‘দুদক’ বিক্রি করে বিপুল বিত্ত খুরশিদের
২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
খুরশিদ আলম খান। মানুষ তাকে চেনে ‘দুদকের প্রধান আইনজীবী’ হিসেবে। কাল্পনিক এই পৈতা ব্যবহার করেই উচ্চ আদালতে তার যতটা ‘আইনজীবী’ পরিচিতি। এর বাইরে তিনি ছিলেন নেহায়েত ‘বটতলার উকিল’ মাত্র। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় প্রথিতযশা কোনো আইনজীবী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)’র পক্ষে উচ্চ আদালতে মামলা পরিচালনায় রাজী হচ্ছিলেন না। অগত্যার ‘গতি’ হিসেবে সংস্থাটি পেয়ে যায় খুরশিদ আলম খানকে। সেই যে পেলো-আর ছাড়েনি। ছাড়বেই বা কেন? এতো সস্তায়তো আর ভালো আইনজীবী মেলে না! খুরশিদ আলমও পেলেন মজা। ‘নাই’ বনে শেয়াল ‘বাঘ’ হয়ে যাওয়ার মতো খুরশিদ আলম খানও হয়ে গেলেন দুদকের ‘প্রধান আইনজীবী’। যদিও সংস্থাটির অর্গানোগ্রামে ‘প্রধান আইনজীবী’ বা ‘চীফ প্রসিকিউটর’ নামক কোনো পদের অস্তিত্ব নেই। ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিবর্তনমূলক হাতিয়ার দুদকও তাতে আপত্তি তোলেনি। হাসিনার ‘ইচ্ছামতি’ মিডিয়াগুলো খুরশিদ আলম খানকে দুদকের প্রধান আইনজীবী হিসেবে প্রচার করতে থাকে। করবেই বা না কেন? যেকোনো মামলা, যেকোনো আইন বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস করলে খুরশিদ খাড়ার ওপর চট করে জবাব একটা দিয়ে দিতে পারেন। মিডিয়ার তো দরকার এটিই। ব্যস! দোহের সমভিব্যাহারে চলতে থাকে কাল্পনিক এ পদবির উপভোগ। ২০০৯ সাল থেকে হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার দিন অবধি (৫ আগস্ট) কেউ তাকে ঘাটাওনি। ওইদিন দুপুরে হাসিনা পালিয়ে যান তো অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খানও লাপাত্তা। চার মাস হতে চললো, সুপ্রিমকোর্টের চৌহদ্দিতে তার টিকিটি কেউ দেখেনি। এখন তথ্য বেরিয়ে আসছে বিস্তর।
‘দুদকের প্রধান আইনজীবী’ পরিচয় বিক্রি করে খুরশিদ আলম খান (আদালত পাড়ায় ‘কাক’ নামেও পরিচিত) গড়েছেন বিপুল বিত্ত-বৈভব। কোর্ট থেকে চেম্বার অবধি তিনি ‘রিকশা যাত্রী’ হলেও রাজধানীতে নিজ নামে রয়েছে অন্তত ৬টি ফ্ল্যাট, প্লট ও বাড়ি। এর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর বিজয়নগরস্থ (২০৪, সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মরণি) আজিজ কো-অপারেটিভ কমপ্লেক্সের ৭ম তলায় রয়েছে প্রায় ২ হাজার বর্গফুটের কমার্শিয়াল স্পেস (ফ্ল্যাট নং-বি/২)। রাজধানীর গুলশান-১ এ রোড-০২, বাড়ি-এস.ডব্লিউ(১), ৩ এ, ফ্ল্যাট-বি১ রয়েছে বিশাল ফ্ল্যাট। একই এলাকার রোড-২, বাড়ি নং-৫৫ ডব্লিউ(১)/৩ এ, ঠিকানায় রয়েছে আরেকটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট (নং-বি ৩)। গুলশানের রোড-১০-এর ১৬ নম্বর বাড়িতে রয়েছে বিশাল অ্যাপার্টমেন্ট।
এ ছাড়া খুরশিদ আলম খানের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম বোয়ালখালি উপজেলার চরন্দ্বীপ গ্রামেও রয়েছে নিজের কেনা সম্পত্তি। তার বাবা-শফিউল আলম খান ছিলেন গ্রামের নিতান্তই দরিদ্র মানুষ। মা সুলতানারা বেগম ছিলেন গৃহিণী। দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেই পেশায় প্রতিষ্ঠা পেতে হয়েছে খুরশিদ আলম খানকে। হাসিনা আমলে শুধু দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেই মালিক হয়েছেন কোটি কোটি টাকার। বিগত ৫টি কমিশন আমলে ঠিক কত টাকা শুধু ফি বাবদ খুরশিদ আলমকে দেয়া হয়েছে তার কোনো হিসাব দুদকে নেই। কোনো রেকর্ডপত্রও রাখা হয়নি। ফি’র নামে খুরশিদ আলম খানকে অর্থ দেয়া হয়েছে এক প্রকার হিসাব ছাড়া। আয়কৃত অর্থের সঠিক হিসেবে তার ইনকামট্যাক্স নথিতেও (টিআইএন নং-৫৪৬২৪৩৮০৭৬০২) উল্লেখ করেননি। তবে অর্থের উৎস গোপন করতে তার গৃহিণী স্ত্রী জেরুফা আখতারের নামেও খোলেন পৃথক আয়কর নথি (নং-৮১২৫৫৮৩৮৯৮৮৮)। এতেও অধিকাংশ অর্থ-সম্পদের হিসাব গোপন করা হয়েছে। নামে-বেনামে তিনি যে বিপুল সম্পদ গড়েছেন তার কোনো তথ্যই আয়কর নথিতে উল্লেখ করেননি।
খুরশিদ আলম খান স্ত্রী জেরুফা আখতারের নামেও কিছু সম্পদ ‘বৈধ’ করার চেষ্টা চালান। এর ফলে নিজের কেনা রাজধানীর সেগুনবাগিচার ফ্ল্যাটটি দেখিয়েছেন স্ত্রীর নামে। এটির ঠিকানা-বাড়ি-১১, ওয়েস্টার্ন টাওয়ার, ফ্ল্যাট নং-৪ডি। এছাড়া গুলশান-১-এর একটি ফ্ল্যাট দেখানো হয়েছে স্ত্রীর আয়কর নথিতে।
সাধারণত, আয়কর নথিতে সম্পদ গোপন করা হলে দুদক যেকোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনের ২৬(২) এবং ২৭(১) ধারায় মামলা ঠুকে দেয়। আর এসব মামলায় খুরশিদ হাসিনার শক্তিতে বলিয়ান হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তেন বীরবিক্রমে। অথচ তার নিজের সম্পদের হিসাবই দুদক কোনো দিন নেয়নি। এ হেন দুদক এবং তার কথিত ‘প্রধান আইনজীবী’ খুরশিদ আলম খান আদালত কাঁপিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্টের মাত্র ২ কোটি টাকা ‘আত্মসাৎ’র মিথ্যা মামলায়। বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধেও কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের পক্ষে কী হুঙ্কারই না ছাড়তেন খুরশিদ। অনেক আইনজীবী পেশাদারিত্ব ধরে রেখেছেন আইনের যুক্তি-তর্কের ভিত্তিতে আইনি লড়াই করে। কিন্তু খুরশিদ আলম খান তার পেশাদারিত্বকে পরিণত করেন মাস্তানিতে। বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা যে ভাষায় কথা বলতেন- খুরশিদ আলম খানও কথা বলতেন সেই ভাষায়। এ কারণে হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আত্মগোপনে চলে যান খুরশিদ আলমও। দুদকের পক্ষে তিনি যেসব মামলা চালাতেন সেগুলো কেড়ে নেয়া হয়েছে। নিয়োগ দেয়া হয়েছে অন্য আইনজীবী। তবে বিচারাঙ্গন ও দুদক সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, শেখ হাসিনার দীর্ঘ ফ্যাসিজমের বড় এক সহযোগী ছিলেন খুরশিদ আলম খান। তার কাছ থেকে শুধু মামলা কেড়ে নেয়ার মধ্য দিয়েই সংস্থাটির দায় শেষ হয়ে যায়নি। আগামি কমিশনের দায়িত্ব হবে খুরশিদ আলম খানের বিরুদ্ধেও তদন্ত করা। হাসিনার ফ্যাসিজমকে দীর্ঘস্থায়ী করতে তার ছিলো প্রত্যক্ষ ভূমিকা। দুর্নীতি মামলার বিচারের নামে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বিচারিক হয়রানিতে খুরশিদ আলম খান ছিলেন অগ্রনায়ক। ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী সরকারের সময় হাইকোর্টে শেখ হাসিনার জামিনের বিরোধিতা করেন খুরশিদ আলম খান। সেই খুরশিদ আলম খানই ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আইনজীবীতে পরিণত হন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে খুরশিদ হয়ে ওঠেন হাসিনার আইনি হাতিয়ার। উচ্চ আদালতে বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা মানেই দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান। দুদকে আরো অনেক দক্ষ ও যোগ্য আইনজীবী থাকলেও খুরশিদ আলম খানকেই দেয়া হতো তাদের মামলা।
শুধু মামলাই নয়। টিভিতে-সংবাদ মাধ্যমে তিনি কথা বলতেন দুদকের হয়ে। নিবিষ্ট থাকতেন হাসিনা বন্দনায়। যে মামলায় তাকে যুক্ত করা হয়নি সেই মামলা নিয়েও কথা বলতেন তিনি। দুদকের অনেক কর্মকর্তা খুরশিদ আলম খানের বেআইনি এই কার্যক্রমকে তখন অনেক দুদক কর্মকর্তা ‘ধৃষ্টতা’ বলে মনে করতেন। খুরশিদ আলম খানের স্পর্ধা বেড়ে যায় দুদকের সবচেয়ে বিতর্কিত ও দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে। দুদক আইন সম্পর্কে ইকবাল মাহমুদ ছিলেন সবচেয়ে অজ্ঞ। এ কারণে তিনি বেশিমাত্রায় নির্ভর ছিলেন খুরশিদ আলম খানের প্রতি। খুরশিদ আলম খানও বিনিময়ে মামলার ফি’র ভাউচার দাখিল করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। অথচ খুরশিদ আলম অধিকাংশ মামলায়ই হেরেছেন। অনেক মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় এখন অনেকে বেকসুর খালাসও পাচ্ছেন। দুদকের অর্থ অপচয়, অপরিণামদর্শী আইনি পরামর্শ, মামলা পরিচালনার নামে অর্থ আত্মসাৎ এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খুরশিদ আলম খানকে আইনের আওতায় আনার দাবি এখন সচেতন মানুষের।
একবার দুদক কমিশনারদের ‘সমমর্যাদা’ সংক্রান্ত একটি মামলায় ইকবাল মাহমুদের ব্যক্তিগত আইনজীবী নিযুক্ত হন খুরশিদ আলম খান। মামলাটি ছিলো আপিল বিভাগে। সেখানে তিনি মামলাটি ‘কমিশনের মামলা’ হিসেবে উপস্থাপন করেন। এভাবে আদালতকে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইকবাল মাহমুদের পক্ষে রায় নিয়ে আসেন। আদালতকে ‘মিস লীড’ করার দায়ে আপিল বিভাগ একবার তাকে শাস্তি দেন। তিরস্কার ও অর্থদণ্ড করে। তা সত্ত্বেও দণ্ডিত এই আইনজীবীকে দিয়েই দুদক উচ্চ আদালতে আইনি লড়াই চালিয়েছে হাসিনা উৎখাত হওয়া অবধি।
শুধুই কি দুদক? বিচারিক হয়রানির মাধ্যমে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শায়েস্তা করতে শেখ হাসিনা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের আইনজীবী নিয়োগ করেন খুরশিদ আলম খানকে। সরকারের পক্ষে মামলা পরিচালনায় অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলীকে নিয়োগ দিলে খুরশিদ আলম গো ধরেন। পরবর্তীতে তিনি একাই ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আইনি অবস্থান নেন।
নিছক আইনি লড়াইয়ের কথা থাকলেও খুরশিদ আলম খান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করেন নানান বিষোদগার। বিশ্ববরেণ্য এই ব্যক্তিকে নানাভাবে অপদস্ত করাই ছিলো খুরশিদ আলমের প্রধান কাজ। তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ আখ্যা দিতেও দ্বিধা করেননি। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিচারিক হয়রানি দেখে বিশ্বের ১৭৫ নেতা যখন উদ্বেগ জানিয়ে গত বছর আগস্টে শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন, খুরশিদ আলম খান তখন এটিকে বিশ্বনেতাদের ‘অযাচিত হস্তক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশের আইন, বিচার বিভাগকে না জেনে, পর্যালোচনা না করে অযাচিতভাবে বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করছেন। শেখ হাসিনার স্বরে সুর মিলিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য ভরে খুরশিদ আলম খান বলেন, তারা (বিশ্ব নেতারা) ড. ইউনূসের মামলা নিয়ে কেন এতো মাতামাতি করছেনÑ আমার বুঝে আসে না!
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কর্মীদের বীমা সুরক্ষা প্রদানে ঢাকা ব্যাংক ও মেটলাইফের চুক্তি স্বাক্ষর
পাঠ্যবইয়ে নাম যুক্ত হওয়ায় আমার চেয়ে পরিবার বেশি খুশি: নিগার
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায় সম্মেলন- ২০২৫ অনুষ্ঠিত
শৈত্যপ্রবাহ প্রশমিত হওয়ার আভাস, বাড়বে রাত-দিনের তাপমাত্রা
বগুড়ায় শিবিরের সাবেক কর্মী সাথী ও সদস্যদের মিলন মেলায় রাফিকুল ইসলাম খান
ক্যাম্পাসভিত্তিক জুলাইয়ের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে রাখার আহ্বান প্রেস সচিবের
শিবালয়ে নিখোঁজের ৫ দিন পর পদ্মায় ভেসে উঠলো বারেক মেম্বরের লাশ
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন: যাদের উপর থাকবে নজর
এবি পার্টির কাউন্সিলে মির্জা ফখরুল ভয়াবহ দানবের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি
হ্যানয় গ্র্যান্ড মাস্টার্স-২ দাবায় ফাহাদের হার
ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে ও চোখ উপড়ে হত্যা : লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ
মানিকগঞ্জে নিখোঁজ সাবেক ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার
পাঠ্যবই সংশোধনের আহ্বান বিএনপির
৭১'র পরাজিত শক্তি ২৪'র আন্দোলনকে ব্যবহার করে ৭১'র গৌরবকে মুছে ফেলতে চায়: নাছির
সীমান্তে অস্থিতিশলীতাই প্রমান করে ভারত কোন দিনই আমাদের বন্ধু ছিলো না : পীর সাহেব চরমোনাই
নাইজেরিয়ায় অতর্কিত বন্দুক হামলা, সরকারি বাহিনীর ২১ সদস্য নিহত
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের আগেই চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী ঠাকুরপুর থেকে এক নারীকে আটক করেছে বিজিবি
একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে : দুলু
একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে : দুলু
রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল সোনালী ব্যাংক