দীপু মনির সাম্রাজ্য চাঁদপুর ছিল অনিয়ম-দুর্নীতিতে নিমজ্জিত

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে

২০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম

আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার টানা চার মেয়াদে চাঁদপুরে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দীপু মনি। সর্বমহলেই একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল তার। তার মতের বাইরে গেলেই নানাভাবে হুমকি-ধামকির শিকার হতে হতো। নিজ দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্মকর্তারাও তার হয়রানি থেকে মুক্তি পায়নি।
তার ভাই টিপুর কব্জায় থাকা ৪৮.৫২ একর সরকারি সম্পদ উদ্ধার করতে গিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চাঁদপুর ছাড়তে হয় জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিসকে। তার অবৈধ নির্দেশ পালন না করায় বছরের মাথায় বদলি করা হয় জেলা প্রশাসক বিশ্বাস মো. আজিম উদ্দিনকে। দীপু মনি সিন্ডিকেটের অনিয়ম-দুনীতির খবর চেপে রাখতে কথিত ৬ খলিফা নিয়োগ করেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় জাতীয় এবং স্থানীয় অন্তত ৬টি পত্রিকা ও ২০ জন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে বছরের পর বছর হয়রানি করা হয়। বিশেষ করে দৈনিক ইনকিলাব এর বিরুদ্ধে ২টি, দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে ২টি, দৈনিক মানব জমিনের বিরুদ্ধে ১টি, স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক চাঁদপুর প্রতিদিনের বিরুদ্ধে ১টি মামলা করা হয়। স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক আমার চাঁদপুরের ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়। মেঘনার ভাঙন থেকে চাঁদপুর ও হাইমচর উপজেলাকে রক্ষায় বিভিন্ন মেয়াদে প্রায় সাড়ে ৫শ’ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। যার সিংহভাগ অর্থ লুটেপুটে খেয়েছে দীপু মনির সিন্ডিকেট। ফলে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের কবলে পড়ে চাঁদপুর শহর ও হাইমচর মানচিত্র থেকে খসে পড়ছে।
চাঁদপুর পদ্মা ও মেঘনার ডুবোচর থেকে ফ্রি-স্টাইলে বালু উত্তোলনেও ছিল দীপু মনির লুলুপ দৃষ্টি। তার ঘনিষ্ঠ লোক হিসাবে পরিচিত লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সেলিম খানকে সেই বালু তুলতে উৎসাহী করেন তিনি। সেলিম খানের পক্ষে বালি উত্তোলনের জন্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কয়েক বছরে ১৫টি ডিউ লেটার দেন দীপু মনি। বিনিময়ে তার ভাই টিপুু সেলিম খান থেকে নিয়েছেন শত কোটি টাকা। মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার প্রতিবাদ যারাই করেছেন তারাই দীপু মনির রোষানলে পড়েছেন। চাঁদপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দীপু মনির বিরোধ ও দূরত্ব বাড়ে শুধু বালু উত্তোলন নিয়ে প্রতিবাদ করায়।
নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বালু তোলার সমালোচনা করে পদ হারান। ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নদী দিবসের আলোচনায় তিনি বলেন, মেঘনায় অবৈধভাবে যারা বালু উত্তোলন করছেন, তাদের সঙ্গে চাঁদপুরের একজন নারী মন্ত্রীর সম্পর্ক আছে। এর দুদিন পরই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার দুই মাসের মাথায় খোদ চাঁদপুর সরকারি হাসান আলী ও মাতৃপীঠ সরকারি হাইস্কুলের দশ জন অভিজ্ঞ শিক্ষককে দেশের দুর্গম এলাকায় এক চিঠিতে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়। কোনো অভিযোগ না থাকলেও জামায়াত-বিএনপি তকমা লাগিয়ে তাদেরকে স্ট্যান্ড রিলিজ করানো হয়। ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিকুলাম নিয়ে বক্তব্য রাখায় চাঁদপুর মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয় ইংরেজি শিক্ষক মো. মাসুদুর রহমানকে।
দীপু মনি আওয়ামী লীগের টানা চার মেয়াদে মধ্যে তিন মেয়াদে ছিলেন মন্ত্রী। সেই সাথে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হওয়ায় তিনি হয়ে ওঠেন একছত্র ক্ষমতাধর। দেশে-বিদেশে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বলে খবর চাউর রয়েছে। চাঁদপুর জেলা শহরে পৌরসভার একটি আবাসিক ভবনে একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করলেও দখলে নিয়েছেন ৪টি ফ্ল্যাট। আমেরিকা ও কানাডায় রয়েছে তার অঢেল সম্পদ। কানাডায় তার অবৈধ সম্পদ দেখভাল করেন সাবেক এপিএস মো. মকসুদ খান।

