ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশের পর দখলমুক্ত হলো ফরিদপুর বেইলি ব্রিজ
২০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম
ইনকিলাবে পরপর দুটি সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় দখলমুক্ত হলো ফরিদপুর বেইলি ব্রিজ। সংবাদ প্রকাশের ১২ ঘণ্টার মাথায় পরিস্কার হয়ে গেল বেইলি ব্রিজের সমস্ত যানজট এবং অবৈধ দোকানপাট, নেই অবৈধ বাজার ও হাট। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে ফরিদপুর হাজী শরীয়তউল্লাহ বাজার সংলগ্ন বেইলি ব্রিজটি দখলমুক্ত হওয়ায় আনন্দবন্যা বইছে এলাকাবাসীর মধ্যে হাসি এবং খুশিতে আটখান হয়ে পড়ছে। এই ব্রিজের ওপর দিয়ে চলাকারী শতশত নারী-পুরুষ বৃদ্ধ শিশু কিশোর। তাদের সকলের মুখে এখন হাসি ফুটছে। পাশাপাশি সকলে এ শঙ্কাও করছেন, আগের মতো ২ থেকে ৪ দিন পর আবারো যদি ব্রিজটি দখল হয়ে হাট না বসে। কতদিন থাকবে দখলমুক্ত?
স্থানীয়রা বলছেন, আমরা সব সময় ব্রিজটি এরকম পরিস্কার দেখতে চাই। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই বাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেককেই বলাবলি করতে শোনা গেছে, আজকে পরিষ্কার হলো দুদিন পরে আবারো ব্রিজের উপরে অবৈধ হাট বসবে নাতো? ফরিদপুর বেইলি ব্রিজের ওপর হাটবাজার দেখার কেউ নাই। এই শিরোনাম জাতীয় দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় গত রোববার এবং সোমবার ধারাবাহিক দুটি পর্ব ছাপা হয়।
সংবাদ দুটি প্রকাশের পর ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা এবং সাংবাদিকদের গ্রুপে এই সংবাদটি প্রেরণ করা হয়। পাশাপাশি সংবাদ দুটি বাজার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়। নড়েচড়ে বসেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসন এবং বাজার ব্যবস্থাপনা ব্যবসায়ী কমিটির কর্মকর্তারা। ইনকিলাবের সংবাদ প্রকাশের ফল ফরিদপুরবাসী সকাল ৬টার সময় ব্রিজ পরিস্কার দেখতে শুরু করেন। যা জেলাবাসীর এখন কাছে দৃশ্যমান। সংবাদ প্রকাশে ভুক্তভোগীরা সাধুবাদ জানিয়েছেন ইনকিলাব পরিবারকে। গত ১৯ নভেম্বর ইনকিলাবের ১২ পৃষ্ঠায় সপ্তম কলাম ‘চোর বাটপার পকেটে সাজছেন কাস্টমার’। এই সংবাদটিও তথা আজকের দ্বিতীয় পর্ব জেলা প্রশাসনের দফতর এবং ফরিদপুর হাজী শরীয়তুল্লা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি তাৎক্ষণিক আমলে নেন।
প্রথম পর্বের প্রকাশিত সংবাদটি হাজী শরীয়তু উল্লাহ বাজার ব্যবস্থাপনা বাজার কমিটির সভাপতি হাজী নুর ইসলাম মোল্লা সম্পাদক মো. আবুল হোসেন হাওলাদার, যুগ্ম সম্পাদক মো. খায়রুজ্জামান লাবলু তারা একত্র হয়ে ব্রিজের উপরে যারা অবৈধ হাটবাজারে বসেছেন তাদেরকে ডেকে এবং সরাসরি ব্যবসায়ীদে ব্রিজের উপরে আর কোনো বাজার না বসার জন্য সকলকে শাসিয়ে দেন। পাশাপাশি তারা ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের পক্ষে, এডিসি জেনারেল এবং পৌরসভার মেয়র না থাকায়, প্রশাসক ডিডিএলজি অবগত করেন। ফরিদপুর এডিসি জেনারেল এবং ডিডিএলজি, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটিকে ডেকে তাদের অফিস নেন এবং জেলা প্রশাসকের নির্দেশ মোতাবেক বাজার বেইলি ব্রিজের ওপর আর কোনো হাট না বসার জন্য অনুরোধ করেন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের নির্দেশমতে ব্রিজের ওপরে কোনো অবৈধ হাট বসবে না, মর্মে ব্রিজের পূর্ব এবং পশ্চিম পাড়ে দুটি সাইনবোর্ড টানোর কথাও বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটিকে জানান।
এ বিষয়ে ফরিদপুর হাজী বাজার ব্যবস্থা না কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ খারুজ্জামান লাভলু ইনকিলাবকে বলেন, পরপর দুইদিন প্রকাশিত ইনকিলাবের সংবাদ দুটি সুন্দর হয়েছে। জনস্বাস্থ্য এবং জনস্বার্থ বিষয়ে দুটোর ওপর প্রকাশিত সংবাদের জন গুরুত্ব বহন করায় ইনকিলাব পরিবার এবং ইনকিলাব ফরিদপুর সংবাদদাতাকে তারা ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি ইনকিলাবের সংবাদের পরিবেশনের ফরিদপুর জেলা প্রশাসক এবং পৌরসভার প্রশাসকতে এই বিষয়টি আমলে নিয়ে ব্রিজের ওপর আর কোনো বাজার যাতে না বসে তার জন্য তড়িৎ ব্যবস্থা নেন। এজন্য তাদেরকেও সাধুবাদ জানান।
বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হোসেন হাওলাদার ইনকিলাবকে জানান, জেলা প্রশাসক দফতরের যাওয়ার বিষয়টি সত্য ও সঠিক। ইনকিলাবের সংবাদ পরিবেশন হওয়ার পর আমাদের এবং জেলা প্রশাসক দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। জেলা প্রশাসক নির্দেশ দিয়েছেন এই বাজারে ব্রিজের উপরে আর কোনো অবৈধ হাট না বসার জন্য।
বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ নুর ইসলাম ইনকিলাবকে জানান, আমি আমার কর্মকর্তাদের নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্রিজের ওপর অবৈধ বাজারটি বন্ধ করার চেষ্টা করেছি। ফরিদপুর জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার কোতোয়ালি থানারও ও সাহায্য চেয়েছি। কিন্তু দেশের টানা পড়ানের মধ্য দিয়ে আমরা একটু পিছে পড়েছি।
তিনি বলেন, আমরা বাজার কমিটির নেতারা সবসময় চেয়েছি ব্রিজটি সবসময় পরিস্কার থাকুক। জন চলাচল এবং জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত হোক। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো সকালে অবৈধ বাজার ভেঙে দিলে বিকেলে আবার সেই বাজার বসে যায় পুনরায়। তিনি দুঃখ করে আরো বলেন, এই ব্রিজের ওপর বাজার বসায় বাজার কমিটির কেউ দায়ী নয়। ব্রিজের এপার এবং এপার ওপার দুটি বাজার। পূর্ব পাড়ে নিউমার্কেট এলাকা। পশ্চিম পারে হাজী শরীতুল্লাহ বাজার এলাকা। দুটি বাজার কমিটির পক্ষ থেকে প্রশাসন এবং নিউমার্কেট এলাকার ব্যবস্থাপনা কমিটির সবাইকে আমরা বলেছি দুই পাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা দরকার। দুই বাজারের পক্ষ থেকে আলাদা দুটি গার্ড রাখান হউক। কিন্তু এ কথা কেউ আমলে নেননি। সর্বশেষ দৈনিক ইনকিলাবে পরপর দুটি সংবাদ পরিবেশন হলে আমাদেরও যেমন দৃষ্টিগোচর হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সংবাদ দুটি আমলে নিয়েছেন। আমরাও জেলা প্রশাসক পৌরসভার দায়িত্বে থাকা ডিডিএলজি, পুলিশ সুপার এবং ওসি কোতোয়ালি থানার ওসিকে তারা ধন্যবাদ জানান।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ঈশ্বরগঞ্জে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা
বনানীতে সড়কে সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ, রাস্তা বন্ধ
বগুড়া সেনানিবাসে সাঁজোয়া কোরের ৪৪তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে যোগ দিলেন সেনা প্রধান
গাজীপুরে এ্যাপারেলস্ কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে আহত ১২
ব্যবহারকারীদের আশ্বাস ট্রাম্পের, যুক্তরাষ্ট্রে ফের চালু টিকটক
পদ্মায় ধরা পড়লো ৪২ কেজির মহা বিপন্ন বাঘাইড় মাছ
আরও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রিয়ালের প্রেসিডেন্ট পেরেজ
সিলেটে প্রখ্যাত আলেম ইসহাক আল মাদানির ইন্তেকাল!
গাজার ধ্বংসস্তূপে নতুন স্বপ্ন বুনছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষ
গাজা চুক্তিকে যেকারণে ‘হামাসের জয়’ বলছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
সত্যিকারের সুখী হওয়া অনেক কঠিনঃ মিশা
গাজায় ব্যাংক সেবা পুনরায় চালুর প্রস্তুতি শুরু ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের
বদলে যাচ্ছে পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যদের পোশাক
লক্ষ্মীপুরে ড্রামট্রাকের চাপায় প্রাণ গেল দুই অটোরিকশা যাত্রীর
মানিকগঞ্জে পদ্মায় বড়শিতে ধরা পরল ৯ কেজি ওজনের বোয়াল
রাজশাহী নার্সিং কলেজের ১৪ শিক্ষার্থী ফেল করে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দিলেন
মেলানিয়া ট্রাম্প বাজারে আনলেন নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি
সাবেক এমপি মোস্তফা জালাল গ্রেপ্তার
শরীয়তপুর পৌরসভার বিএনপি কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
সাইফ ইস্যুতে মেজাজ হারালেন অভিনেতা জাকি শ্রফ