ভোল পাল্টে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা আওয়ামী সুবিধাভোগী জাকির-হানিফার
০৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম
প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা না থাকার পরেও অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি রেজিস্ট্রার ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস মো. জাকির হোসেন এবং উপ-রেজিস্ট্রার আবু হানিফাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত নভেম্বরে অবৈধ নিয়োগ ও দুর্নীতি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই দুইজনকে বরখাস্ত করা হয়। একইসঙ্গে তাদেরকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না সে মর্মে কারণ দর্শানো হয়। পাশাপাশি তাদের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। শোকজের জবাব যাচাই-বাছাই এবং তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সিন্ডিকেট সভায় তাদেরকে আরবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়েছে গত জানুয়ারিতে। গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে বাংলাদেশে। ইতোমধ্যে গা ঢাকা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে ওই শাসনামলে সুবিধাভোগী অনেকে। আবার অনেকেই রাতারাতি ভোলপাল্টেও ফেলছেন। এই দলেই যুক্ত হয়েছেন বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলের অন্যতম দুই সুবিধাভোগী জাকির হোসেন ও আবু হানিফা।
আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত এই দুই কর্মকর্তা বেশকিছু বহিরাগত নিয়ে আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকী-ধামকী দেন। তাদের নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখানোর চেষ্টা করেন। সরকার পরিবর্তন হয়েছে এখন তাদের নিয়োগ পুনর্বহাল না করলে তারা দেখে নেওয়ার হুমকী দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, জাকির ও হানিফা বুধবার কিছু বহিরাগত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। তারা বলেন, তাদেরকে পুনরায় স্বপদে বসাতে হবে। এসময় অন্যরা বলেন, ভিসি স্যার অফিসে নেই, উনার সিদ্ধান্ত ছাড়া সম্ভব না। এসময় জাকির-হানিফা উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি-ধামকি দেন এবং সকলকে দেখে নেয়ার কথা বলেন।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, জাকির-হানিফা জানিয়েছেন তারা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের বরখাস্তের সিদ্ধান্তের বিষয়ে স্থগিতাদেশ পেয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে তারা শিক্ষামন্ত্রী (নাহিদ-দীপু মনি-নওফেল), আওয়ামী পন্থীশিক্ষক নেতা শাহজাহান আলম সাজুর ঘনিষ্টজন বলে দৌর্দ্যণ্ড প্রতাপ দেখাতেন। আর আওয়ামী সরকারের বিদায়ের পর এখন তারাই আবার কেই বিএনপির, কেউবা জামায়াতের বিভিন্ন নেতার রেফারেন্সে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। এবিষয়ে কথা বলার জন্য চেষ্টা করলে তাদের ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ বলেন, আমি শুনেছি তারা অফিসে এসেছিলেন। তবে আমি অসুস্থ থাকায় অফিসে যেতে পারিনি। তাদের চাকরির বিষয়ে তিনি বলেন, হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে থাকলে আমরা আপিল করবো। তবে বহিরাগত নিয়ে অফিসে প্রবেশ করে হম্বিতম্বি করাকে তিনি ভালো মনে করেন না বলেও জানান।
চূড়ান্ত বরখাস্তের আদেশে বলা হয়, বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের তদন্ত কমিটির সুপারিশ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পত্রের নির্দেশনা এবং বিশ^বিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ অর্থ বছরের সরকারি নিরীক্ষা আপত্তিসমূহে প্রেক্ষিতে সহকারি রেজিস্ট্রার মো. জাকির হোসেন ও উপ রেজিস্ট্রার মো. আবু হানিফার কাছে জবাব চাওয়া হয়। তা যাচাই বাছাইয়ের আলোকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। গত ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৩১তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের নিয়োগ ও নিয়োগ সংক্রান্ত সকল আদেশ, প্রক্রিয়া, কার্যক্রম আইনত অবৈধ হওয়ায় জাকির হোসেন ও আবু হানিফার অবৈধ নিয়োগ বাতিল করা হলো। এ আদেশ গত ৩১ ডিসেম্বর-২০২৩ থেকে কার্যকর হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, জাকির হোসেন ও আবু হানিফার নিয়োগ যে অবৈধ সেটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। সেই আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গত বছরের জুন মাসেই চিঠি দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সিন্ডিকেটের অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা থাকায় গতবছরের ৪ নভেম্বর তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে তাদেরকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না সে মর্মে কারণ দর্শাতে বলা হয়। এছাড়া সিন্ডিকেট তাদের বিরুদ্ধে একটি ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করে। যে কমিটির প্রধান করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকে।
ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানিয়েছেন, অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়ে জাকির হোসেন ও আবু হানিফা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন। তারাই মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের অঘোষিত হর্তাকর্তা হয়ে যান। দোর্দণ্ড প্রতাপশালী এই দুই কর্মকর্তা ভিসির চেয়েও প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন কাজই সম্ভব হতো না তাদের অনুমতি ছাড়া। তাদের কাছে না গেলে অনেক কাজই আটকে থাকতো। মাদরাসা পরিদর্শন ও অনুমোদনেও তারা বড় অংকের অর্থ আদায় করতো। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনাকাটাসহ নানা কাজেও তারা কমিশন আদায় করতো বলে অভিযোগ রয়েছে।
