খানাখন্দ-কাদায় সড়ক বেহাল চরম জনভোগান্তি
৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ এএম
আশুলিয়ায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজের জেরে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। কাঁদা, পানিতে সড়ক হয়ে পড়েছে চলাচলের অনুপযোগী। যানবাহনগুলোও হয়ে পড়ছে বিকল। প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে যানজট। সবমিলিয়ে সড়কটির এখন বেহাল দশা। দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করে সড়ক চলাচল উপযোগী করার দাবি স্থানীয় বাসিন্দা ও সড়কটি ব্যবহারকারীদের। কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী বছরের মধ্যে সড়ক স্বাভাবিক রুপে ফিরে আসবে।
গতকাল আশুলিয়া-আবদুল্লাহপুর সড়কের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সড়কের কোথাও পিচঢালা অবশিষ্ট নেই। কোথাও কোথাও জমে আছে পানি। হাঁটাচলাও করা যাচ্ছে না। সড়কের কোথাও নেই দুই লেন। এক লেনে যানবাহন চলাচল করায় তৈরি হচ্ছে যানজট। সবমিলিয়ে দুর্ভোগ চরমে। এসব পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টির আবেদন স্থানীয় বাসিন্দাদের।
আরাফাত ইসলাম শান নামে এক পথচারী বলেন, কাজটা চলছে তো চলছেই। গাড়ির যানজট লেগে আছে। হেঁটেও যাওয়া যায় না। সবমিলিয়ে চরম কষ্টে আছি। কাজটা শেষ না হলে তো মুক্তির কোনো পথও দেখছি না।
জসীমউদ্দীন নামে এক অটোরিকশা চালক বলেন, রাস্তার কাজ শুরুর পর থেকে ভোগান্তি বেড়েছে। দুই কিলোমিটার যেতে দুই ঘণ্টা লেগে যায়। কাঁদা, পানির কারণে গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। এভাবে কি জীবন চলে? কাজ তো সম্পন্ন হচ্ছে না। কিভাবে বাঁচবো এভাবে।
জরুরি ঔষধ পণ্যবাহী ট্রাকচালক আবুল হোসেন বলেন, এ রাস্তায় যানজটের কারণে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারি না। বাধ্য হয়ে এসে মনে হয় অন্যায় করে ফেলেছি। সড়কে একটার বেশি গাড়ি চালানো যায় না। খুব কষ্ট হচ্ছে।
সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করা নুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যাতে সড়কে মানুষের দুর্ভোগ না হয়। তবে সড়ক ছোট হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।
আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, সড়কটি খুবই পুরনো। কাজকর্ম চললে কিছুটা খারাপ অবস্থা হয়। আমাদের সংস্কার কাজ সবসময়ই চলে। পানির কিছু সমস্যা আছে, আবার বর্ষার পানির সময় কারখানাগুলোও নিজেদের পানি সড়কে ছেড়ে দেয়। এখন তো বর্ষা প্রায় শেষের দিকে। আমরা এখন মূল রাস্তার কাজ শুরু করবো। ড্রেনের কাজও শুরু হয়েছে। আগামী বর্ষায় এ সমস্যা আর থাকবে না। আগামী বর্ষার আগে ড্রেন হয়ে যাবে। রাস্তা সুন্দর হয়ে যাবে। এসব সমস্যা থাকবে না। যানজট বিভিন্ন কারণে হয়। এটা নিরসনে আমরা কিছু করতে পারি না। এখানে কারখানার লোকেরা আন্দোলন করছে। আমাদের প্রায় ১০০ জন পুলিশের পাশাপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। গার্মেন্টস এলাকায় ছুটি দিলে যানজট হয়। আমাদের রাস্তা হয়ে গেলে যানজট কমে যাবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ফ্যাসিবাদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে সক্রিয় ছিল ইবি ছাত্রদল
সামনের বর্ষায় ঘাসে ঢাকা হবে রাজধানীর অনাবৃত সড়ক বিভাজন: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
মাদারীপুরে ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্যদের ৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি : দুদকের মামলায় হাসিনা-পুতুলসহ ১৬ আসামি
কোকোর দেশের ক্রীড়াঙ্গনে আরাফাত রহমান বড় ভূমিকা ছিল: কাজী রিপন
তারেক রহমান একজন মানবিক মানুষ: কাইয়ুম চৌধুরী
রাবির সাত হলে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় উত্তাল ক্যাম্পাস, তদন্ত কমিটি গঠন
ডিসেম্বরে সর্বাধিক রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য ও সউদী আরব থেকে
যশোরে চাকুরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকুরি পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন
অপরাধী যদি আমার ভাই হয়, তাকেও ছাড় দিবেন না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আবারও সিলেটের নায়ক জাকির, খুলনার টানা দ্বিতীয় হার
এবার হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে নারী আইনজীবীর মামলা
ব্যবসায়ীকে কোপানোয় শাস্তির হুঁশিয়ারি উপদেষ্টা আসিফের
৩৮ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটর সাইকেল চালক নিহত
কুষ্টিয়ায় র্যাবের অভিযানে ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
কুষ্টিয়ার আলফা মোড়ে সিএনজি স্ট্যান্ড’ নাম দিয়ে চাঁদাবাজি
জুলাই আগস্টে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলা : বহিস্কার হলেন শাবির ২৯ শিক্ষার্থী
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়লো ১৬ দিন
সাতক্ষীরা সীমান্তে ধান চাষে বিএসএফের বাধা, পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত