শেখ হাসিনাকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় দেওয়া উচিত হবে না -রূপা হক
১৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পদত্যাগ করে পালিয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৫ আগস্ট থেকে তিনি ভারতেই অবস্থান করছেন।
তার ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ নিয়ে চলছে জল্পনা। এক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য নিয়ে চলছে বেশি আলোচনা। এর মধ্যেই শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সংসদ সদস্য (এমপি) রূপা হক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্যান্ডার্ডে এক নিবন্ধে লেবার পার্টির এই এমপি লেখেন, শেখ হাসিনাকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় দেওয়া উচিত হবে না।
তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ কতটা ‘বিশৃঙ্খল’ ছিল তা নিয়ে গান গেয়েছিলেন জর্জ হ্যারিসন। গত সপ্তাহে তিনি আবার সঠিক প্রমাণিত হলেন। সেই সঙ্গে ইরাকের বিখ্যাত নেতা সাদ্দাম হোসেনের ক্ষমতাচ্যুতির মতো ঘটনার প্রতিফলনও দেখা গেছে। ‘জাতির পিতা’ বলে ঘোষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো, কুশপুতুল পোড়ানো হলো, যা ঢাকা থেকে টাওয়ার হ্যামলেট (যুক্তরাজ্যের একটি পৌরসভা) পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল।
ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পতনকে তিয়ানআনমেন স্কয়ারের সঙ্গে তুলনা করে রূপা হক লিখেছেন, ‘স্বৈরাচারী’ কন্যা শেখ হাসিনা দেশটির আয়ুষ্কালের বড় অংশই শাসন করেছেন (সর্বত্র তার বাবার ভাস্কর্য ও চিত্রকর্ম স্থাপন নিশ্চিত করে)। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করে, শেখ হাসিনা শুধু শাড়ি পরা একজন বৃদ্ধাই নন, ‘বর্বর’ শাসকও। সারাদেশে জ্বালাও-পোড়াওয়ের মাধ্যমে তিনি ভারতে নির্বাসিত হন।
রূপা হক লিখেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, শেখ হাসিনার শাসনামল ব্যাপকভাবে সমালোচিত। সেই সঙ্গে যুক্তরাজ্যের নিজস্ব অভিবাসনসংক্রান্ত রাজনৈতিক স্পর্শকাতরতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের এমন একজনকে আশ্রয় দেওয়া উচিত হবে না, যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের দাবি রয়েছে। অনেক বাংলাদেশি মনে করেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।
ছাত্রদের নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে থাকা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রসঙ্গ টেনে রূপা হক লিখেছেন, ৮৪ বছর বয়সী নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন বাংলাদেশের হাল ধরেছেন। সম্প্রতি জনপ্রিয়তার ভয়ে তাকে (ড. ইউনূস) কারাবন্দি করার ষড়যন্ত্রও করেছিলেন শেখ হাসিনা।
বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া। এরই মধ্যে হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বিভিন্নভাবে বিরোধীদের ‘ইসলামিস্ট’ ট্যাগ দিয়ে বেশ কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে তার মায়ের প্রতি অকৃতজ্ঞতার জন্য বাংলাদেশিদের তিরস্কার করেছেন। আবার তিনি এও দাবি করেন যে, তার মা বাংলাদেশে ফিরে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সবশেষে রূপা হক লেখেন, তবে ঝুঁকি এখনো থেকেই যাচ্ছে। এরপরও আশা করি, সেখানে গণতন্ত্র ফিরবে। দুই পরিবারের চিরবৈরিতা যেখানে বাংলাদেশের ইতিহাস রূপায়ন করে, সেখানে ভবিষ্যতে যখন সুষ্ঠু একটি নির্বাচন হবে, তখনই সবকিছু নতুন করে শুরু করার উৎকৃষ্ট সময় হবে।#
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
শুধু নামেই জিমনেসিয়াম