সাবেক প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিমের ইন্তেকাল
১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের উন্তেকালে তার প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আজ ( রোববার) সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
গতকাল শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদ ভুঞা। এর আগে গতকাল শনিবার ভোর পৌনে ৫টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন)। ফজলুল করিমের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন। পৃথক শোকবার্তায় তারা মরহুমের বিদেহী রূহের মাগফিরাত কামনা করেন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
গতকাল দুপুরে সুপ্রিমকোর্টের ইনারগার্ডেনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান বিচারপতি, সাবেক প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি,সিনিয়র আইনজীবী এবং উচ্চ আদালতের পদস্থ কর্মকর্তাগণ অংশ নেন।
কয়েকবার সুপারসিটেড হওয়ার পর ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম। ওই বছর ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি এ পদ থেকে অবসরে যান।
মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১৯৪৩ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার সুচক্রদন্ডি গামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আহমেদ কবীর। তিনি আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদের বংশধর।
ফজলুল করিম ১৯৫৮ সালে পটিয়ার কাজেম আলী হাইস্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন এবং ১৯৬০ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি নেয়ার পর ১৯৬৯ লন্ডনের লিংকনস ইন থেকে বার অ্যাট ল সম্পন্ন করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি আইনজীবী হিসেবে চট্টগ্রাম বারে তালিকাভুক্ত হন। এরপর ১৯৭০ সালে হাইকোর্টে এবং ১৯৭৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম ১৯৮২ থেকে ৮৪ সাল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।
১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর তিনি হাইকোর্টের অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। দুই বছর পর স্থায়ী হন তিনি। ২০০১ সালের ১৫ মে তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জোকোভিচ-আলকারাজ হাইভোল্টেজ লড়াই আজ
বড় জয়ে পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বরে চিটাগাং
সুবর্ণ সুযোগ শুরুর ঘোষণা ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ট্রাম্প
ভোটের অধিকার রক্ষায় জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : সিইসি
অস্ত্র মামলায় মামুন খালাস
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা
ইনু-মেনন-সালমান-আনিসদের রিমান্ড, নতুন করে গ্রেপ্তার মন্ত্রী-এমপিসহ ১৬ জন
দলীয় নেতাদের একযোগে কাজ করার আহ্বান এবি পার্টির
হত্যা মামলায় মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ৫ দিনের রিমান্ডে
হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা
আমদানি মূল্য পরিশোধের সময় বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বকেয়া পরিশোধে জুন পর্যন্ত সময় বাড়লো আদানি
অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের
দিল্লি ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে : রিজভী
বেক্সিমকোর ১৬টি কারখানার ছাটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরি ফিরে পাওয়ার সিদ্ধান্ত ২৭ জানুয়ারি
যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিট আগেও ইসরায়েলের হামলা গাজায় বিলম্বিত সময়ের মধ্যে নিহত ১৯
আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হচ্ছে
প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ছাত্রদল নেতার শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