বহাল তবিয়তে প্রধান প্রকৌশলী শহীদুল আফরোজ
০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০২ এএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলেও বহাল তবিয়তে দুর্নীতি মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, কুর্মিটোলার তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শহীদুল আফরোজ। দুর্নীতির কারণে যেখানে তার সাসপেনশনে থাকার কথা সেখানে সিভিল এভিয়েশনের মতো স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তিনি এখনও সর্বেসর্বা। আওয়ামী লীগের দলীয় লোক বিবেচনায় প্রধান প্রকৌশলীর রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন দুর্নীতিবাজ এই শহীদুল। পতিত সরকারের সাবেক আইনমন্ত্রী ও বিমান পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খানের তদবিরের জোরে জনপ্রশাসনের রুটিন/চলতি দায়িত্ব প্রদানের শর্ত ভঙ্গ করে তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ আছে, দুর্নীতি মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামি হয়েও তদবিরের জোরে মানবিক কোটায় ‘তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী’র পদে ফিরে আসেন বিতর্কিত এই শহীদুল। সরকার পতনের ছয় মাস আগে ভাগিয়ে নেন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনার ‘প্রধান প্রকৌশলীর পদটিও। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বেবিচক ও সরকারি কর্মচারী বিধি অনুযায়ী দুর্নীতি মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যেখানে তার সাময়িক বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহারের সুযোগ নেই সেখানে সাবেক আইনমন্ত্রীর ঘনিষ্ট লোক হওয়ায় তারই নির্দেশে তারই মন্ত্রণালয়ের ‘আইনী মতামত দেখিয়ে তার মত চার্জশিটভুক্ত আসামির বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করে পূর্বের পদে বহাল করা হয়। শুধু তাই নয়; একইসঙ্গে তাকে সরকারি শর্ত ভঙ্গ করে সিভিল এভিয়েশনের প্রধান প্রকৌশলী (সিনিয়র) পদে ৬ মাসের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর তার নিয়োগের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। মেয়াদ বাড়াতে হলে বোর্ডের অনুমতি লাগবে কিন্তু শহীদুলের ক্ষেত্রে বোর্ডের অনুমতি প্রয়োজন হয়নি। এভাবেই তিনি পদে পদে সকল সরকারি আইন কানুন ও বিধি লঙ্ঘনের রেকর্ড গড়েছেন। বিতর্কিত শহীদুলকে এই পদে বসাতে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির নজির স্থাপন করেছেন বেবিচক কর্তৃপক্ষ।
এদিকে সিভিল এভিয়েশনের মত স্পর্শকাতর স্থাপনায় দুর্নীতির মাধ্যমে প্রধান প্রকৌশলী পদে পতিত সরকারের দোসর শহীদুল বহাল তবিয়তে রয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। দুর্নীতি মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামিকে পদ থেকে দ্রুত অপসারণপূর্বক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানিয়ে সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন। অন্যথায় তারা আন্দোলনের পথে হাঁটবেন বলেও জানিয়েছেন।
বেবিচক কর্তৃপক্ষের প্রকৌশল শাখার সর্বস্তরের প্রকৌশলীদের পক্ষ থেকে গত ২২ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বরাবরে প্রদত্ত অভিযোগে বলা হয়, সিভিল এভিয়েশনের প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুদকের একটি অর্থ কেলেঙ্কারি (কক্সবাজার জেনারেটর) মামলা এখনো চলমান। ওই মামলায় তাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ফলে এমন একজন চার্জশিটভূক্ত মামলার আসামিকে চিফ প্রকৌশলীর রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পতিত সরকারের বিমান সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি এবং ততকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের তদবিরে জেনারেটর ক্রয়ের নামে আত্মসাতের বিভাগীয় মামলায় ‘দোষী সাব্যস্ত’ হওয়ার পরও লঘুদন্ড প্রদান করে মামলাটি নিষ্পত্তি করা হয়। ‘মানবিক’ কারণ দেখিয়ে বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার ও স্বপদে যোগদানের সুপারিশও করা হয়। তারপর উপরের পদে রুটিন দায়িত্ব দিয়েছেন যা বেবিচকের সংবিধান পরিপন্থী।
অভিযোগে প্রকৌশলীরা বলেন, সিভিল এভিয়েশনের প্রধান প্রকৌশলীর রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হলেও উনাকে কোন আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয় নাই। তারপরও নিয়মের ব্যতয় ঘটিয়ে তিনি আর্থিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন।
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের জোর তদবিরে দুর্নীতি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হিসেবে ‘অযোগ্য’ বেবিচকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুল আফরোজকে ‘যোগ্য’ দেখিয়ে সরকারি বিধি ভেঙে একইসঙ্গে সংস্থাটির প্রধান প্রকৌশলী রুটিন দায়িত্ব প্রদান, ছয় মাসের নিয়োগের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া, বিভাগীয় মামলায় লঘুদন্ডপ্রাপ্ত হওয়া সত্বেও ‘মানবিক বিবেচনার অজুহাতে একজন ফৌজদারি আসামিকে সরকারি কর্মচারী ও বেবিচকের আপত্তি অমান্য করে ‘বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করে সপদে বহাল রাখাসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া ইনকিলাবকে জানান, বিষয়টি অবগত হয়েছি। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে উল্লেখ করেন তিনি।
