মূল এনডিএ মিত্র জেডিইউ এবং এলজিপি আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সাথে তাদের মতবিরোধ প্রকাশ করেছে এবং মুসলিম বিধায়কদের নামাজের জন্য শুক্রবার দুই ঘণ্টা বিরতি বন্ধ করার রাজ্য বিধানসভার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। শর্মা অবশ্য এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেছেন যে, এটি হিন্দু ও মুসলিম বিধায়কদের মধ্যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে হয়েছে।

জেডিইউর কর্মকতা নীরজ কুমার রাজ্য বিধানসভায় জুমা নামাজের জন্য দুই ঘণ্টা মুলতবি রাখার রীতি বন্ধ করার আসাম সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এর পরিবর্তে শর্মার দারিদ্র্য বিমোচন এবং বন্যা প্রতিরোধের মতো বিষয়গুলোতে মনোযোগ দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘আসামের মুখ্যমন্ত্রীর নেওয়া সিদ্ধান্ত দেশের সংবিধানের মূল নীতির বিরোধী। প্রতিটি ধর্মীয় বিশ্বাসের তার ঐতিহ্য সংরক্ষণের অধিকার রয়েছে। আমি মুখ্যমন্ত্রী শর্মাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই: আপনি রমজানের সময় শুক্রবারের ছুটিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন এবং দাবি করছেন যে, এটি কাজের দক্ষতা বাড়াবে। হিন্দু ঐতিহ্যের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হল মা কামাখ্যা মন্দির - আপনি কি সেখানে বলিপ্রথা নিষিদ্ধ করতে পারবেন’?

শর্মা অবশ্য এ সিদ্ধান্তের পক্ষ সমর্থন করে বলেন, ‘আমাদের বিধানসভার হিন্দু ও মুসলিমরা বিধায়কের শাসন কমিটিতে বসেছিল এবং সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, দুই ঘণ্টা বিরতি ঠিক নয়। আমাদের এ সময়ের মধ্যেও কাজ করা উচিত। এ অনুশীলনটি ১৯৩৭ সালে শুরু হয়েছিল এবং গত শুক্রবার থেকে বন্ধ করা হয়েছে’।
জেডিইউর সিনিয়র নেতা কে সি ত্যাগী বলেছেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা চিন্তা, ভাব, বিশ্বাস এবং উপাসনার স্বাধীনতা প্রদান করে। ত্যাগী বলেন, সংবিধানের চেতনা এবং মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কিছু করা উচিত নয়।

এলজেপির দিল্লির সভাপতি রাজু তিওয়ারিও আসাম সরকারের সিদ্ধান্তে আপত্তি তুলেছেন। তিনি বলেন, ধর্মীয় অনুশীলনের স্বাধীনতাকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে। বিহারের দুই জোট সম্প্রতি কোটা বিধান না মেনে কেন্দ্রের পার্শ্বীয় প্রবেশের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল যার পরে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।