ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪ | ৯ কার্তিক ১৪৩১
প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ রাষ্ট্রীয় সঙ্কট সৃষ্টি হবে : বিএনপি

খোলা নেই আইনিপথ

Daily Inqilab সাঈদ আহমেদ

২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০১ এএম

স্বাধীনতা তুমি... যেমন ইচ্ছে লেখার আমার কবিতার খাতা। শামসুর রাহমানের ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতার শেষ চরণের মতোই পরিস্থিতি এখন। সবাই সবার পদত্যাগ চাইছেন। শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চাইছেন অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা। এর আগে কিছু শিক্ষার্থীর ‘দাবি’র মুখে বাতিল করা হয়েছিলো এইচএসসি’র অবশিষ্ট পরীক্ষা। সেই দাবি মানাও হয়েছে। যা পরবর্তীতে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে এখন চলছে ‘দাবির মৌসুম’। ফ্যাসিবাদের পতনের পর স্বাধীনতা সূর্য নবোদয়ের এই অরুণপ্রাতে দেশটিকে অনেকে মনে করছেন ‘যেমন ইচ্ছে লেখার আমার কবিতার খাতা’। ন্যায্য-অন্যায্যতার কোনো প্রশ্নই যে এখন আর করা যাচ্ছে না। ফলে ‘দাবি’ ওঠা মাত্রই সেটি পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন অঙ্গীকারবদ্ধ! অথচ এমন মনোভাবের বিপজ্জনক দিকটির কথা কেউ চিন্তা করছেন বলে মনে করছেন না।

ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ প্রশ্নে কথাগুলো এসেছে। কী তুলকালাম কাণ্ডটাই না ঘটে গেলো গত দু’দিন! অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে হাজারো চ্যালেঞ্জ। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বেশকিছু চ্যালেঞ্জই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এরই মধ্যে কাটিয়ে উঠেছে। তিনি নেতৃত্বে থাকলে ছাত্র-জনতার সহযোগিতায় আসন্ন চ্যালেঞ্জসমূহও মোকাবেলা সম্ভব বলে সাধারণ মানুষ মনে করছেন। হাসিনার দীর্ঘ কর্তৃত্ববাদী স্বৈরশাসন থেকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন সহজতর হবে না- এমনটি সবাই বোঝেন। পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা এবং তার রেখে যাওয়া ল্যাসপেন্সাররা পদে পদে অন্তরায় সৃষ্টি করবে- এটিও সবার জানা। তাই দিল্লী আশ্রিতা হাসিনাসৃষ্ট গুজব-গুঞ্জনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করছেন দেশপ্রেমিক মানুুষ। তারা মনে করছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কোনোক্রমেই পরাস্ত হওয়া চলবে না। মানুষ তাই সবগুঞ্জনকে পরাস্ত করে কায়োমনো বাক্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য কামনা করছেন। নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহযোগিতা করছেন। কারণ মাফিয়াতন্ত্রের বিভীষিকা মানুষকে এতোটাই ‘ট্রমাটাইজ’ করেছে যে, তারা আরেকটি মাফিয়া সরকারের উত্থান দেখতে চায় না। কোনো ফরমেটেই হাসিনাসদৃশ কোনো দানবের প্রত্যাবর্তন চায় না। মানুষ এটিও মনে করেন যে, যেকোনো প্রকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের ব্যর্থ হওয়ার অর্থ মাফিয়া হাসিনার বিজয়। কোনোক্রমে এ সরকারের হোঁচট খাওয়া মানে শেখ হাসিনার অট্টহাসি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে নিত্য নতুন ইস্যু সৃষ্টি করে সরকারকে হোঁচট খাওয়ানোর চেষ্টা লক্ষ্যণীয়। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে গুজব ও গুঞ্জন ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। পুরনো প্রশ্নের নতুন ‘উত্থাপন’ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অবাদ বাক স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে খুলে দেয়া হচ্ছে প্যান্ডোরার বাক্স। কিন্তু যখনই চিন্তা করা হয় যে, এ থেকে চূড়ান্তভাবে কে লাভবান হবেন- তখনই প্যান্ডোরার বাক্স খোলার উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা রাষ্ট্র কাঠামোর সবগুলো ভিত্তিকে ভেঙেচুরে তছনছ করে গেছেন। পার্লামেন্ট, সিভিল ব্যুরোক্রেসি, জুডিশিয়ারি, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্রনীতি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অর্থনীতিÑ সবকিছু। রাজনীতিকায়নকে নিয়ে ঠেকিয়েছেন পরিবার অবধি। প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যক্তি মানুষ কোনো কিছুই যখন ঠিক নেই- তখন পৃথকভাবে ‘প্রেসিডেন্ট’র মতো অত্যন্ত মৌলিক সাংবিধানিক পদটি ‘যথাযথ’ রেখে দিয়েছেন- এমনটি মনে করাই অবান্তর। আর অবান্তর বিধায়ই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়ার আগে সাংবিধানিক এ পদটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি। প্রশ্ন তোলা হয়নি বলতে, তোলার মতো পরিস্থিতিই ছিলো না। একইভাবে ছাত্র-জনতার উদ্ভূত অভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন কি করেননিÑ এ প্রশ্ন তোলার পরিস্থিতিও তখন ছিলো না। প্রশ্ন হচ্ছে, তখন যেহেতু এ প্রশ্ন তোলার পরিস্থিতি ছিলো না-এখনও কি আছে? ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে না বলে বলা হলে বলতে হবে, সেই পরিস্থিতি এখনো নেই। এখন নেই এ কারণে যে, বিষয়টি এখন ‘অবান্তর’। বিষয়টি অনেকটা নাতির পক্ষে দাদার কাবিননামা খোঁজার মতো। কাবিননামা না থাকলে সেই অবৈধতার প্রশ্ন তখনই তোলা প্রয়োজন ছিলো। এখন তোলার উদ্দেশ্য আর যা-ই হোক, অন্তত শুভকর নয়।

শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ‘মিথ্যাচার’ করেছেন- মর্মে একটি প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এটি ইস্যু করে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। বঙ্গভবন ঘেরাও করা হয়েছিলো। দাবির করাটা হয়তো অযৌক্তিকও নয়। অভিযোগ মেনে নিয়ে একজন ব্যক্তি সাহাবুদ্দিন পদত্যাগ করতেই পারেন। এতে মো: সাহাবুদ্দিনের ভাগ্য ও পরিণতিও বড় বিষয় নয়। বিষয় দাঁড়াচ্ছে ‘প্রেসিডেন্ট’ পদটি। এটিও কোনো ‘বিষয়’ হয়ে দাঁড়াতো না যদি গত ৫ আগস্ট হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরপর তার ইচ্ছেমাফিক সংশোধিত সংবিধানটি ছুঁড়ে ফেলা হতো। যদি ৮ আগস্ট বিদ্যমান সংবিধানকে সমুন্নত রাখার শপথ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার না নিতেন। সাংবিধানিক গোলাকধাঁধায় প্রবেশ করে কোন্ সঙ্কটের প্রেক্ষিতে সেই ধাঁধা থেকে সরকার বেরিয়ে আসার প্রয়োজন বোধ করছেন, পর্যবেক্ষক মহল বরং সেটি নিয়ে চিন্তিত। কারণ বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার যখন গতিশীল হতে চাইছে-ইস্যুর সৃষ্টি তখনই। বিষয়টিকে তাই সাদা চোখে না দেখে গভীর দুরভিসন্ধি রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যদিও গতকাল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে স্পষ্টতই বলা হয়েছে, নতুন কোনো সঙ্কট সৃষ্টি হোক-সরকার এটি চায় না। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি’র প্রতিনিধিল দল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্যক্ত করেছে অভিন্ন মনোভাব। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পদের শূন্যতা সৃষ্টি করতে ফ্যাসিবাদের দোসররা নানা চক্রান্ত করছে। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানান তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি’র এই প্রভাবশালী নেতা আরো বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট’ পদটা একটা সাংবিধানিক পদ বা একটা প্রতিষ্ঠান। সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ। এই পদে হঠাৎ করে শূন্যতা সৃষ্টি হলে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে। রাষ্ট্রীয় সঙ্কটের সৃষ্টি হবে। রাষ্ট্রীয় সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে যদি গণতন্ত্রের উত্তরণের পথটা বিলম্বিত হয় বাধাগ্রস্ত হয় সেটি জাতির কাম্য নয়। পতিত ফ্যাসিবাদের ও তাদের দোসরা ষড়যন্ত্র করছে। সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবেই এই ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করবো। ‘আপনারা প্রেসিডেন্ট মো: সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ বা অপসারণ চান কি না’ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের পদে শূন্যতা এই মুহূর্তে রাষ্ট্রীয় সংকট সৃষ্টি করবে।

এর আগে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বঙ্গভবন বা অন্য কোথাও কোনো ধরনের বিক্ষোভ বা আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। জনগণের মেসেজটি আমরা সবাই পেয়েছি এবং আমরা সে বিষয়ে আলোচনা করছি। আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়টি সিদ্ধান্তে যেতে হবে। সবাইকে তিনি শান্ত এবং সচেতন থাকার আহ্বান জানান।