দুদক সূত্র জানায়, বেবিচকের বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী শহীদুল আফরোজ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামি। বেবিচকের তত্ত্ববাধয়ক প্রকৌশলীর দায়িত্বে থেকে সিন্ডিকট করে কক্সবাজার বিমান বন্দরের জন্য দরপত্র অনুযায়ী জেনারেটর না কিনে ঠিকাদারকে বিল প্রদান ও সেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শহীদুল আফরোজসহ ছয়জনকে আসামি করে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপ পরিচালক মোহা: মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি কক্সবাজার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বলা হয়, বেবিচকের তত্ত্ববাধয়ক প্রকৌশলী শহীদুল আফরোজ টেন্ডার ও প্রাক্কলন এর শর্তানুযায়ী কক্সবাজার বিমান বন্দরে ঠিকাদার কর্তৃক নির্ধারিত ইউকেতে ফ্যাট কৃত কোনো রকমের জেনারেটর সরবরাহ না করেই ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের লাভবান করার উদ্দেশ্যে ঠিকাদারের অনুকূলে ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকার বিল চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে অন্যায়ভাবে সহযোগিতা করে উত্তোলনপূর্বক পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাত করেছেন।
শহীদুল আফরোজ ছাড়াও মামলায় আসামি করা হয়, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স ঢাকা ই্ন্টারন্যাশনাল এর মালিক মো. শাহাবুদ্দিন, বেবিচকের সিনিয়র সহকারি প্রকৌশলী ভবেশ চন্দ্র সরকার, সাবেক সিনিয়র উপসহকারি প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম মন্ডল, কক্সবাজার বিমান বন্দরের সাবেক ব্যবস্থাপক হাসান জাকির, নির্বাহী প্রকৌশলী মিহির চাঁদ দে।
আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতি করে নিজ নিজ ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজে লাভবান হয়ে এবং অপরকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে টেন্ডার অনুযায়ী নির্ধারিত জেনারেটর সরবরাহ না করে ৬০ লাখ ৫০ হাজার টাকার বিল উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ করে ৪০৬/৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
২০২১ সালের ১১ মে তৎকালীন বেবিচক চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, বেবিচকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বেবিচকের কর্মচারী চাকুরি প্রবিধানমালা ১৯৮৮ সালের ৪০ (১) (ক) (আ) প্রবিধি তথা বেবিচকের কর্মচারী প্রবিধানমালা ২০২১ সালের ৫০ (১) (ক)(আ) প্রবিধি মোতাবেক শহীদুল আফরোজ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সাময়িক বরখাস্ত) এর ২০২০ সালের বার্ষিক বেতন বর্ধন একবছরের জন্য বকেয়া না পাওয়ার শর্তে স্থগিত করা হলো। এবং বিভাগীয় মামলায় আনিত অভিযোগ এতদ্বারা নিস্পত্তি করা হলো। বিভাগীয় মামলাটি নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শহীদুল আফরোজ ফৌজদারি অপরাধে গ্রেফতার হওয়ায় ও মামলা চলমান থাকায় ঐ মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত তার সাময়িক বরখাস্ত আদেশ যথারীতি বলবৎ থাকবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভাগীয় মামলায় দোষী সাব্যস্ত এবং দুর্নীতি মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামি হয়েও ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন অবস্থায় শহীদুল আফরোজ বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হিসেবে প্রভাব প্রতিপত্তি দেখিয়ে যে কোনো মূল্যে বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে ফিরে আসার তদবির শুরু করেন। এক্ষেত্রে ব্যবহার করেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক বিমান পর্যটনমন্ত্রী মাহবুব আলীকে।
পতিত সরকারের সাবেক বিমানমন্ত্রী মাহবুব আলীর তদবিরে বেবিচকের চেয়ারম্যান গত ২৬ জুন ২০২৩ তারিখে এক আদেশে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে উল্লেখ করে শহীদুল আফরোজের সাময়িক বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। অথচ আইন মন্ত্রণালয় সরাসরি শহীদুলের বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেননি। বরং বলেছিলো, বেবিচক এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু বেবিচক কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবং সেই সিদ্ধান্তের কথা বেবিচক চেয়ারম্যান তার উক্ত আদেশে উল্লেখ করেননি। বরং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের দোহাই দিয়ে তার সাময়িক আদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এভাবেই