আম্মু তোমাকেও আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ এএম | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ এএম
হাসিনা সরকারের পতন এখন না হলে আর কখনোই হবে না, প্রয়োজনে তোমাকেও আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আম্মু তুমিও আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থেকো। গত ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিতে যাওয়ার সময় এটিই ছিলো শহীদ সাইদুল ইসলাম শাহীর মাকে বলা শেষ কথা। এ দিন আন্দোলন চলাকালে মহিপাল সার্কিট হাউজ রোডে গুলিবিদ্ধ হন সাইদুল ইসলাম শাহী (২১)। স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান তিনি। জেলার সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড নিবাসী রফিকুল ইসলাম এবং রেহানা বেগম দম্পতির পুত্র সাইদুল ইসলাম শাহী। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। শাহী ২০২১ সালে ফাজিলপুর ডব্লিউ-বি কাদরী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। এ বছর তার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
মঙ্গলবার সাইদুলের মা রেহানা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলন শুরুর পর থেকেই সাইদ প্রতিদিন ফেনী গিয়ে আন্দোলনে অংশ নিতো। আমাকে বলেই যেত। আমিও যেতে না করিনি কখনও। তবে আমার অভাবের সংসার, তার বাবা লেগুনা গাড়ি চালায়। আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না হওয়াতে তাকে ঠিকভাবে টাকা দিতে পারিনি কোনো দিন। ৪ আগস্ট ঘর থেকে বের হওয়ার আগে ২৫ টাকা চেয়েছিল সাইদুল। বলছিল তার কাছে ২৫ টাকা আছে, আরও ২৫ টাকা হলে ফেনী গিয়ে ফিরে আসতে পারবে। সেদিন আন্দোলন থেকে লাশ হয়ে ফেরেন সাইদুল। দেশের জন্য প্রাণ দিয়ে শহীদ হয়েছেন তিনি, এটাই পুত্রশোকে কাতর মা-বাবার একমাত্র সান্তনা এখন।
রেহানা বেগম বলেন, আমার তিন ছেলে। সাইদুল দ্বিতীয়। ধারদেনা করে তাদের পড়াশোনা করিয়েছি। অনেক স্বপ্ন ছিল তাকে নিয়ে। কিন্তু সন্ত্রাসীরা তা পূরণ হতে দেয়নি। আমার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করল। আমি আমার পুত্রের হত্যাকারীদের বিচার চাই।
সাইদুলের বাবা রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমার ইচ্ছা ছিল ছেলেকে ডাক্তার বানাব। কিন্তু আমার ছেলে দেশের জন্য শহীদ হয়েছে, আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। গাড়ি চালিয়ে আমি সংসার চালাতাম, বড় ছেলে মাত্র কাজ শুরু করেছিল। আমার ৩ সন্তানের মধ্যে সে বেশি মেধাবী ছিল। তারা আমার ছেলেকে হত্যা করল, মামলা করেছি ইতোমধ্যে। আমি খুনিদের বিচার চাই। নিহত সাইদুলের বড় ভাই সহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই ছিল আমাদের সবার থেকে আলাদা। কথাবার্তা কম বলত, মনের মধ্যে দেশের জন্য ভালোবাসা ছিল। রাজনৈতিকভাবে সে কখনও সম্পৃক্ত ছিল না। সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। তবে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করল। তার গায়ে চারটি গুলি লেগেছিল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাম্প্রতিক বন্যায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পরিবারটি। সহিদুল বলেন, বন্যায় আমাদের সব শেষ। এবারের বন্যায় ঘরের কিছুই বাঁচাতে পারিনি। ঘরের অনেক আসবাবপত্র ফেলে দিতে হয়েছে। মা-বাবাকে নিয়ে দুদিন আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলাম। পরে আমি তাদের বারৈয়ারহাট নিয়ে যাই। পানি কমার পর ফিরে এসে দেখি, ঘরের অবস্থা খুবই নাজুক।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ব্রুকের সেঞ্চুরিতে অজিদের জয়রথ থামিয়ে টিকে থাকল ইংল্যান্ড
বাংলাদেশকে পূর্ণ সমর্থন বাইডেনের
পাবর্ত্য চট্টগ্রামে দুর্গম পাহাড়ি সেনা ক্যাম্প পরিদর্শন সেনা প্রধানের
নিউইয়র্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
দেশের মাজার রক্ষা করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য চীন খুবই গুরুত্বপূর্ণ: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
ক্ষোভ বাড়ছে ভারতে
ভারতীয় সাংবাদিকদের এড়িয়ে গেলেন ড. ইউনূস
সোনারগাঁওয়ে তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা, আহত ৮
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য চায় পবিপ্রবির গ্রাজুয়েটবৃন্দ
হামজাকে পাওয়ার আরও কাছে বাংলাদেশ
বান্দরবানে জামাতুল আনসারের ৩১ সদস্য কে ৪ মামলায় জামিন
সাগরে লঘুচাপ, চার সমুদ্রবন্দরে বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত
সকল অপকর্মে জড়িতদের বিরুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে -চকরিয়ায় নারী সমাবেশে বক্তারা
সেনা কর্মকর্তা হত্যাকারীদের অবিলম্বে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে
অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি পঞ্চগড়ে
আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
এবার প্রকাশ্যে এলো চবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক
জাতিসংঘ মহাসচিবের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন ড. ইউনূস
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি ছাড়াল ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা