আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন বছরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকার জন্য তথ্য সংগ্রহ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যোগ্য হওয়ার পরও বিভিন্ন কারণে ভোটার তালিকায় স্থান না পাওয়াদের তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া চারজন নির্বাচন কমিশনারের (ইসি) নেতৃত্বে চারটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এই তথ্য অনুযায়ী তারা ২০২৬ সালের ২ মার্চের চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকায় ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এম এম নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে নতুন ইসির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, পহেলা জানুয়ারি হালনাগাদ করা ভোটারদের তথ্য ২ জানুয়ারি থেকে দাবি–আপত্তির শুনানির পর ২ মার্চ খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। কিন্তু আমরা চাই, বাদ পড়া ব্যক্তিরা তালিকায় সন্নিবেশিত হোক। এ জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তারা ছাড়াও যারা ২০২৫ সালে যারা নতুন ভোটার হবেন, তাদের তথ্যও বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় মৃত ভোটারদের বাদ দেওয়াটাও সহজ হবে। এতে করে ২০২৫ সালের তথ্যও পাওয়া যাবে। আশা করা যাচ্ছে যে, ২ মার্চের পরেই এই কার্যক্রম শুরু করা যাবে। সভায় চারজন কমিশনারের অধীনে চারটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিশনগুলো হচ্ছে, ইসি সানাউল্লাহর নেতৃত্বে ‘জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও তথ্যপ্রযুক্তি কমিটি’, ইসি আব্দুর রহমানেল মাছউদের নেতৃত্ব ‘আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটি’, ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের নেতৃত্বে ‘সীমানা পুনঃনির্ধারণ, জাতীয় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন প্রস্তুতি, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত ও তদারকি কমিটি’ এবং ইসি তহমিদা আহমদের নেতৃত্বে ‘নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রশাসনিক সংস্কার ও পুনর্বিন্যাস এবং দক্ষতা উন্নয়ন কমিটি। ইসি সানাউল্লাহ বলেন, সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে কিছু অভিযোগ ছিল। এ নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। এই অভিযোগগুলো কমিশনের গঠিত সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আইন অনুযায়ী, প্রতিবছর ২ জানুয়ারি আগের বছরের হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করা হয়। ২ মার্চ প্রকাশ করা হয় চূড়ান্ত তালিকা। তবে এ বছর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়নি। নির্বাচন কমিশনের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি ভোটার হওয়ার উপযুক্ত কোনো ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে ইসি কার্যালয়ে গিয়েও ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। আবার নির্বাচন কমিশন বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদের সময় আগাম তথ্যও সংগ্রহ করে রাখে। বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর তাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হওয়ার জন্য ইসির কাছে ১৭ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহে রয়েছে। এসব নাগরিক ২০২৫ সালে যে তালিকা প্রকাশ করা হবে, সেখানে তারা যুক্ত হবেন। এই ১৭ লাখ নাগরিকের মধ্যে ১৩ লাখের তথ্য নির্বাচন কমিশন ২০২২ সালে সংগ্রহ করেছিল। বাকি নাগরিকেরা নিজেরা ইসির কার্যালয়ে গিয়ে নিবন্ধিত হয়েছেন। তবে তাদের ধারণা, পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছর ৪৫ লাখের মতো নাগরিকের নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হওয়ার কথা। সে হিসাবে ২৭ থেকে ২৮ লাখ ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিক এ বছর এখনো ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হননি। আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, এই বাস্তবতায় কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী ২ জানুয়ারি খসড়া প্রকাশের পর শুনানি, দাবি-আপত্তির পর ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ইসি চায়, যারা বাদ পড়েছেন, তাঁরা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হোক। এ জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বাদ পড়া ভোটাররা ছাড়াও ২০২৫ সালে যারা ভোটার হবেন, অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যারা ভোটার হবেন, তাদের তথ্যও বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা হবে। একই সঙ্গে যেসব ভোটার মারা গেছেন, তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে কর্তন করার জন্য তথ্য নেওয়া হবে। এ ছাড়া দ্বৈত ভোটার বা অন্য কোনো জটিলতা আছে কি না, সে বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ছয় মাসের মতো সময় লাগতে পারে এক প্রশ্নের জবাবে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, কবে থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে ইসি সচিবালয় থেকে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে। তবে তাঁরা ধারণা করছেন, আগামী ২ মার্চের পর এই কাজ শুরু করতে পারবেন। তিনি বলেন, কমিশন নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যখনই কোনো একটি নির্বাচন সামনে আসবে, চেষ্টা থাকবে তফসিল ঘোষণার আগে একটা সময় পর্যন্ত যেন ভোটার হওয়ার যোগ্যদের তালিকাভুক্ত করা যায়। এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইসির বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এম এম নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে বৈঠকে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ছাড়াও তিন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমানেল মাসুদ, তহমিদা আহমদ এবং ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
শুধু নামেই জিমনেসিয়াম