বয়স-অভিজ্ঞতা-যোগ্যতা ছাড়াই জাকির হোসেন হয়ে যান সহকারী রেজিস্ট্রার :
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের এপিএস (ব্যক্তিগত সহকারী) জাকির হোসেনকে অবৈধভাবে বয়স ও অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেন তৎকালীন ভিসি আহসান উল্লাহ। যথাযথ নিয়োগপ্রক্রিয়া অনুসরণ ছাড়াই বিধিবহির্ভূতভাবে মো. জাকির হোসেনের ব্যক্তিগত আবেদনের প্রেক্ষিতে ভিসির একক সিদ্ধান্তে মো. জাকির হোসেনকে নিয়োগপত্রে নিয়োগের ধরণ, শর্ত এমনকি বেতন স্কেল কোন কিছুই উল্লেখ না করে অস্থায়ীভিত্তিতে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত চাকরির নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ্র প্রার্থীকে যে কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে এবং শিক্ষা জীবনে সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণী/সমমান গ্রেড থাকতে হবে ” ও অভিজ্ঞতা “ প্রার্থীকে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেকশন অফিসার বা সমপর্যায়ের (জাতীয় বেতন স্কেলের ৯ ম গ্রেড ও তদূর্ধ্ব পদে কমপক্ষে ৫ (পাঁচ) বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। শর্ত থাকা সত্ত্বেও জাকির হোসেনের একটিতে অর্থাৎ স্নাতকে ৩য় শ্রেণী এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেকশন অফিসার বা সমপর্যায়ের (জাতীয় বেতন ছেলের ৯ম গ্রেড ও তদূর্ধ পদে কমপক্ষে ৫ বছর কাজের অভিজ্ঞতা ছাড়াই ২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি সহকারী রেজিস্ট্রারের শূন্য পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়। অথচ ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৩ এর ধারা-১২ এ উল্লিখিত ভাইস চ্যান্সেলরের ক্ষমতা ও দায়িত্বে অস্থায়ীভিত্তিতে জনবল নিয়োগের ক্ষমতার বিষয়ে উল্লেখ নেই। কিন্তু ভিসি মো. জাকির হোসেনকে অস্থায়ীভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করেছেন।
দুর্নীতিবাজ প্রাক্তন ভিসির ঘনিষ্ট সহচর উপ-রেজিস্ট্রার আবু হানিফা :
বিগত বিএনপি শাসনামলে ড. আবু হানিফাকে অবসর সুবিধা বোর্ডে মূল্যায়ন কর্মকর্তা হিসেবে সুপারিশে কোন বিজ্ঞপ্তি বা নিয়ম নীতি ছাড়াই অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে যাকে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার হিসেবে সম্পূর্ণ অবৈধ ও অনৈতিকভাবে ভিসি আহসান উল্লাহ তার একক ক্ষমতাবলে নিয়োগদান করে তার মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্য, বাড়িভাড়া ও যাবতীয় ক্রয় করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি মো. আবু হানিফাকে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-রেজিস্ট্রার পদে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নির্দেশে প্রেষণে পদায়ানের আদেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই দিনে তিনি ওই পদে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সুপারিশ ও ১৮ জানুয়ারি ৩য় সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেষণে কর্মরত প্রার্থী হিসেবে আবু হানিফা উপ-রেজিস্ট্রারের স্থায়ী পদে আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে করেননি। তার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বা সমপর্যায়ের পদে ৫ বছরের অভিজ্ঞতাসহ ১ম শ্রেণির পদে মোট ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকার শর্ত রয়েছে। কিন্তু আবু হানিফার বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কাজের কোন অভিজ্ঞতা নেই। সিন্ডিকেটের অনুমোদন না নিয়ে ভিসি উপ-রেজিস্ট্রার পদের তফসিল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শর্ত শিথিলের তফসিল নিজেই অনুমোদন করেছেন। যা তিনি আইনত করতে পারেন না। এছাড়া আবু হানিফার ক্ষেত্রে শিথিলের শর্ত প্রযোজ্য হবে না। এ থেকে তদন্ত কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে, আবু হানিফার নিয়োগটি যথাযথভাবে হয়নি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কিশোরগঞ্জের আব্দুল কাহার আকন্দ কোথায়? কেউ জানে না!
হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি
যুক্তরাষ্ট্র ও লন্ডনে ৩শ’ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
রাজশাহী মহানগরীতে ঘন কুয়াশা
আবারও ভানুয়াতুতে দ্বীপপুঞ্জে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প
হাজীগঞ্জে ভরাট মিঠানিয়া খালের মুখ, হুমকিতে ফসলি জমি
রাহাতের সুরের মুর্ছনায় বিমোহিত দর্শক, বাংলায় বললেন 'আমরা তোমাদের ভালোবাসি'
‘প্রশাসন ক্যাডার নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে’
যুক্তরাজ্যে ট্রাম্পের বিশেষ দূত হিসেবে মার্ক বার্নেট নিযুক্ত
ফাইনালে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার
ফ্রেন্ডলি ফায়ার দুর্ঘটনায় লোহিত সাগরে মার্কিন যুদ্ধবিমান ধ্বংস
ইরানে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ১০
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী কে, জানেন?
বাংলাদেশি রোগী পেতে সীমান্ত পর্যন্ত মেট্রো চালু করবে ভারত
হাত ফসকে আইফোন পড়ে গেল মন্দিরের দানবাক্সে, ফেরত দিতে অস্বীকৃতি
কুয়াশায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে একাধিক দুর্ঘটনা: নিহত ১, আহত ১৫
ঢাকার বায়ুমানে উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই, বিপজ্জনকের কাছাকাছি
উগ্রবাদী সন্ত্রাসী 'সাদ' পন্থীদের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন
বাংলাদেশ সীমান্তে অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েন ভারতের
নরসিংদীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ছাত্রদলকর্মী নিহত