলা।’

বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের নাম শুনলে সবাই সমীহ করে মন্তব্য করে টানা চার বারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ আজকে বিশ্বব্যাপী একটা মর্যাদার আসন পেয়ে গেছে। বাংলাদেশের নাম শুনলে সবাই সমীহ করে চলে। সবাই সম্মানের চোখে দেখে। একটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে আমরা তুলে আনতে সক্ষম হয়েছি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে, অবকাঠামোগত উন্নয়নের মধ্য দিয়ে।’

এর আগে গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে দেশব্যাপী সহিংসতা শুরু হলে গত ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। সে দিন ওই বৈঠক থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করে সরকার। ওই বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

অপর দিকে গতকাল সোমবার বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংসতার সময়ে বিভিন্ন কলেজে লাঞ্ছিত ও নির্যাতিত ছাত্রলীগের নারী নেত্রীরা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাদের কাছ থেকে নির্যাতনের বর্ণনা শোনেন। ছাত্রলীগ নেত্রীরা সেই রাতে ঘটে যাওয়া তাদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরেন। তাদের অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি তাদেরকে সান্ত্বনা দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের ছাত্রলীগের নারী নেত্রীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল বিশেষ করে রোকেয়া ও শামসুন্নাহার হলসহ বিভিন্ন ছাত্রী হলের নির্যাতিত ছাত্রলীগ নেত্রী, ইডেন মহিলা কলেজ ও বদরুন্নেছা মহিলা কলেজের নির্যাতিত ছাত্রলীগের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে ছাত্রলীগের নারী নেত্রীদের সঙ্গে হওয়া মতবিনিময়কালে শেখ হাসিনা বলেন, অতি বামপন্থীরা এখন জামায়াত-শিবিরের লেজুড়বৃত্তি করছে। জামায়াত-শিবির কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ঘাড়ে চেপেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ আন্দোলনের ঘাড়ে চেপেই তো বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা সুযোগ পেয়ে গেল। তার সঙ্গে জুটলো কিছু অতি বাম, অতি ডান। এটা অদ্ভুদ ব্যাপার।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের অতি বামপন্থীরা এখন শিবিরের লেজুড়বৃত্তি করে, জামায়াতের লেজুড়বৃত্তি করে। তাদের সঙ্গে এখন এক সাথে হয়ে গেল। অদ্ভুত সমাজ, আমি জানি না এদের কিসের আদর্শ, কিসের নীতি।’
আন্দোলনের খরচ কে দেয় এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এরা এত টাকা কোথা থেকে পায়? কোথা থেকে পেল? প্রতিদিনে তাদের আন্দোলনের খরচ, কে দিয়েছে সে টাকা?’ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা দেশের সম্মান ধূলিস্মাৎ করেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দিনরাত পরিশ্রম করে যে বাংলাদেশটাকে সম্মানের স্থানে নিয়ে এসেছিলাম, সেটাকে ধূলিস্মাৎ করে দিল। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে দুঃখের।’
তিনি বলেন, ‘তারা তাদের আন্দোলন করে এবং আমাকে খাটো করতে যেয়ে বাংলাদেশটাকে কোথায় টেনে নামাল সেটা একবার চিন্তা করে না। এদের মধ্যে যদি এতটুকু দেশপ্রেম থাকত, দায়িত্ববোধ থাকত তাহলে এটা করত না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্দোলনের ফসলটা হলো আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দেওয়া। বাংলাদেশের মানুষের যে মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করি, তাদের একটা উন্নত জীবন দিচ্ছি সেটাকে নষ্ট করে দেওয়া। সেটাইতো করা হল।’

সরকারি বিভিন্ন স্থাপণায় হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে কাজগুলো জনগণের জন্য সেগুলো একে একে তারা ধ্বংস করে দিল। কার স্বার্থে এটা তারা করছে সেটাই আমার প্রশ্ন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার প্রশ্ন হচ্ছে অপরাধটা কি করলাম? মানুষের জীবনমান উন্নত করা? মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা করা? চিকিৎসার ব্যবস্থা করা? বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিচ্ছি। আমার বাবা-মা সবাইকে হত্যা করেছে। তারপরেও সেই কষ্ট বুকে নিয়ে এসে শুধুমাত্র এইদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন, মানুষ একটু ভালো থাকবে। মানুষ উন্নত জীবন পাবে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয়ী জাতি হিসাবে আন্তর্জাতিকভাবে আমরা যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি, সম্মানের সঙ্গে চলতে পারি। সেই সম্মানটাতো আমি এনে দিয়েছি বাংলাদেশকে। এটাতো কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আজকে যেখানে যাবে বাংলাদেশ শুনলে সমীহ করে এবং মর্যাদার চোখে দেখে।’
#


