কৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে তরুণ ও শিক্ষার্থীদের রাখার আহ্বান ড. ইউনূসের
১৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৫ এএম
গ্লোবাল সাউথের জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তরুণ ও শিক্ষার্থীদের কৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আমাদের জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ। এরা সমাজের সবচেয়ে ক্ষমতাধর অংশ। তারা আলাদা। তারা একটি নতুন বিশ্ব গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তরুণ ও শিক্ষার্থীরা সক্ষম এবং প্রযুক্তিগতভাবে তারা আগের প্রজন্মের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তারা সব অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে।
গতকাল শনিবার তৃতীয় ‘ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট’-এর উদ্বোধনী ‘লিডার্স সেশন’-এ ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ড. ইউনূস ছাড়াও ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, ফিজি, ওমান, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানরা ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনে তিনি সবাইকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান। সম্মেলনে যোগ দেওয়া রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের তিনি বলেন ‘নইলে আপনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করতে পারেন।’
ঢাকার বেশিরভাগ এলাকার দেয়ালগুলো তরুণ শিক্ষার্থী ও শিশু যাদের অনেকের বয়স ১২-১৩ বছর গ্রাফিতির নগরে পরিণত করেছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ৪০০ বছরের পুরোনো ঢাকা শহরের দেয়ালে নতুন গণতান্ত্রিক-পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশকে তুলে এনেছে এইসব নতুনেরা। এর জন্য কোনো কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা বা নির্দেশনা ছিল না। কারও কাছ থেকে কোনো অর্থ সহায়তাও পায়নি তারা। দ্বিতীয় বিপ্লবের লক্ষ্যের প্রতি তাদের যে আবেগ ও অঙ্গীকার এটা তাদের সেই বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
ড. ইউনূস বলেন, আমাদের যে শিক্ষা ও আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে তা শুধু চাকরিপ্রার্থী ও তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য। আমাদের সিস্টেমকে নতুন করে সাজাতে হবে। আমার দীর্ঘ জীবনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি আমাদের আর্থিক ব্যবস্থা সম্পদের একীভূতকরণের জন্য তৈরি হয়েছে। আমাদের এই আর্থিক ব্যবস্থা এমনভাবে পুনর্গঠন করতে হবে যেন সম্পদের সুষম বণ্টন হয়। সব মানুষ বিশেষ করে নারী ও তরুণদের জন্য আর্থিক সেবাগুলো আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৫২ সালে বাংলাদেশের ছাত্ররা মায়ের ভাষার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিল। যা সারা বিশ্বে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ে সংগ্রামের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। প্রায় সাত দশক পরে আমাদের ছাত্রদের নেতৃত্বে যে দ্বিতীয় বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে তা গ্লোবাল সাউথে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মর্যাদাবোধ, সমতা এবং সুষম উন্নয়নে তরুণদের জেগে উঠতে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। এই বিপ্লবে অংশ নেওয়া সবচেয়ে ‘বয়স্ক তরুণ’ হতে পেরে এবং তাদের স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করতে পেরে আমি নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রে রূপান্তর নিশ্চিত করতে এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখন তাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচনি ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, স্থানীয় সরকার, গণমাধ্যম, অর্থনীতি ও শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সাধন করা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এটাই ছিল প্রফেসর ইউনূসের প্রথম বৈশ্বিক অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঞ্চালনায় রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান পর্যায়ের উদ্বোধনী অধিবেশনটি অনুষ্ঠিত হয়।###
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
শুধু নামেই জিমনেসিয়াম