দীপু মনি পররাষ্ট্র মন্ত্রী থাকাকালীন কানাডায় অটোয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনে তার এপিএস মো. মকসুদ খানকে কাউন্সেলর/ফাস্ট সেক্রেটারি নিয়োগ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন ২০১৭ সালে জ্ঞাত আয় বহিভূত বিপুল পরিমাণ সম্পদ অজনের অভিযোগে কানাডার বাংলাদেশ হাই কমিশনের ফাস্ট সেক্রেটারি মো. মকসুদ খানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য আদালতে আবেদন করেন। এ ঘটনার পর মো. মকসুদ খান বাংলাদেশ হাই কমিশনের ফাস্ট সেক্রেটারি পদ ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান। তখন থেকে তিনি সপরিবারে কানাডায় অজ্ঞাত স্থানে বসবাস করছেন।
দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালীন চাঁদপুরে তার বাসায় বসতো তদবির-বাণিজ্যের হাট। সর্বনিম্ন দুই লাখ থেকে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকায় বেচাবিক্রি হতো শিক্ষা প্রশাসনের নানা পদ। ঘুষ-দুর্নীতি ছিল ‘ওপেন সিক্রেট’। শিক্ষামন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করার সুযোগে চাঁদপুরে প্রায়ই চলে আসতেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান, শিক্ষা অধিদফতরের ডিজি থেকে শুরু করে শিক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
শিক্ষা খাতে ঘুষ-দুর্নীতির বিষয় দীপু মনির ভাই টিপু ছাড়াও স্থানীয়ভাবে দেখতেন চাঁদপুর পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল রতন কুমার মজুমদার। তারা দু’জন মিলে সব বদলি, নিয়োগসহ মন্ত্রণালয়ের নানা কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। তদবির-বাণিজ্যের জন্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মশিউর রহমান অন্তত অর্ধশতবার চাঁদপুরে দীপু মনির বাসায় আসেন। তদবির বাণিজ্যের এসব টাকা সংশ্লিষ্টদের পৌঁছে দেয়া লাগতো কানাডায় মো. মকসুদ খানের কাছে।
হয়রানির স্বীকার একাধিক শিক্ষক জানান, রাজধানী কলাবাগান ও বনানীতে ছায়া অফিসের মাধ্যমে দীপু মনির মন্ত্রণালয়ের অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করত তার ভাই টিপুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেট সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি নিয়ন্ত্রণ করতো। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের (ইইডি) পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল দীপু মনির ভাই টিপুর হাতে। এ খাতে সব ঠিকাদারকে ৫ শতাংশ কমিশন দিয়ে কাজ নিতে হতো।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য শুধু জমি অধিগ্রহণে ৩৫৯ কোটি টাকা দুর্নীতির পাঁয়তারা করেন দীপু মনি ও ভাই টিপুসহ স্বজনরা। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের আগেই সেখানকার সাড়ে ৬২ একর জমি মৌজা দরের চেয়ে ২০ গুণ বেশি দাম দেখিয়ে দলিল করে নেন টিপু ও তার নিকট আত্মীয়রা। তারা ভূমি অধিগ্রহণে প্রশাসনিক অনুমোদনের আগেই চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে জায়গা ঠিক করে নিজেদের নামে দলিল করিয়ে নেন। পরবর্তী সময়ে সেসব জমি জেলা প্রশাসনকে অধিগ্রহণের জন্য বলে। অধিগ্রহণের বিরোধিতা করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস। তিনি চাঁদপুরে দীপু মনির ভাইসহ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীর জমি দখলের বিরুদ্ধে অবস্থানের জন্য আলোচিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দীপু মনি ও তার ভাই টিপুর আর্শীবাদপুষ্ট চাঁদপুর পৌর সভার মেয়রসহ ২০ কাউন্সিলর এবং তার নির্বাচনী এলাকার দুটি উপজেলার ১৯ জন ইউপি চেয়ারম্যান গা ঢাকা দেয়। স্থবির হয়ে পড়ে নাগরিক সেবা কার্যক্রম। এ সব মেয়র, কাউন্সিলর ও ইউপি চেয়ারম্যানরা সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি ও টিপুর কোটি কোটি টাকার মনোনয়ন বাণিজ্যে এক দলীয় ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বঞ্চিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের অনেক ত্যাগি নেতা। আর এ কারনেই জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থিত কোনো প্রার্থীকে একদলীয় ঐ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি। বর্তমানে আত্মগোপনে থাকা ঐ সব জনপ্রতিনিধিদের কাছে ছিল সাধারণ মানুষ জিম্মি।
ফ্যাসিবাদী হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর গা ঢাকা দেন দীপু মনি। তার সাম্রাজ্য ভেঙে পড়ায় পালিয়ে যায় তার দোসররাও। প্রায় দু সপ্তাহ পালিয়ে থাকার পর গত ১৯ আগস্ট রাজধানীর বারিধারা এলাকা থেকে ডা. দীপু মনিকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। কয়েক দফা রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে রাখা হয়। ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন জুলাই-আগস্টের গণহত্যার সাথে জড়িত দীপু মনিকে গত ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বদলে যাচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যদের পোশাক
সাবেক এমপি মোস্তফা জালাল গ্রেপ্তার
সারা দেশে কমবে রাতের তাপমাত্রা,জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর
অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন মামুন
সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
আরও