কী বলছেন বিশ্লেষকরা : প্রেসিডেন্টের পদ থেকে মো: সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ প্রশ্নে সোজা-সাপ্টা কথা বলেছেন সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মহসিন রশিদ। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট যে কোনো কারণে রিজাইন করতে পারেন। নিয়ম অনুযায়ী তার সেই রেজিগনেশন লেটারটা যাবে স্পিকারের কাছে। কিন্তু এখনতো স্পিকার নেই। তিনিও রিজাইন দিয়েছেন। ধরা যাক, ইমার্জেন্সি সিচুয়েশনের কারণে স্পিকার রিভাইব করলেন। তারপর প্রশ্ন আসে, স্পিকার এই পরিস্থিতির মধ্যে ঢুকবেন কি না? যদি ঢোকেনও তাহলে তিনি হবেন অ্যাক্টিং প্রেসিডেন্ট। তাতে এ সরকারের লাভটা কি হলো? আপনি একদিকে শপথ নিয়ে বলছেন, এই সংবিধান অক্ষুণ্ন রাখবেন। অন্যদিকে সংবিধানকে পুরোপুরি রাখবেনও না। এটি কী ধরনের স্ট্যান্ডার্ড?

আলোচিত সিনিয়র এই আইনজ্ঞ প্রশ্ন রেখে বলেন, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিমকোর্টের উপদেশমূলক এখতিয়ার অনুযায়ী যে রেফারেন্সটা নেয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, আমরা কি সেই রেফারেন্স চাওয়ার কপিটা দেখেছি? নাকি আমরা দেখলাম, সুপ্রিমকোর্ট থেকে কয়েক লাইনের একটি আদেশ এসেছে। এই আদেশতো কোনো বিচারপতির লেখা নয়! এমকি কোনো বেঞ্চ অফিসারেরও লেখা নয়। এটি স্রেফ কোনো আমলাকে দিয়ে লিখিয়ে বিচারপতিদের স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে! সুপ্রিমকোর্টের রেফারেন্স চাওয়া হয়েছে- এ কথা বলে আপনি বিশিষ্টজনদের বঙ্গভবনে নিয়ে বসিয়ে রাখলেন। পরে সুপ্রিমকোর্টের রেফারেন্স এসেছে বলে শপথ নিলেন। যে প্রশ্ন এখন তুলছেন সেই প্রশ্নতো শপথ গ্রহণের আগেই তোলার কথা! সবইতো ইলিগ্যাল! বুঝতে হবে, আপনি রেভুলেশন করেছেন! সংবিধান আপনাকে মানতে হবে কেন? আপনার পছন্দমতো যাকে খুশি তাকে বসিয়ে দিতেন। তাকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে তার কাছ থেকে সবাই নতুন করে শপথ নিতেন। আপনিতো সেটি করেননি! প্রথমেইতো ভুল করে বসে আছেন! এখন প্রেসিডেন্টকে ইস্যু করছেন কেন?

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টার প্রতি ইঙ্গিত করে মহসিন রশিদ আরো বলেন, আপনি ছেলেপেলেদের লেলিয়ে দিলেন! প্রেসিডেন্টকে নাকি ৩০ মিনিটের মধ্যে রিজাইন করতে হবে! কখন লেলিয়ে দিলেন? যখন সেনাপ্রধান দেশের বাইরে। এমনিতেই দেশে সঙ্কটের শেষ নেই। তার মধ্যে নতুন সমস্যা তৈরি করলেন! এ মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট আপনার কী ক্ষতি করেছেন? তিনিতো ড. ইউনূস সরকারের জন্য হার্মফুল নন। জামায়াতে ইসলামীর পরামর্শে আইনমন্ত্রণালয় চলছে উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ বলেন, বুঝতে হবে যে আপনি (আইন উপদেষ্টা) রাষ্ট্র চালাচ্ছেন। এটি কোনো ব্যক্তিগত সংসার নয় যে, আপনি এক স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে আরেক স্ত্রী ঘরে আনলেন।

অন্যদিকে অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ ও আইন বিশ্লেষক মো: মঈদুল ইসলাম বলেন, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের সংবিধানে এখন কোনো পথ নেই। সাংবিধানিক যে পথ আছে সেটি প্রয়োগের কোনো সুযোগ নেই। যেহেতু স্পীকার নেই। সংসদতো নেইই। প্রেসিডেন্ট বা একজন ব্যক্তি পদত্যাগ যেকোনো সময়ই করতে পারেন। কিন্তু নতুন প্রেসিডেন্ট কি পদ্ধতিতে করা যাবে সেটিই হচ্ছে সমস্য। নতুন প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করতে গেলে সংবিধানের যে পথ সেটি প্রয়োগ করার সুযোগ নেই। কারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন সংসদে। সংসদ এখন বিলুপ্ত। তবে হ্যাঁ। যেভাবে বৈপ্লবিক চেতনা ও জনগণের অভিপ্রায়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে, একই চেতনায় প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত করা যেতে পারে। কিভাবে এর বৈধতা দেয়া যাবে সেই প্রক্রিয়া জনগণের অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে ঠিক করে নিতে হবে। এ ছাড়া আর কোনো পন্থা আপাতত দেখা যাচ্ছে না। সংবিধান একেবারে ফেলে দেয়া যাচ্ছে না। আবার সংবিধান মেনে প্রেসিডেন্ট পদটিও রাখতে হচ্ছে। কাজেই সংবিধানের যতখানি কাছাকাছি থেকে করা যায় সেটিই করা উচিৎ বলে মনে করেন এই আইনবিদ।

 


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় মুরাদনগরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় মুরাদনগরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

গুজব উড়িয়ে দিয়ে পুরোদমে অফিস করলেন প্রধান উপদেষ্টা

গুজব উড়িয়ে দিয়ে পুরোদমে অফিস করলেন প্রধান উপদেষ্টা

রাজশাহী থেকে চালু হচ্ছে কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন

রাজশাহী থেকে চালু হচ্ছে কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন

ফরিদপুরের পদ্মায় চলছে ইলিশ মাছ ধরার মহা উৎসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরব নিথর।

ফরিদপুরের পদ্মায় চলছে ইলিশ মাছ ধরার মহা উৎসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরব নিথর।

নোবিপ্রবি বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষকদের সঙ্গে উপাচার্যের মতবিনিময়

নোবিপ্রবি বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষকদের সঙ্গে উপাচার্যের মতবিনিময়

তথ্য ও সস্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নবনিযুক্ত সচিবের মতবিনিময়

তথ্য ও সস্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নবনিযুক্ত সচিবের মতবিনিময়

সরকারি ইন্ধনে তাণ্ডব হিন্দুদের, বাহরাইচে আতঙ্কে মুসলমানরা

সরকারি ইন্ধনে তাণ্ডব হিন্দুদের, বাহরাইচে আতঙ্কে মুসলমানরা

রাজশাহীতে রেড ক্রিসেন্টের পিপিপি প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

রাজশাহীতে রেড ক্রিসেন্টের পিপিপি প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

কেরানীগঞ্জে অবৈধ শিশা কারখানায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, জরিমানা ২ লক্ষ টাকা

কেরানীগঞ্জে অবৈধ শিশা কারখানায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, জরিমানা ২ লক্ষ টাকা

বন, বনভূমি, ডলফিন সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

বন, বনভূমি, ডলফিন সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ইরানের সঙ্গে যৌথ নৌ মহড়া চালাতে চায় সৌদি

ইরানের সঙ্গে যৌথ নৌ মহড়া চালাতে চায় সৌদি

কুষ্টিয়ায় হাসপাতালের ২০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি চার শতাধিক শিশু

কুষ্টিয়ায় হাসপাতালের ২০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি চার শতাধিক শিশু

সুন্দরবনে ৯০ অফিসের ৮শতাধিক বনকর্মীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ জেলায় প্রস্তুত ৩৫৯ আশ্রয় কেন্দ্র

সুন্দরবনে ৯০ অফিসের ৮শতাধিক বনকর্মীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ জেলায় প্রস্তুত ৩৫৯ আশ্রয় কেন্দ্র

পুলিশের ৬ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন

পুলিশের ৬ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন

পাসপোর্ট জালিয়াতির মাধ্যমে যেভাবে নিউইয়র্কে পালিয়ে যান হারুন

পাসপোর্ট জালিয়াতির মাধ্যমে যেভাবে নিউইয়র্কে পালিয়ে যান হারুন

তবে কি ঐশী-শুভ'র প্রেমের গুঞ্জন সত্যি? সংসার জীবনের ইতি টানতে চলেছেন আরিফিন শুভ?

তবে কি ঐশী-শুভ'র প্রেমের গুঞ্জন সত্যি? সংসার জীবনের ইতি টানতে চলেছেন আরিফিন শুভ?

লক্ষ্মীপুরে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে থেমে থেমে বৃষ্টি,লঞ্চঘাটে আটকা পড়েছে ভোলাগামী শতাধিক যাত্রী

লক্ষ্মীপুরে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে থেমে থেমে বৃষ্টি,লঞ্চঘাটে আটকা পড়েছে ভোলাগামী শতাধিক যাত্রী

সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন গ্রেপ্তার

সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন গ্রেপ্তার

সাড়ে ৩ বছর পর ফিরে ওয়াশিংটনের রেকর্ড গড়া বোলিং

সাড়ে ৩ বছর পর ফিরে ওয়াশিংটনের রেকর্ড গড়া বোলিং

৮ম আন্তর্জাতিক সম্মেলন করতে যাচ্ছে রাবির পরিসংখ্যান বিভাগ

৮ম আন্তর্জাতিক সম্মেলন করতে যাচ্ছে রাবির পরিসংখ্যান বিভাগ