দুর্নীতি অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে চুক্তি বাতিল -বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
বাংলাদেশ সরকার আদানির পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ কিনতে ২৫ বছর মেয়াদি যে চুক্তি করেছে তাÑ পর্যালোচনার কোনো ইঙ্গিত নেই বলে গতকাল সোমবার রয়টার্সকে জানিয়েছে আদানি। একদিন আগেই অর্থাৎ, গতকাল রোববার রয়টার্স জানিয়েছিল, বাংলাদেশ চুক্তিটি পুনর্মূল্যায়ন করতে চায়।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রয়টার্সকে বলেন, চুক্তিতে অসংগতি পাওয়া গেলে তা নিয়ে পুনরালোচনা করা হবে। দুর্নীতি বা ঘুষের মতো গুরুতর অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে চুক্তি বাতিল করা হবে। আদানি পাওয়ার জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার কোম্পানির সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) পুনর্মূল্যায়ন করছে- এমন কোনো ইঙ্গিত তারা পায়নি। রোববার রয়টার্স জানিয়েছিল, বাংলাদেশ আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা চুক্তির অধীনে বিদ্যুৎ ক্রয়ের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে চায়। অন্যথায়, আদালত চুক্তিটি বাতিল করতে পারে, কারণ আদালত এরই মধ্যে ২৫ বছর মেয়াদি চুক্তিটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। গত সপ্তাহে বাংলাদেশ হাইকোর্ট একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিকে চুক্তিটি পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেয়। এই চুক্তির অধীনে আদানি ভারতের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। কোম্পানিটি বাংলাদেশে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করে থাকে। যা বাংলাদেশের চাহিদার মোট ১০ শতাংশ।
এদিকে আদানি গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানির বিরুদ্ধে মার্কিন আদালত ভারতে ২৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ঘুষ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে। সেই সঙ্গে ভারতের এক রাজ্য সরকার আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে সই হওয়া বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনা করছে, ফ্রান্সের টোটাল এনার্জি আদানি গোষ্ঠীতে বিনিয়োগ স্থগিত করেছে।
গত ২০১৭ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি করে। ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি গত বছর উৎপাদনে আসে। তবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার উচ্চ দামের কারণে চুক্তি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের এক আইনজীবীর আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট সম্প্রতি আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা বিদ্যুৎ চুক্তি তদন্তের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত শেষ হবে এবং তখন আদালত চূড়ান্ত রায় দেবেন।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রয়টার্সকে বলেন, চুক্তিতে অসংগতি পাওয়া গেলে তা নিয়ে পুনরালোচনা করা হবে। দুর্নীতি বা ঘুষের মতো গুরুতর অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে চুক্তি বাতিল করা হবে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আদানি প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ধরেছে ১৪ টাকা ০২ পয়সা, যেখানে দেশে বিদ্যুতের গড় দাম ৮ টাকা ৭৭ পয়সা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আদানি পাওয়ার প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ধরেছে ১২ টাকা। রয়টার্স বলছে, ভারতের অন্যান্য বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদকদের দামের চেয়ে এটা ২৭ শতাংশ বেশি এবং সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে ৬৩ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশে বিদ্যুতের খুচরা মূল্য ইউনিট প্রতি ৮ টাকা ৯৫ পয়সা। এই দামেই প্রতিবছর সরকারকে ৩২০ বিলিয়ন বা ৩২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
শুধু নামেই জিমনেসিয়াম