আরও পড়ুন

ঈশ্বরগঞ্জে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা

ঈশ্বরগঞ্জে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা

বনানীতে সড়কে সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ, রাস্তা বন্ধ

বনানীতে সড়কে সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ, রাস্তা বন্ধ

বগুড়া সেনানিবাসে সাঁজোয়া কোরের ৪৪তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে যোগ দিলেন সেনা প্রধান

বগুড়া সেনানিবাসে সাঁজোয়া কোরের ৪৪তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে যোগ দিলেন সেনা প্রধান

গাজীপুরে এ্যাপারেলস্ কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে আহত ১২

গাজীপুরে এ্যাপারেলস্ কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে আহত ১২

ব্যবহারকারীদের আশ্বাস ট্রাম্পের, যুক্তরাষ্ট্রে ফের চালু টিকটক

ব্যবহারকারীদের আশ্বাস ট্রাম্পের, যুক্তরাষ্ট্রে ফের চালু টিকটক

পদ্মায় ধরা পড়লো ৪২ কেজির মহা বিপন্ন বাঘাইড় মাছ

পদ্মায় ধরা পড়লো ৪২ কেজির মহা বিপন্ন বাঘাইড় মাছ

আরও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রিয়ালের প্রেসিডেন্ট পেরেজ

আরও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রিয়ালের প্রেসিডেন্ট পেরেজ

সিলেটে প্রখ্যাত আলেম ইসহাক আল মাদানির ইন্তেকাল!

সিলেটে প্রখ্যাত আলেম ইসহাক আল মাদানির ইন্তেকাল!

গাজার ধ্বংসস্তূপে নতুন স্বপ্ন বুনছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষ

গাজার ধ্বংসস্তূপে নতুন স্বপ্ন বুনছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষ

গাজা চুক্তিকে যেকারণে ‘হামাসের জয়’ বলছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম

গাজা চুক্তিকে যেকারণে ‘হামাসের জয়’ বলছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম

সত্যিকারের সুখী হওয়া অনেক কঠিনঃ মিশা

সত্যিকারের সুখী হওয়া অনেক কঠিনঃ মিশা

গাজায় ব্যাংক সেবা পুনরায় চালুর প্রস্তুতি শুরু ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের

গাজায় ব্যাংক সেবা পুনরায় চালুর প্রস্তুতি শুরু ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের

বদলে যাচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যদের পোশাক

বদলে যাচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যদের পোশাক

লক্ষ্মীপুরে ড্রামট্রাকের চাপায় প্রাণ গেল দুই অটোরিকশা যাত্রীর

লক্ষ্মীপুরে ড্রামট্রাকের চাপায় প্রাণ গেল দুই অটোরিকশা যাত্রীর

মানিকগঞ্জে পদ্মায় বড়শিতে ধরা পরল ৯ কেজি ওজনের বোয়াল

মানিকগঞ্জে পদ্মায় বড়শিতে ধরা পরল ৯ কেজি ওজনের বোয়াল

রাজশাহী নার্সিং কলেজের ১৪ শিক্ষার্থী ফেল করে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দিলেন

রাজশাহী নার্সিং কলেজের ১৪ শিক্ষার্থী ফেল করে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দিলেন

মেলানিয়া ট্রাম্প বাজারে আনলেন নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি

মেলানিয়া ট্রাম্প বাজারে আনলেন নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি

সাবেক এমপি মোস্তফা জালাল গ্রেপ্তার

সাবেক এমপি মোস্তফা জালাল গ্রেপ্তার

শরীয়তপুর পৌরসভার বিএনপি কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

শরীয়তপুর পৌরসভার বিএনপি কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

সাইফ ইস্যুতে মেজাজ হারালেন অভিনেতা জাকি শ্রফ

সাইফ ইস্যুতে মেজাজ হারালেন অভিনেতা জাকি শ্রফ