শহীদুল আফরোজকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর পদে বহাল করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরকারি বিধি বিধানের রেকর্ড ভেঙে সাময়িক বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করিয়ে তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলীর পদে থেকে শহীদুলের এবার চোখ পড়ে সিভিল এভিয়েশনের প্রধান প্রকৌশলীর পদে। গত ৩১ জানুয়ারি বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলীর পদ শুন্য হলে ওই পদ ভাগিয়ে নিতে জোর তদবির করেন তিনি। ডিপিসির মাধ্যমে প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগ না করে উক্ত শুন্যপদে রুটিন দায়িত্ব দেওয়ার জন্য বেবিচক মন্ত্রণালয়ে শহীদুলের মত একজন ফৌজদারি মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামির নাম প্রস্তাব করেন। সরকারি বিধি ও বেবিচকের বিধি অনুযাযী যেখানে দুর্নীতি মামলার নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যেখানে তার সামিয়ক বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করার সুযোগ নাই সেখানে তার পদের একধাপ উপরে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে রুটিন দায়িত্বে তাকেই একমাত্র যোগ্য হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। এমনকি একধাপ উপরের পদে চলতি দায়িত্ব কিংবা রুটিন দায়িত্ব দিতে জনপ্রশাসনের শর্ত ভঙ্গ করা হয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে তাকে পরবর্তী নির্দেশনা প্রদানের পূর্ব পর্যন্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদে রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয়। অথচ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে চলতি দায়িত্ব প্রদানের শর্তাবলীতে বলা হয়েছে, কোনো কর্মচারীর নামে বিভাগীয় মামলা কিংবা ফৌজদারি মামলার কাযধারা চলমান থাকিলে তাহাকে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা যাইবে না। সুনির্দিষ্টভাবে শহীদুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা বিচারাধীন জানার পরও পতিত সরকারের লোক হিসেবে আইন কানুন লঙ্ঘন করে বেবিচক তাকে এই দায়িত্ব প্রদান করে। শুধু কি তাই, আইনে চলতি দায়িত্ব কিংবা রুটিন দায়িত্ব ছয় মাসের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে বলা হলেও সেই মেয়াদও উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। বরং নিয়ম না মেনে তাকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এভাবেই দুর্নীতি মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামি শহীদুল আফরোজ পতিত সরকারের লোক হিসেবে সরকারের সকল আইন কানুন বিধি লংঘন করে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর পদে একইসঙ্গে উপরের পদ প্রধান প্রকৌশলীর পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
বেবিচকের রুটিন দায়িত্বপালনকারী প্রধান প্রকৌশলী শহীদুল আফরোজ ইনকিলাবকে বলেন, যে কোন পদে বসলে অবশ্যই আইনমন্ত্রী ও বিমানমন্ত্রীর অনুমতি লাগে। এক্ষেত্রে তদবিরের কিছু নেই। অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, অফিসে আসেন, সরাসরি কথা বলি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রাহাতের সুরের মুর্ছনায় বিমোহিত দর্শক, বাংলায় বললেন 'আমরা তোমাদের ভালোবাসি'
প্রশাসন ক্যাডার নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে
যুক্তরাজ্যে ট্রাম্পের বিশেষ দূত হিসেবে মার্ক বার্নেট নিযুক্ত
ফাইনালে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার
ফ্রেন্ডলি ফায়ার দুর্ঘটনায় লোহিত সাগরে মার্কিন যুদ্ধবিমান ধ্বংস
ইরানে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ১০
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী কে, জানেন?
বাংলাদেশি রোগী পেতে সীমান্ত পর্যন্ত মেট্রো চালু করবে ভারত
হাত ফসকে আইফোন পড়ে গেল মন্দিরের দানবাক্সে, ফেরত দিতে অস্বীকৃতি
কুয়াশায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে একাধিক দুর্ঘটনা: নিহত ১, আহত ১৫
ঢাকার বায়ুমানে উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই, বিপজ্জনকের কাছাকাছি
উগ্রবাদী সন্ত্রাসী 'সাদ' পন্থীদের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন
বাংলাদেশ সীমান্তে অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েন ভারতের
নরসিংদীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ছাত্রদলকর্মী নিহত
সিনেটে প্রার্থী হতে সরে দাঁড়ালেন লারা ট্রাম্প
আমাদেরকে আর স্বৈরাচার হতে দিয়েন না : পার্থ
মার্চের মধ্যে রাষ্ট্র-সংস্কার কাজ শেষ হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
জামালপুরে দুই ইজিবাইকের চাপায় সাংবাদিক নুরুল হকের মৃত্যু
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইনের সামরিক সদর দফতরের দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি
ব্রাজিলে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩২