বঙ্গোপসাগরে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের আলাদা আলাদা স্বার্থ রয়েছে -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম
অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের আলাদা আলাদা স্বার্থ রয়েছে। অন্যান্য নানা ইস্যুর পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যুর পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত আট বছরে এই সংকট নিরসনে বড় প্রতিবেশীর কাছ থেকে সহযোগিতা প্রত্যাশার চেয়ে কম। গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৪’ (বঙ্গোপসাগর সংলাপ)-এর আয়োজন করেছে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রতিবেশীদের বিষয়টিকে আমি এভাবে দেখি যে, তাদের নিজেদের স্বার্থ আছে বলে আমাদের পাশে এসে সমস্যার সমাধান তারা করেনি। ফলে এই সমস্যা আমাদের জন্য বড় ধরনের বোঝা তৈরি করেছে। এটা শুধু বাংলাদেশের জন্যই হুমকি হয়ে থাকবে না, তা ছড়িয়ে পড়বে অন্যখানেও। তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে চীনের কাছে মিয়ানমার অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে ভারত চিন্তা করেছে রাখাইনের কালাদান প্রকল্প তার উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর প্রবেশাধিকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই প্রকল্পের জন্য ভারতের কাছে মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখার কোনো বিকল্প নেই।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, এমন এক পরিপ্রেক্ষিতে বলতে পারি, আমরা পরিস্থিতির বলি হয়েছি। আমি কাউকে দায়ী না করেই বলি সবাই নিজের স্বার্থ দেখবে। এতে করে রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হচ্ছে। শিগগিরই এবং খুব সহজে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হবে বলে টানেলের শেষ প্রান্তে কোনো আলো দেখা যাচ্ছে না। রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান না হলে এটা বাকি বিশ্বের জন্য ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে প্রত্যাশা অনেক উঁচুতে বলে মন্তব্য করেন এই উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, নানা বিষয়ের সমাধানের জন্য আমাদের আরও কিছুটা ধৈর্যের প্রয়োজন। রাজনীতিবিদ, তরুণ প্রজন্মসহ সমাজের সবাই অংশের এই ধৈর্যের প্রয়োজন।
গত ১০০ দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্জনের প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা কি আসলেই কিছু অর্জন করিনি? আমি আগে পত্রিকায় লিখতাম, টিভিতে কথা বলতাম। আমার সীমারেখা কতটা, সেটা আমি জানতাম। আমি সেই সীমারেখার কাছাকাছি যেতাম। কিন্তু সীমা অতিক্রমের সাহস দেখাতে পারতাম না। পশ্চিমে যাঁরা অবস্থান করেন, তারাই স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারতেন। দেশের বাইরে যাঁরা থাকতেন। দেশের ভেতরে যাঁরা থাকতেন, তাঁদের সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করতে পারতেন না। এখন দেশের ভেতরে যাঁরা আছেন, তারাও অবাধে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করছেন। এটা দেখে আমি অত্যন্ত খুশি। এই একটি বিষয় আমরা এরই মধ্যে অর্জন করেছি। আমি আশা করব, ধৈর্য ধারণ করলে, দেশে এবং দেশের বাইরের সব বন্ধুর সহায়তায় সব কটি না হলে তরুণ জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ প্রত্যাশা আমরা পূরণ করতে পারব।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জোকোভিচ-আলকারাজ হাইভোল্টেজ লড়াই আজ
বড় জয়ে পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বরে চিটাগাং
সুবর্ণ সুযোগ শুরুর ঘোষণা ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ট্রাম্প
ভোটের অধিকার রক্ষায় জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : সিইসি
অস্ত্র মামলায় মামুন খালাস
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা
ইনু-মেনন-সালমান-আনিসদের রিমান্ড, নতুন করে গ্রেপ্তার মন্ত্রী-এমপিসহ ১৬ জন
দলীয় নেতাদের একযোগে কাজ করার আহ্বান এবি পার্টির
হত্যা মামলায় মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ৫ দিনের রিমান্ডে
হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা
আমদানি মূল্য পরিশোধের সময় বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বকেয়া পরিশোধে জুন পর্যন্ত সময় বাড়লো আদানি
অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের
দিল্লি ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে : রিজভী
বেক্সিমকোর ১৬টি কারখানার ছাটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরি ফিরে পাওয়ার সিদ্ধান্ত ২৭ জানুয়ারি
যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিট আগেও ইসরায়েলের হামলা গাজায় বিলম্বিত সময়ের মধ্যে নিহত ১৯
আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হচ্ছে
প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ছাত্রদল নেতার শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