নাগরিক সমাজকে মত প্রকাশে দায়িত্বশীল হওয়া উচিত
০৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৮ এএম | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৮ এএম
সারা দেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে দেশের নাগরিক সমাজকে মত প্রকাশে দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা দেখেছি, চলমান সংকটে, নাগরিক সমাজের অনেকেই ব্যক্তিগত মতামত ব্যক্ত করছে। আমরা ব্যক্তিগত মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু একটি রাষ্ট্রের শান্তি শৃঙ্খলা ও জনগণের জান মালের নিরাপত্তার বিষয়টিও সকলের বিবেচনায় থাকা উচিত। তাদের এ মত প্রকাশের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তৃতীয় কোন স্বার্থান্বেষী মহল যেন উস্কানীর সৃষ্টি করে কাজে ব্যবহার না করতে পারে সে বিষয়েও সকলকে দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।’ গতকাল শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাকদ জানিয়েছেন, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার পর দেশের বিভিন্ন পেশাজীবি ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরাসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের পেশাজীবী ও নাগরিক সমাজের সাথে মত বিনিময় শুরু করেছেন। পর্যায়ক্রমে সবার সাথেই মতবিনিময় করবেন তিনি।’ নাগরিক সমাজের উদ্দেশে এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে সকলের চলমান সংকট থেকে উত্তরণে ধৈর্য্যধারণ করা উচিত।’
আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক বলেন, ‘একটি মহল সরকার বনাম শিক্ষার্থী গেইম খেলে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ এবং হত্যাকান্ড চালিয়েছে। সহিংসতায় সংগঠিত হত্যাকান্ডের তদন্তের জন্য, তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। এবং ইতিমধ্যে তদন্ত কমিশন কাজ শুরু করে দিয়েছে। এমনকি এই ঘটনার তদন্তে জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন দেশের কাছে সরকারের তরফ থেকে সহযোগীতা চাওয়া হয়েছে। প্রতিটি হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের সদস্য সংখ্যা এবং আত্তত্বা বাড়ানো হয়েছে। তদন্ত কমিশনে ৩ জন বিচানপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
শিক্ষার্থীরা কোনো অবস্থানেই সরকারের ‘প্রতিপক্ষ নয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সহিংসতার ঘটনায় শিক্ষার্থীদেরকে অযথা হয়রানি এবং আটক না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মূল দাবি পূরণ হয়েছে, আদালতে রায়ের পর দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তারপরও একটি মহল সরকার বনাম শিক্ষার্থী গেম খেলে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।’
আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “তাদের (শিক্ষার্থীদের) অযথা হয়রানি ও আটক না করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী যেন হয়রানি না হয় সেদিকে দায়িত্বশীল সবাইকে সতর্কতার সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এএইচএসসি পরীক্ষার্থীরা যাতে সময় পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারে সে জন্য সময় সূচী পুণ:নির্ধারণ করা হয়েছে। আটককৃতদের পরীক্ষার্থীদের মুক্ত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের মূল দাবি যেতেতু পূরণ হয়েছে, সেহেতু আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীরা শ্রেনী কক্ষে পরীক্ষার হলে ফিরে যাবে। তারা কারো অশুভ রাজনীতির ঢাল হিসেবে ব্যবহার হউক, এটা জাতি চায় না। পরিবেশ এবং পরিস্থিতি অনুসারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা চাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসুক। কোন ধরনের ভয়, ভীতি, আশঙ্কা ছাড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের স্বাভাবিক গতি আসবে এটা আমাদের প্রত্যাশা।’
আন্দোলন নিয়ে নাগরিক সমাজকে যেন কোনো পক্ষ ব্যবহার করতে না পারে সে বিষয় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, চলমান সংকটে, নাগরিক সমাজের অনেকেই ব্যক্তিগত মতামত ব্যক্ত করছে। আমরা ব্যক্তিগত মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু একটি রাষ্ট্রের শান্তি শৃঙ্খলা ও জনগণের জান মালের নিরাপত্তার বিষয়টিও সকলের বিবেচনায় থাকা উচিত। তাদের এ মত প্রকাশের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তৃতীয় কোন স্বার্থান্বেষী মহল যেন উস্কানীর সৃষ্টি করে কাজে ব্যবহার না করতে পারে সে বিষয়েও সকলকে দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।’ তিনি আরো বলেন, ‘রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে সকলের চলমান সংকট থেকে উত্তরণে ধৈর্য্যধারণ করা উচিত।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরাসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের পেশাজীবী ও নাগরিক সমাজের সাথে মত বিনিময় শুরু করেছেন। পর্যায়ক্রমে সবার সাথেই মতবিনিময় করবেন তিনি।’
জামায়াত-শিবির চিহ্নিত সন্ত্রাসী সংগঠন উল্লেখ করে তাদেরকে নিষিদ্ধ করায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সরকারকে ধন্যবাদ জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘জামায়াত-শিবির চিহ্নিত সন্ত্রাসী সংগঠন। সন্ত্রাসী বিরোধী আইনে নির্বাহী আদেশে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতারা।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
শুধু নামেই জিমনেসিয়াম
মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে কী পরিবর্তন আসছে?
অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতদ্বৈততা কাম্য নয়
সচিবালয়ে আগুন সন্দেহজনক
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি পরিকল্পিত নাশকতা: ইসলামী আইনজীবী পরিষদ
আশিয়ান সিটির স্টলে বুকিং দিলেই মিলছে ল্যাপটপ
‘প্রতিবন্ধীদের সংগঠন ও সম্পদ দখল করে পতিত সরকারের শিল্পমন্ত্রীর কন্যা’
পরকীয়া প্রেমের ঘটনায় গৌরনদীতে উপ-সহকারী ২ কৃষি কর্মকর্তা এলাকাবাসীর হাতে আটক