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ফেনীতে বন্যায় ব্রিজ ভেঙে খালে ৪ মাসেও সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগ চরমে

ফেনীতে বন্যায় ব্রিজ ভেঙে খালে ৪ মাসেও সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগ চরমে

সউদী আরব ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ও বিক্রির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে

সউদী আরব ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ও বিক্রির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে

মুজিবনগর সেচ প্রকল্পে দুদকের অভিযান ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ

মুজিবনগর সেচ প্রকল্পে দুদকের অভিযান ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ

শীত আসতেই রাজনগরে শুরু হয়েছে নাচ-গান আর জুয়ার আসর

শীত আসতেই রাজনগরে শুরু হয়েছে নাচ-গান আর জুয়ার আসর

বিজিবি দিনাজপুর সেক্টরের উদ্যোগে শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ

বিজিবি দিনাজপুর সেক্টরের উদ্যোগে শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ

বুড়িচংয়ে  কাকদী নদীর পাড় কাটায়  বাধঁ ভাঙ্গার আশঙ্কা বিরাজমান

বুড়িচংয়ে  কাকদী নদীর পাড় কাটায়  বাধঁ ভাঙ্গার আশঙ্কা বিরাজমান

বীজ সরবরাহে প্রতারণা উপরে সুন্দর গাছে আলু ফলন নেই

বীজ সরবরাহে প্রতারণা উপরে সুন্দর গাছে আলু ফলন নেই

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন বাবর

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন বাবর

ভারতের মহাকুম্ভ মেলায় পবিত্র নদীতে স্নানের মহোৎসব , আধ্যাত্মিকতার মহাযজ্ঞ

ভারতের মহাকুম্ভ মেলায় পবিত্র নদীতে স্নানের মহোৎসব , আধ্যাত্মিকতার মহাযজ্ঞ

কলাপাড়ায় বিএনপি'র দপ্তর সম্পাদকের বাসায় চুরি

কলাপাড়ায় বিএনপি'র দপ্তর সম্পাদকের বাসায় চুরি

কালীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলায় মানুষের ঢল

কালীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলায় মানুষের ঢল

রাজউক উত্তরা জোনাল অফিস স্থানান্তর আদেশের প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাজউক উত্তরা জোনাল অফিস স্থানান্তর আদেশের প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিষিদ্ধ সংগঠন  সহ-সভাপতি সজল ১ দিনের রিমান্ডে

নিষিদ্ধ সংগঠন  সহ-সভাপতি সজল ১ দিনের রিমান্ডে

কুলাউড়ায় জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

কুলাউড়ায় জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

ট্রাম্পের শপথের আগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ উত্তর কোরিয়ার

ট্রাম্পের শপথের আগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ উত্তর কোরিয়ার

টেকনাফের কৃতিসন্তান সাইফুল্লাহকে পুলিশের এআইজি পদে পদায়ন

টেকনাফের কৃতিসন্তান সাইফুল্লাহকে পুলিশের এআইজি পদে পদায়ন

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেল ফরিদপুরের চার আলেম

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেল ফরিদপুরের চার আলেম

টিকটক কিনছেন না মাস্ক, জল্পনা উড়াল চীনা সংস্থা

টিকটক কিনছেন না মাস্ক, জল্পনা উড়াল চীনা সংস্থা

সাতক্ষীরায় নববধূকে নির্যাতন করে হত্যা! স্বামী আটক

সাতক্ষীরায় নববধূকে নির্যাতন করে হত্যা! স্বামী আটক

ফরিদপুরে চুরি করতে গিয়ে দেখে ফেলায় বাড়ির কেয়ারটেকারকে হত্যা : গ্রেপ্তার ৩

ফরিদপুরে চুরি করতে গিয়ে দেখে ফেলায় বাড়ির কেয়ারটেকারকে হত্যা : গ্রেপ্তার ৩