ভারতীয় মিডিয়ার ভূমিকা স্বাভাবিক সম্পর্কের সহায়ক না :পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারতীয় মিডিয়া একেবারে ভয়ঙ্করভাবে লেগে পড়লো। ভারতীয় মিডিয়ার যে ভূমিকা তা কোনও অবস্থাতেই দুটি দেশের স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য সহায়ক না। এটা কেন করছে, তারা ভালো বলতে পারবে। গতকাল শনিবার দুপুরে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: প্রত্যাশা, প্রতিবন্ধকতা এবং ভবিষ্যৎ’-শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখানে আমার মনে হয়, আমাদের মিডিয়ার একটা ভূমিকা নেওয়ার প্রয়োজন আছে। আমি বলছি না যে ভারতীয় মিডিয়া ফলো করুন, ভারতীয় মিডিয়ায় যেসব মিথ্যাচার হচ্ছে সেগুলোকে তুলে নিয়ে আসুন। এখন সত্য-মিথ্যা যাচাই করা যায়। সেখানে কিন্তু প্রমাণিত সবগুলো বক্তব্য তারা মিথ্যা দিচ্ছে। সেগুলোকে আমাদের মিডিয়া আরেকটু শক্তভাবে উত্থাপন করতে পারে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যখন স্টেটমেন্ট দেওয়া হয় সেটি প্রথম পাতায় আসা উচিত, ভেতরের পাতায় নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উদ্বেগগুলো ভারত তেমন গুরুত্ব দেয়নি, যদি দিতো তাহলে পরিস্থিতি এমন হতো না। গত ১৫ বছরে ভারতের সব অমিমাংসিত ইস্যুর সমাধান করা হলেও বাংলাদেশেরগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা কারও জন্যে হুমকি না, কেউ আমাদের জন্য হুমকি হোক, সেটা আমরা চাই না। গত ৫ আগস্টের পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের রুপ বদলেছে। সম্পর্ক তো আর একদিনের না। সব সময় একরকম যাবে এমনও কথা নেই। আমরা আশাবাদী হতে চাইবো যে, আমরা একটা ভালো সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে পারবো, যাতে করে দুই পক্ষের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়। আমার মনে হয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়- দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এমন হবে যেন উভয় দেশেরই স্বার্থ সংরক্ষিত হয়। একদিকে যেন না যায়। কিছু সমস্যা আছে- যেমন পানি। তিস্তা নিয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি। আমরা চাইবো অগ্রগতি হোক। আমি বরাবরই সামনাসামনি বলেছি কোনও অবস্থাতেই সীমান্তে হত্যা গ্রহণযোগ্য না। এই সীমান্ত কিন্তু যুদ্ধরত না। অথচ এখানে মানুষকে গুলি করে মারা হয়। পৃথিবীর কোথাও আর এরকম নেই। কাজেই ভারতকে অবশ্যই এই জিনিসটা দেখতে হবে। এটি একটি শক্ত প্রতিবন্ধকতা এবং সহজেই দূর করা সম্ভব। আসলে এই ধরনের গুলি করে মানুষ মারার প্রয়োজন নেই। অপরাধ তো হয়, পৃথিবীর সব সীমান্তে অপরাধ হয়। অপরাধ করলেই গুলি করে মারতে হবে, এমন কোনও কথা নেই। যদি অপরাধ করে থাকে, তাকে ধরুন, নিজের দেশের আইনেই বিচার করুন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন কিন্তু জাতীয় ঐক্য। যেখানে আমাদের জাতীয় স্বার্থ আছে সেখানে জাতীয় ঐক্যমত থাকতে হবে। প্রভাব বিস্তার করতে চাইবেই। যাতে না পারে সেজন্য কী আমরা আমাদের ঘর গোছাচ্ছি? আপনারা একটু চিন্তা করে দেখবেন।
বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দেশের সম্পর্কের ধরন বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, পরস্পরের স্বার্থ রক্ষিত হয়, এমন সম্পর্ক আমরা চাই।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদরাই আজকের বাংলাদেশ- কক্সবাজারে শিল্প উপদেষ্টা
অতিরিক্ত সময়ে এন্দ্রিকের জোড়া গোলে জিতে শেষ আটে রিয়াল
গ্রিক সাইপ্রিয়ট প্রশাসনকে অস্ত্র বিক্রয়ের মার্কিন সিদ্ধান্তে টিআরএনসি-এর ক্ষোভ ও উদ্বেগ
নরসিংদীতে বাস-ট্রাকের ত্রিমুখী সংঘর্ষ, আহত ৮
পাবনায় জনজীবনে ভয়াবহ হচ্ছে ভার্চুয়াল আসক্তি
মাঝ আকাশে ভেঙে টুকরো ইলন মাস্কের ‘স্টারশিপ’
বাংলাদেশ-ভারতকে অতীত কবর দিয়ে নতুন করে শুরু করতে হবে: সুনন্দা কে দত্ত রায়
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
সাইফ ইস্যুতে কেজরিওয়ালের বিস্ফোরক মন্তব্য, পাল্টা প্রতিক্রিয়া বিজেপি নেতার
ট্রাম্পের শুল্ক ছাড়াও চীনের অর্থনৈতিক সংকটে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ !
খেজুরের রস খেতে গিয়ে গাড়িচাপায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত
দিয়ালোর দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে ইউনাইটেডের নাটকীয় জয়
আজারবাইজান-জর্জিয়া সম্পর্ক শক্তিশালীকরণে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক
আসাদগেটে সিএনজি-ট্রাক সংঘর্ষ, একজনের মৃত্যু
মরক্কোতে নৌকা ডুবে ৪৪ পাকিস্তানির মৃত্যু
'বন্ধী মুক্তির চুক্তি' চূড়ান্ত জানিয়েছে নেতানিয়াহুর দপ্তর
সুদানের সেনাপ্রধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের
উ. কোরিয়ার ইউক্রেনে সামরিক অংশগ্রহণ একটি কৌশলগত ভুল : রব বাউয়ার
সাইফ তো লিস্টে ছিল না,হঠাৎ হামলা হয়ে গেছেঃ মমতা
ঘণকুয়াশায় সাড়ে ৫ ঘন্টা আরিচা-কাজিরহাট এবং ৪ ঘন্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে