ঢাকা   রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭ আশ্বিন ১৪৩১
আজিমপুরে সরকারি সম্পত্তি জবরদখল

সম্পদের পাহাড় আমিনের

Daily Inqilab বিশেষ সংবাদদাতা

২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম

দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা হয়েও বহুমাত্রিক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন পালিয়ে যাওয়া সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিনউদ্দিন। হাসিনার মাফিয়াতন্ত্রকে অন্ধ সমর্থন করেই তিনি ক্ষান্ত ছিলেন না। উচ্চ আদালতে আইনের উল্টাপাল্টা ব্যাখ্যা প্রদান, খোড়া যুক্তি তুলে ধরা,তৎকালিন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তথা শেখ হাসিনার হুকুম-আহকাম প্রতিপালনে অবস্থান নিয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বার্থের বিপক্ষে।

বিচারপ্রার্থী নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে। গত দেড় দশকে হাসিনার সন্ত্রাসবাদের শিকার এবং শত শত মামলার আসামি হয়েছেন ৪০ লাখেরও বেশি রাজনৈতিক নেতা-কর্মী। হাইকোর্টের কোনো কোনো বেঞ্চ তাদের জামিন হলেও চেম্বারে তৎক্ষণাত আপিল করে ঠেকিয়ে দিতেন তাদের কারামুক্তি। অন্যদিকে কোম্পনি আইন এবং দেওয়ানি আইনের মামলায় বিকিয়ে দিতেন রাষ্ট্র স্বার্থ। এনবিআর’র এলটিও, সরকরের বৃহৎ রাজস্ব এবং আর্থিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ‘লিগ্যাল অপেনিয়ন’ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। দুর্নীতিলব্ধ অর্থে দেশ-বিদেশে গড়ে তোলেন সম্পদের পাহাড়। স্ত্রী আফসারী আমিন শিবলী এবং দ্ইু সন্তান রাইয়ান আমিন এবং নাহিয়ান আমিনের নামেও গড়ে তুলেছেন বিপুল সম্পত্তি।

অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়কে পরিণত করেন আইনজীবী নামধারী ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে। উচ্চ আদালতসহ সারাদেশের আইন কর্মকর্তা (পিপি,এপিপি,জিপি,জিপিপি) নিয়োগ দিতেন অর্থের বিনিময়ে। নিজ অফিসে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেন শত শত আইনজীবী। প্রতিষ্ঠানটির স্থায়ী কোনো অর্গানোগ্রাম না থাকার সুযোগ নিয়ে ইচ্ছেমতো তিনি ডিএজি,এএজি নিয়োগ দেন। তৎকালিন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ নিয়োগ বাণিজ্যের বখরা পেতেন।

উচ্চ আদালতে ডিএজি’দে’র বেতন এখন ১ লাখ টাকার কাছাকাছি। সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেলদের বেতন ৭৫ হাজার টাকার মতো। স্বল্প বেতনে চাকরি করেও ছাত্রলীগ ব্যাকগ্রাউন্ডের এই আইনজীবীরা দেড় দশকে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। জড়িয়ে পড়েন বিচারাঙ্গনের বাইরের বড় বড় দুর্নীতির সঙ্গে। বেতন যা-ই হোক, তাদের লাইফস্টাইল ছিলো রাজকীয়। আমিনউদ্দিনের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই তারা আদালতে এবং আদালতের বাইরে অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।

সুপ্রিমকোর্ট বারের একাধিক আইনজীবী জানান, এএম আমিনউদ্দিন শেখ হাসিনার মতো কথায় কথায় উচ্চ আদালতে ‘দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স’ বলতেন। বাস্তবে বিচারাঙ্গনকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেন তিনি। তার সময়ে ‘জজ কন্টাক্ট’, ‘বিও কন্টাক্ট’, ‘সরকারি উকিল কন্টাক্ট’ ইত্যাদি টার্ম বহুল প্রচলন ঘটে। কথিত এসব কন্টাক্টের কথা বলে আওয়ামী আইনজীবীরা নিরীহ বিচারপ্রার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। বিচার চাইতে এসে বহু ভুক্তভোগী আইনজীবীদের দ্বারা প্রতারিত হয়েছে। সুপ্রিমকোর্ট বারে ২ মেয়াদে সভাপতি ছিলেন আমিনউদ্দিন। অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে পদাধিকার বলে ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের। কিন্তু ভুক্তভোগীলা আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আমিনউদ্দিনের কাছে অভিযোগ করে কোনো প্রতিকার পেতেন না।

হাসিনার শাসনামল জুড়ে দাপটের সঙ্গে চলা এএম আমিনউদ্দিন গত ৭ আগস্ট পদত্যাগ করেন। এর দু’দিন পর ছাত্র-জনতা একটি ওষুধ কোম্পানির গাড়ি আটক করে। তাতে আমিন উদ্দিন স্বাক্ষরিত ৩ হাজার কোটি টাকার চেক উদ্ধার হয়েছে-মর্মে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পরবর্তীতে সেটির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রবল পরাক্রমশালী হাসিনার এই সেবাদাসকে এখন কোথাও দেখা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো চোরাই পথে স্বপরিবারে দেশ ছেড়েছেন এএম আমিনউদ্দিন।

কে এই আমিনউদ্দিন : আবু মোহাম্মদ আমিনউদ্দিন। সংক্ষেপে সম্বোধিত হন ‘এএম আমিনউদ্দিন’ নামে। মাফিয়া হাসিনা সরকারের অন্ধ ভৃত্য ছিলেন অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম। বহুল সমালোচিত, ইসলাম বিদ্বেষী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম করোনা আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মারা যান। তার ‘যোগ্য উত্তরসূরী’ হিসেবে হাসিনা বেছে নেন আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এএম আমিনউদ্দিনকে। স্বভাবে আপাত: বিনয়ী, ঠান্ডা মেজাজের মানুষ হলেও হাসিনার সেবাদাস হিসেবে সংবিধান ও আইনের সুবিধাজনক ব্যাখ্যায় আমিনউদ্দিন ছিলেন মাহবুবে আলমের চেয়ে এককাঠি সরেস। দলীয় পদপদবি ধারণ করে ওই বছর ৮ অক্টোবর নিয়োগ বাগিয়ে নেন দেশের ১৬ তম অ্যাটর্নি জেনারেল’র পদ। আগে সাধারণত: সাংবিধানিক আইন, ফৌজদারি কার্যবিধি, দেওয়ানি আইন সম্পর্কে অভিজ্ঞ,বিজ্ঞ,প্রাজ্ঞ আইনজীবীরা রাষ্ট্রের গুরত্বপূণ এ পদটিতে নিয়োগ পেতেন। কিন্তু শেখ হাসিনা এ পদের মর্যাদা ধুলোয় মিশিয়ে দেন এএম আমিনউদ্দিনকে নিয়োগ দিয়ে। কারণ,আমিনউদ্দিনের কর্মজীবন শুরু উচ্চ আদালত দিয়ে। আশির দশকের মধ্যভাগে তিনি হাইকোর্ট বিভাগে চতুর্থ শ্রেণির পদে চাকরি করতেন। চাকরি অবস্থায় সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে এলএলবি করে তিনি হয়ে যান আইনজীবী। একটি রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল হওয়ার মতো এএম আমিনউদ্দিনের না আছে পর্যাপ্ত শিক্ষা, না আছে গভীর জ্ঞান। না আছে আভিজাত্য। এ হেন আমিনউদ্দিনের জন্ম তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তানের মৌলভীবাজারে ২৯৬২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। বেড়ে ওঠেন রাজধানীর আজিমপুর এলাকায়। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। ছোট ভাই মামুন এবং কামালউদ্দিন চলেন আমিনউদ্দিনের নাম বিক্রি করে। আজিমপুর দুই ভাইয়ের দাপটে মানুষ তটস্থ। পারিবারিক বিরোধ মেটানো থেকে শুরু সরকারি সম্পত্তি দখল করে ভবন নির্মাণ, ফ্ল্যাট বিক্রি- হেন কোনো অপকর্ম নেই তারা করেন না। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন হলেও বন্ধ হয়নি আমিনউদ্দিনের ভাই মামুন-কামালের দৌরাত্ম্য। বিশেষ এস্কট নিয়ে চলাফেলা করেন তারা। তাদের কথিত ব্যবসার নাম ‘ডেভলপার বিজনেস’ হলেও পেছনে থেকে পরিচালনা করেন এ.এম.আমিনউদ্দিন নিজেই।
আমিনউদ্দিনের দুই ভাইয়ের দখল-বাণিজ্য : স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, ভাই অ্যাটর্নি জেনারেলের দাপটে স্থানীয় অনেকের জায়গা-জমি দখল কওে নেন তার দুই ভাই মামুন-কামাল। নামমাত্র মূল্যে ওয়ারিশদের কাছ থেকে সম্পত্তির আমমোক্তারনামা দলিল নেন কামাল। পরবর্তীতে পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে অন্য ওয়ারিশদেরকে ভিটাছাড়া করেন। তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে করেন বাড়ি ছাড়া। এভাবে জমি খালি করে সেখানে জালিয়াতির মাধ্যমে প্ল্যান পাস করান রাজউক থেকে। এভাবে মামুন-কামাল আজিমপুর এলাকায দখল নিয়েছেন অন্তত: একডজন বাড়ি। এসব বাড়িতে এখন বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট। দখল-বাণিজ্যে এএম আমিনউদ্দিন ভ্রাতৃদ্বয়কে সহযোগিতা করেন আরেক মাফিয়া ভূমিদস্যু হাজী সেলিমের সন্ত্রাসী বাহিনী।

আমিন উদ্দিনের ভাই মামুন-কামাল রাজধানীর ১২৭, আজিমপুরে নির্মাণ করেছেন ‘কনকচাঁপা’ অ্যাপার্টমেন্ট। এ ভবনে রয়েছে আমিনউদ্দিনের ল’ফার্ম। একই ভবনে ফ্ল্যাট রয়েছে মামুন এবং কামালের। এ ভবনের ৪ তলায় সাড়ে ১২শ’ স্কয়ার ফিটের ২টি ফ্ল্যাট রয়েছে এএম আমিনউদ্দিনের। তিনি ফ্ল্যাট ২টি ভাড়া দিয়ে বসবাস করেন ধানমন্ডিতে। প্লটটির মালিকানা নিয়ে ওয়ারিশদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মামলা-মোকদ্দমা পরিচালনার নামে কামাল প্রথম কয়েকজন ওয়ারিশের কাছ থেকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নেন। এএম আমিনউদ্দিন, তৎকালিন আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে দিয়ে মামলাগুলো ‘মিটমাট’ করান। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের মাধ্যমে পুলিশকে দিয়ে অন্য ওয়ারিশদেরকে দখল থেকে উচ্ছেদ করেন। জালিয়াতপূর্ণ রেকর্ডপত্র দিয়ে নামজারি করেন। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে কামাল দখলদার উচ্ছেদ করেন। পরে সেখানে ভবন নির্মাণ করেন মামুন। এভাবে আজিমপুরের কাছাকাছি এলাকায় মামুন ৪-৫টি অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করেন। কয়েকটি ফ্ল্যাট কথিত ওয়ারিশদের দিয়ে সবগুলো বিক্রি করেন চড়া দামে।

আজিমপুরের ১১৬/২, টিউলিপ গার্ডেন’ ভবনটিও মামুনের করা। তার সঙ্গে ছিলেন জমির কথিত মালিক আব্দুল আজিজ। আজিজ মারা যাওয়ায় মামুনই ভবনটির মালিক। স্থানীয়রা জানান, এখানকার পুরোটার মালিক ওয়াকফ প্রশাসন। আজিমপুর বড় দায়রা শরীফের সম্পত্তি এটি। ‘হযরত শাহ্ সূফী সৈয়দ মো: দায়েম (রহ:) এর ওয়াক্ফ এস্টেট’র নিজস্ব সম্পত্তি’র সাইনবোর্ডও রয়েছে এখানে। এর মোতোয়াল্লি হিসেবে সৈয়দ শাহ বারাতুল্লাহ রওজাতুল্লাহ ওরফে তানভীর,তার বড় ভাই হাফিজুল্লাহ এবং বোন আজগারি বেগম এটির ভোগদখলে রয়েছেন। এদের মধ্য থেকে শাহ বারাতুল্লাহ ছিলেন ড্রাগ এডিক্টেট। কয়েক বছর আগে তিনি মারা যান। ওয়ারিশসূত্রে এখন তার স্ত্রী-সন্তান সম্পত্তির মালিক। সম্পত্তিটি নিয়ে অন্য ওয়ারিশদের সঙ্গে শাহ বারাতুল্লাহ পরিবারের বিরোধ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমিনউদ্দিনের ভাই মামুন এক ওয়ারিশের কাছ থেকে ৪০:৬০ অনুপাতে চুক্তি করে নেন। এখানে ১৯টি ফ্ল্যাট করেন। এর মধ্য থেকে শাহ বারাতুল্লহার পরিবারকে মাত্র ৪টি ফ্ল্যাট দিয়ে চড়া দামে বিক্রি করেন ১৫টি ফ্ল্যাট।

এএম আমিনউদ্দিন অ্যাটর্নি জেনারেল হওয়ার পর তারা জবর-দখল করেন ১২৩,আজিমপুরের আরেকটি বিরোধপূর্ণ সম্পত্তি। ‘চায়না বিল্ডিংয়ের গলি’খ্যাত এই স্থানে মামুন নির্মাণ করেন ‘পারফেক্ট ইন্ডিভিউ’ নামের অ্যাপার্টমেন্ট। ৭ তলা এই ভবনে ৩টি করে ইউনিট রয়েছে। একেকটি ইউনিট বিক্রি করছেন ২ থেকে আড়াই কোটি টাকা মূল্যে।

এছাড়া আমিনউদ্দিন এবং তার ভাইদের সহযোগিতা নিয়ে ওয়াকফ এস্টেটের জমি জবর-দখল করে অ্যাপার্টমেন্ট করছেন হাজী সেলিমও। মদিনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ‘মদিনা ডেভলপমেন্ট লি:’র নির্মাণ করছেন ‘গুলশান আরা মাসুদা টাওয়ার’ নামক জোড়া অট্টালিকা। এখানে এ,বি,সি, ক্যাটাগরির যথাক্রমে ১৪৮৮ বর্গফুট এবং ১৪৩৫বর্গ ফুটের ফ্ল্যাট বিক্রি চলছে। ‘হযরত শাহ্ সূফী সৈয়দ মো: দায়েম (রহ:) এর ওয়াক্ফ এস্টেট’র নিজস্ব সম্পত্তি’ জবল-দখল করে তোলা হচ্ছে জোড়া ভবন। যদিও ১৬০ কাঠা সম্পত্তির মধ্যে ১৬ কাঠা কথিত ওয়ারিশ গাজীউল হক গুড্ডু এবং মাসুদুল হকের (যারা মাত্র ২ আনা সম্পত্তির দাবিদার) কাছ থেকে মদিনা ডেভলপমেন্ট’ কিনে নিয়েছে মর্মে দাবি করছে। অভিযোগ রয়েছে, ওয়াকফ এস্টেটের পরিদর্শক ইউসুফ আলী খান মোল্লা গোপন বোঝাপড়ায় সরকারি এ সম্পত্তি হাজী সেলিমের হাতে তুলে দেন। জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পত্তির ওপর প্রকল্প বাস্তবায়নে হাজী সেলিম তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ওয়াকফ এস্টেটের ভোগ-দখলকারদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা,বাসা ভাঙচুর, লুটপাট, ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হয়। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট যেদিন শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান, তার পরবর্তী ২ দিন দেশে কোনো সরকার ছিলো না। থানায় কোনো পুলিশ ছিলো না। এ সুযোগ হাজী সেলিমের সন্ত্রাসী বাহিনী বাড়তি জমি দখলের জন্য বৈধ ওয়ারিশদের বাড়িতে লুটতরাজ চালায়। কয়েক শ’ কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি দখলে হাজী সেলিমের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য আলাউদ্দিন সাজু, শরীফুল এমদাদ নাঈম এতে নেতৃত্ব দেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত

প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত

দেশে সংস্কার  ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান

দেশে সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান

ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই

উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই

বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪

বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪

পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা

পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা

মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি

মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি

জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী

জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী

মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান

মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান

বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির

বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির

একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু

সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক

সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক

‘শুধু সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে’ : তারেক রহমান

‘শুধু সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে’ : তারেক রহমান

যে কোনো ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত: বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ

যে কোনো ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত: বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ

ভোলায় ঝড়ের কবলে পড়ে ১০ ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১

ভোলায় ঝড়ের কবলে পড়ে ১০ ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১

ছাত্ররাজনীতিতে গুণগত সংস্কার প্রয়োজন : শিবির সেক্রেটারী

ছাত্ররাজনীতিতে গুণগত সংস্কার প্রয়োজন : শিবির সেক্রেটারী

মতলবে ছেলের ইটের আঘাতে মায়ের মৃত্যু : আটক ছেলে

মতলবে ছেলের ইটের আঘাতে মায়ের মৃত্যু : আটক ছেলে

মব জাস্টিসের প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন

মব জাস্টিসের প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন

গুলিবিদ্ধ ইলহামের জন্য তারেক রহমানের অনন্য উদ্যোগ

গুলিবিদ্ধ ইলহামের জন্য তারেক রহমানের অনন্য উদ্যোগ